Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফখরের শতকে পাকিস্তানের ৩৩৮

শুরুতেই রোহিত-কোহলিকে ফেরালেন আমির

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৭, ৮:২৯ পিএম | আপডেট : ৮:৩৩ পিএম, ১৮ জুন, ২০১৭

ফখর জামানের বীরত্বময় ব্যাটিংয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ভারতের সামনে ৩৩৯ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে পাকিস্তানে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ এটি। শেষ ৫ ওভারে মাত্র তিনটি বাউন্ডারির দেখা পায় পাকিস্তান।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বড় লক্ষ্যে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে ভারত। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই রোহিত শর্মাকে এলবিডব্লিউএর ফাঁদে ফেলেন আমির। নিজের পরের ওভারে অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও পয়েন্টে ফখরের ক্যাচে পরিণত করেন বাঁ-হাতি পেসার। এর ঠিক আগের বলে স্লিপে কোহলির সহজ ক্যাচ মিস করেন আজহার।

ক্যারিয়ারে প্রথম তিন অঙ্কের দেখা পেলেন ফখর। তাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে। এমন সেঞ্চুরির কথা নিশ্চয় ভুলবেন না ২৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। টানা দুই ফিফটির পর এবার ১০৬ বলে ১২টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কায় ১১৪ রান করেন ফখর।

আসরের প্রতিটা ম্যাচে পরে ব্যাট করেছে পাকিস্তান। তাদের সেই স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাঘাত ঘটাতে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তবে প্রথম ইনিংস শেষে বলাই যায় কোহলির সেই পরিকল্পনা প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতেই ২৩ ওভারে১২৮ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান। দেড় দশক পর এই টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি জুটির দেখা পেল তারা। ভুল বোঝাবুঝিতে আজহার আলী (৫৯ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কা) রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন। ফখর হয়ত বুঝেছিলেন সতীর্থের রানআউটে তার দায়টাও কম নয়। অপর প্রান্ত থেকে আজহার চলে এলেও ফখর ক্রিজ ছেড়ে নড়েননি। এই বিষয়টাই হয়তো বেশি তাতিয়ে দিয়েছিল চলতি টুর্নামেন্টেই অভিষেক হওয়া বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানকে। আজহার যখন আউট হন তখন তার রান ৬৮ বলে ৫৬। শতক হাঁকান ৯২ বলে। ৩৪তম ওভারের প্রথম বলে যখন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে ফেরেন তখন পাকদের সংগ্রহ পুরোপুরি ২০০। সাহসী ফখরের ভাগ্যটা ভালো বলতেই হয়। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বুমরাহ’র প্রথমে দিলেন ওয়াইড। পরের দুর্দান্ত বাউন্সি লেন্থ বলে ফখরকে উইকেটের পিছনে ধোনির ক্যাচে পরিণত করেন এই পেসার। কিন্তু উদযাপন শুরু করার আগেই নো বলের সংকেত দেন আম্পায়ার।

পরে বাবর আজমের ৫২ বলে ৪৬ ও মোহাম্মাদ হাফিজের ৩৭ বলে ৫৭ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৩৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৫৪ রানে উইকেটশূন্য থাকা আশ্বিন ১০ওভারে ৭০ রান দিয়ে এদিনও উইকেটশূন্য। শুরুর ৫ ওভারে মাত্র ১০ রানের দুর্দান্ত এক স্পেল উপহার দেয়া ভুবেনেশ্বর কুমার শেষ ৫ ওভারে দেন ৩৪ রান। ৮ ওভারে ৬৭ রান দেন জাদেজা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করা দলের পক্ষে কিন্তু ভাগ্য কথা বলেছে কমই। এ পর্যন্ত ২০১৩ সালের ফাইনালেই কেবল প্রথমে ব্যাট করা দল জিতেছে। বাকি ৫ আসরেই জয়ী হয়েছে পরে ব্যাট করা দল। ওয়ানডেতে আইসিসির বড় কোন ইভেন্টে এই প্রথম ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। বারুদে ম্যাচকে যা করে তুলেছে আরো রোমাঞ্চকর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ