রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রবিউল ইসলাম, কালিগঞ্জ ( সাতক্ষীরা) থেকে : কালিগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দুরে কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাড়িয়ে আছে মুঘল আমলে নির্মিত ঐতিহাসিক প্রবাজপুর শাহী মসজিদ। এটি মুসলিম স্থাপত্যের একটি অনুপম নিদর্শন।
সরেজমিন ও বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ১১০৪ হিজরী ১৯ রমজান মোতাবেক ১৬৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ২মে তৎকালীন দুলিহার পরগনায় প্রতিষ্ঠিত হয় প্রবাজপুর শাহী জামে মসজিদ। সম্পাট আওরঙ্গজেবের নির্দেশে তাঁর সেনাবাহিনীর নামাজের জন্য মসজিদটি নির্মাণ করেন। এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটি প্রাচীন স্থাপত্যশৈলী হিসেবে এখনও সবার নজর কাড়ে।
মসজিদটি সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে নির্মিত হয়। তার ফৌজদার নবাব নুরুল্লাহ খাঁ মসজিদ নির্মাণে ৫২ বিঘা জমি দান করেন। সম্পাট আওরঙ্গজেবের সুবেদার পরবাজ খাঁ সম্পাটের নির্দেশে এ মসজিদ নির্মাণ করেন বিধায় সুবেদার পরবাজ খাঁর নামানুসারে ওই গ্রামের নাম হয়েছে প্রবাজপুর ও মসজিদটি প্রবাজপুর শাহী মসজিদ হিসেবে নামকরণ করা হয়। দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটির বহির্বিভাগ দৈর্ঘ্য ৫২ ফুট ৫ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৩৯ ফুট ৮ ইঞ্চি। মসজিদটির অভ্যন্তরে ২১ ফুট ৬ ইঞ্চির বর্গাকৃতির একটি নামাজের জায়গা রয়েছে।
মসজিদের দেয়ালগুলো ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত। আর মসজিদের প্রধান দরজাটি ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি প্রশস্ত। মসজিদটিতে ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি প্রশস্ত একটি বারান্দা ছিল যা এখন আর নেই।
মসজিদটিতে মোট ১০টি দরজা থাকলেও বর্তমানে দরজার নিচের অংশে পাতলা প্রাচীর নির্মাণ করে জানালার আকৃতি করা হয়েছে। তিনটি অলংকৃত মেহরাবও রয়েছে মসজিদটিতে।
১৯৬৫ সালে কালিগঞ্জ উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের আলহাজ সোহরাব আলী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে মসিজদটি নামাজের জন্য উপযোগী করেন। সুলতানি আমলে নির্মিত প্রবাজপুর শাহী জামে মসজিদ একটি প্রাচীন এবং প্রততাত্ত্বিক স্থাপনা, যা ইসলামি ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক অনন্য নিদর্শন। দেশ ও দেশের বাহিরের অনেক পর্যটক এখনও মসজিদটি দেখার জন্য সেখানে ভীড় জমান। তবে মূল সড়ক থেকে মসজিদে যাওয়ার প্রবেশ পথ সরু হওয়ায় দর্শনার্থীদের সেখানে যাতায়াতে বেশ ভোগান্তি হয় বলে জানা গেছে।
মসজিদ কমিটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কালিগঞ্জ কলেজের শিক্ষক শেখ মাখলুকাত ইসলাম বলেন, প্রততত্ত্ব বিভাগ মসজিদটি নিজেদের দায়িত্ব নেয়ার ফলে আমরা চাইলেই এর কোন সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ করতে পারি না। নির্মাণকালে মসজিদের নামে নুরুল্লা খাঁ যে ৫২ বিঘা জমি দিয়েছিলেন তার মধ্যে মাত্র ৫০ শতক জায়গায় খননকৃত একটি পুকুর ও মসজিদের স্থান ছাড়া বাকি সব জমি বেদখল হয়েছে। মসজিদ নির্মাণের পর থেকে ২৯২ বছর যাবত সম্পূর্ণ জমি মসজিদ কর্তৃপক্ষের দখলে ছিল। তারপর মসজিদের খেদমতকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারীরা মসজিদের নামিয় জমি নিজেরা অবৈধ পন্থায় দখলে নেয়। জমি উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।