Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদকে বিপর্যস্ত সমাজ

| প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আফতাব চৌধুরী : দেশেরই তরুণ সমাজ যেকোন দেশের সম্পদ। তরুণ সমাজ যদি বিপথগামী হয় তাহলে জাতির সর্বনাশ। তরুণ সমাজকে উদ্দীপ্ত করে কবি সুকান্ত লিখেছেন তাঁর অমর কবিতা ‘আটারো বছর বয়স’। আটারো বছর বয়সের যেমন ভাল দিক আছে, তেমনি মন্দ দিকও আছে। তরুণ সমাজকে ভাল কাজে নিয়োজিত করতে পারলে যেমন সুফল মেলে হাতে হাতে, তেমনি মন্দ কাজেও এদের জুড়ি মেলা ভার। সুকান্ত তাঁর কবিতায় শেষ চরণে এ-দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে বলে প্রার্থনা করেছিলেন। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুও তাঁর ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রবন্ধে দেশের তরুণ সমাজকে উদ্দীপ্ত করেছেন। তরুণ সমাজ যে দেশ ও দেশের কল্যাণে কতটুকু কার্যকার ভূমিকা নিতে পারে, এ-কথা ভালই জানতেন নেতাজি। কিন্তু এই তরুণ সমাজ আজ অনেকটাই বিপথগামী। তারও আছে নানা ব্যাখ্যা। কেউ বলছেন, হতাশা থেকেই দেশের তরুণ সমাজের বিরাট একটি অংশ আজ বিপথগামী। আর মাদকাসক্তিই হচ্ছে কারো কারো মতে সেই হতাশা থেকে মুক্তির তথাকথিত পথ। সাংসারিক টানাপোড়েন, বেকারত্ব, কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পেীঁছতে না-পারার দুঃসহ যন্ত্রনা থেকেই আসে হতাশা। তাই মাদকাসক্তরা ভাবে, সাংসারিক সকল ঝামেলা থেকে নিস্কৃতি পেতে হলে মাদকসেবনই বুঝি উত্তম পন্থা। সমাজে থাকাও গেল অথচ কোনো ধরনের দায়দায়িত্ব বর্তালো না। কিন্তু এই ভুল ধারণাই যে এক সময় কাল হয়ে দেখা দেয়, এ-কথা বোঝার অবকাশ তারা খুব কমই পায়। জীবনের বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতকে জয় করার মানসিকতা হারিয়ে জীবন্মৃত হয়ে পড়ে এরা । তখনই সমাজের কাছে, পরিবার-পরিজনের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়ায় এই সকল মাদকাসক্তরা। ক্রমে সমাজও এদের একঘরে করে ফেলে। একাকিত্বের জ্বালা, হতাশা, মাদকাসক্তির শেষ পরিণাম হয়ে দাঁড়ায় মৃত্যু। আর মৃত্যুকে জয় করার মতো কোনো অমৃতসুধা আজ অবধি কেউ পান করতে সক্ষম হয়নি, হবেও না।
মাদকের নেশা কেবল আত্মঘাতী নয়, সমাজ, দেশ, মনুষ্যত্ব সর্বোপরি বিশ্বব্যাপী ডেকে আনছে বিপর্যয়। ব্যক্তিজীবনে যেমন মাদক স্বাস্থ্য, সম্পদ, মানসম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি নষ্ট করে ব্যক্তিকে করে তোলে সমাজের ঘৃণা ও নিন্দার পাত্র তেমনি সমাজজীবনেও নেমে আসে অস্বাস্থ্য, অলসতা, অকর্মন্যতা এবং সামাজিক অপরাধের সীমাহীন নিষ্ঠুরতা। ধ্বসে যায় তার রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, চাকরি, সামাজিক মূল্যবোধের মতো অমূল্য গুণগুলো। আজকের পৃথিবীতে এই ব্যাধি পরিব্যাপ্ত দেশ থেকে দেশান্তরে। এই নেশার উপর ভর করে একদল নেশার ব্যবসায়ী ধ্বংস করতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্বজনীন মূল্যবোধ, প্রেম-প্রীতি, স্নেহ-ভক্তি রসধারাকে সীমাহীন আত্মঘাতী নিষ্ঠুরতায়। নেশার কারবারিরা আজ নেশায় বাণিজ্য সম্ভারে মেতে মানুষের মারণ নেশায় মাদক পাচার এবং মাদকের অর্থে অস্ত্র হাতে বিশ্বকে করে তুলেছে সন্ত্রস্ত। তাই মাদক কেবল ব্যক্তিজীবন নয়, সমাজ, সমষ্টি এবং বিশ্বজীবনেও ডেকে আনছে বিপর্যয়।
বিশ্বের প্রায় সবক’টি মহাদেশেই অবৈধ ড্রাগ উৎপাদিত হয় কিংবা ব্যবহৃত হয় যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশে এই বিষয়ে খুব একটা পিছিয়ে নয়। বাংলাদেশে আফিম ও ভাং এর প্রচলন সুপ্রাচীন। বিগত তিন দশকে হেরোইন, এম্ফিটামিন, কোকেন এবং নানা ভেষজ ওষুধ রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে প্রবেশ করেছে যা অবৈধ ড্রাগের ভয়াবহতাকে আরও উষকে দিয়েছে। এক সময় গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল অর্থাৎ মায়ানমার, লাওস ও থাইল্যান্ড কিংবা গোল্ডেন ক্রিসেন্ট অর্থাৎ আফগানিস্তান, ইরান ও পাকিস্তান থেকে অবৈধ মাদক বাংলাদেশের মধ্য দিযে শুধু পাচার হতো কিন্তু আজ এই চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বাংলাদেশে কর্মরত এক বেসরকারী সংস্থায় ২০১৪ এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লক্ষ নেশাসক্ত মানুষ যার মধ্যে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীদের সংখ্যাই বেশী। ক্রমবর্ধমান এই সংখ্যাটি ক্রমশ শহরতলি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের ড্রাগ ও অপরাধ নিবারক সংস্থা যৌথভাবে অবৈধ ড্রাগ সেবন সংক্রান্ত বিষয় পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন পেশ করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১২ থেকে ১৮ বছরের কিশোরদের মধ্যে অ্যালকোহল ২১.৪ শতাংশ, ভাং ৩ শতাংশ, আফিম ০.৭ শতাংশ এবং অন্যান্য অবৈধ ড্রাগ ৩.৬ শতাংশ সেবনের প্রবণতা দেখা গেছে। অবৈধ ড্রাগ সেবনের এই প্রবণতা সারা দেশে এক রকম নয়। যেমন উত্তরবঙ্গে যা বেশী চলে দক্ষিণে কম আবার পূর্বে যা বেশী পশ্চিমে তা কম। তবে ফেনসিডিলের ব্যবহার দেশের সর্বত্রই বিদ্যমান।
বাংলাদেশে নেশা করার আরেকটি ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। কিন্তু ব্যথা কমানোর ওষুধ, কোডেইন দিয়ে তৈরি কফ সিরাপ, ঘুমের ওষুধ, কিছু অ্যান্টিহিস্টামিনিক এক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। নেশা করার একটি ভয়াবহ মাধ্যম হচ্ছে ইঞ্জেকশন। স¤প্রতি একটি রিপোর্টে এ-বিষয়ে কিছু আলোকপাত করা হয়েছে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হেরোইন, বুপ্রেনরফিন এবং প্রোপক্সিফেন এর মিশ্রণ ইঞ্জেকশন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তা ছাড়া, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রোক্সিভন নামক ওষুধও ইঞ্জেকশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটি ইঞ্জেকশনের বহু ব্যবহারের ফলে নেশাসক্তদের মধ্যে এইচআইভি-এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও প্রচন্ড বেড়ে যায়। বর্তমানে ইয়াবার প্রচলন জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন সূত্র হতে জানা যায় ইদানিং যুবতীরা মাদকাসক্ত হয়ে বিপথে পরিচালিত হচ্ছে।
নেশায় আসক্ত হওয়ার পেছনে বহুবিধ কারণ রয়েছে। কিন্তু কারণ যাই হোক না-কেন, নেশা সমাজের প্রধান পাঁচটি অংশকে অর্থনৈতিকভাবে দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই অংশগুলো হচ্ছে স্বাস্থ্য, উৎপাদন, অপরাধ, নিরাপত্তা, এবং সরকারি কার্যপ্রণালী। প্রথমেই আলোচনা করা যাক স্বাস্থ্য সম্পর্কে।
নেশা মানুষের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত করে তোলে। মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবন রোগীর মানসিক অবসাদ ঘটায় এবং হেপাটাইটিস বি ও সি, এইচআইভি-এইডস ও য²ার মতো ভয়ানক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়। এই নেশাবিরোধী অভিযান, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন কর্মসূচিতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সুতরাং ঘন ঘন রোগে আক্রান্ত হওয়া কিংবা মারা যাওয়া উভয় ক্ষেত্রেই দেশের প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেশাবিরোধী অভিযান সরকারি অর্থের সুরক্ষা করতে পারে।
২০১২ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪৫ লক্ষ লোক হিরোইন, ভাং ও কোকেনের নেশাগ্রস্ততার কারণে চিকিৎসাধীন এবং এতে বছরে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হচ্ছে। কিন্তু সব জায়গায় এই চিকিৎসার সুযোগ সমভাবে উপলব্ধ নয়। আফ্রিকাতে প্রতি ১৮ জন নেশাসক্ত লোকের মধ্যে ১ জন চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন। আবার লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান এবং পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপে প্রতি ১১ জন লোকের মধ্যে ১ জন চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন। বিশ্বের প্রতিটি ড্রাগ আসক্ত লোক যদি চিকিৎসার সুযোগ পেতেন তবে ২০১২ সালেই এই খরচের পরিমাণ হতো ২০০ থেকে ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১২ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ১৫ থেকে ৬৪ বছরের লোকদের মধ্যে ড্রাগজনিত কারণে মৃত্যুর হার ০.৫ থেকে ১.৩ শতাংশ। ইউরোপে এই মৃত্যুর গড়পড়তা বয়স ৩০ বছর। ইঞ্জেকশন নিয়ে যারা নেশা করে এমন ১৪০ লক্ষ লোকের মধ্যে ১৬ লক্ষ লোক এইচআইভি, ৭২ লক্ষ হেপাটাইটিস সি ও ১২ লক্ষ লোক হেপাটাইটিস বি-তে ভুগছে। একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ১৯৯০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ড্রাগজনিত কারণে অসুস্থতার মাত্রা ক্রমশ বেড়েছে যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। মৃত্যুর কারণের ক্রমানুসারে তামাক দ্বিতীয়, অ্যালকোহল তৃতীয় এবং অবৈধ ড্রাগ সেবন ১৯ তম স্থানে রয়েছে। ১৫ থেকে ৫০ বছরের লোকদের মৃত্যুর কারণে ড্রাগ সেবন ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
নেশাগ্রস্ত লোকেরা যে শুধু নিজের ক্ষতি করে এমন নয়, পারিপার্শ্বিক মানুষের নিরাপত্তাও সঙ্কটাপূর্ণ করে তোলে। নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালালে পথ দুর্ঘটনায় চালকের যেমন ক্ষতি হয় পথযাত্রীদের সমান খেসারত দিতে হয়। গবেষণায় জানা গেছে, ভাং খেয়ে গাড়ি চালালে পথ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ৯.৫ গুণ এবং কোকেন ও ব্যাঞ্জোডায়াজিপাইনের ক্ষেত্রে ২ থেকে ১০ গুণ বৃদ্ধি পায়। এম্ফিটামিন ড্রাগে এই সম্ভাবনা ৫ থেকে ৩০ গুণ এবং মদের সঙ্গে অন্য ড্রাগ মিশিয়ে খেলে ২০ থেকে ২০০ গুণ বৃদ্ধি পায়।
আফিম ও ভাং এর অবৈধ চাষের ফলে ব্যাপকভাবে বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে এর জলজ্যান্ত উদাহরণ বলিভিয়া, কলম্বিয়া ও পেরু। এই অবৈধ চাষ একদিকে বনভূমি ধ্বংস করছে অন্যদিকে চাষযোগ্য জমির পরিমাণও কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবৈধ চাষ জমি ও পারিপার্শিক পানিকে দূষিত করে বন্যপ্রাণী ও মানুষের জীবনকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। অবৈধ ড্রাগের তিনটি যোগসূত্র রয়েছে। প্রথম ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত ড্রাগ সেবনই অপরাধ সংঘটিত হয়। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোমানিকা সেন্ট কিটস ও নেভিস এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রিনাডিন এর  ৫৫ শতাংশ অপরাধীরা অপরাধের সময় নেশাগ্রস্ত ছিলেন।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে টাকার উন্মাদনার জন্যই অপরাধ সংঘটিত হয়। এই টাকার মাধ্যমে তারা তাদের প্রয়োজনীয় ড্রাগের চাহিদার জোগান দেয়। আমেরিকার ১৭ শতাংশ কয়েদি শুধুমাত্র টাকার জন্য অপরাধ সংঘটিত করেছে। ব্রিটেন ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে প্রতারণা এবং ডাকাতিতে প্রত্যেক বছর ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তৃতীয় ক্ষেত্রে অবৈধ ড্রাগ বাণিজ্যের এলাকা নির্ধারণ অথবা কেনাবেচার সময় সৃষ্ট সমস্যার সুরাহা করতে গিয়ে অপরাধ সংঘটিত হয়। বিগত দশবছর ধরে লাতিন আমেরিকায় বিশেষ করে গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোতে এই ঘটনা খুবই সাধারণ। অষ্ট্রেলিয়ার ড্রাগ সংক্রান্ত অপরাধের জন্য বার্ষিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমেরিকাতে এর মূল্য প্রায় ৬১ বিলিয়ন ডলার। বিশেষ করে উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কর্মীগণ ড্রাগের অধীন হলে অথবা চিকিৎসাধীন হলে দেশের উৎপাদন ক্ষমতা যথেষ্ট হ্রাস পায়। ২০১১ সালে আমেরিকায় মাদকাসক্ত শ্রমিকদের কাজে যোগদান না-করার ফলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ জিডিপি-র ০.৯ শতাংশ যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ঠিক তেমনি অষ্ট্রেলিয়া ও কানাডাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে জিডিপি-র ০.৩ শতাংশ ও ০.৪ শতাংশ। চিকিৎসাধীন হলে কিংবা জেলে থাকলে শ্রমিক বা কর্মচারীরা কাজে যোগদান করতে পারে না। ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আন্তর্জাতিক নারকোটিক কন্ট্রোল বোর্ড এবং ২০১৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী অবৈধ ড্রাগ পাচারকারীরা সরকারের দুর্বল প্রশাসনিক স্তরে আঘাত করে তাদের এই অবৈধ বাণিজ্য বেপরোয়াভাবে চালায়। ফলে স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। ড্রাগ পাচারকারীরা অর্থনৈতিক দুর্নীতির মাধ্যমে প্রশাসনকে পঙ্গু করে তোলে এবং তাদের অবাধ বাণিজ্য চালায়।
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->