Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাঙামাটিতে লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং

রাঙামাটি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৭, ২:২৪ পিএম

রাঙামাটি জেলা সংবাদদাতা : পাহাড়ধস ও পাহাড়ি ঢলে ছিন্নভিন্ন রাঙামাটিতে রোববার ভোররাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ কারণে ফের পাহাড়ধসের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনমাস্টার নিউটন দাস জানান, আজ সকালে জেলার ভেদভেদী টিঅ্যান্ডটি, মুসলিমপাড়া বেতারকেন্দ্র এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ধসের আশঙ্কায় মাইকিং করা হয়।
গত মঙ্গলবার ভোররাত থেকে রাঙামাটির সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড়ধসে এখন পর্যন্ত ১১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বাড়িঘর, গাছপালা, ফসল ও গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ভয়াবহ পাহাড়ধসের পাঁচ দিনেও রাঙামাটি জেলার ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ কোনো তালিকা পাওয়া যায়নি। আবার উপদ্রুত এ এলাকায় ত্রাণ বিতরণের কাজে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ধসের কারণে ক্ষতির ব্যাপকতা এবং মাঠপর্যায় থেকে তথ্য আসতে দেরির কারণে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা সম্ভব হয়নি। তবে এ জন্য ত্রাণ কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না বলে দাবি তাদের।
মঙ্গলবারের পাহাড়ধসের পর থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি পর্যন্ত (শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে) গতকাল সকাল থেকে অটোরিকশা চলাচল শুরু হয়েছে। এরপর সড়কের ভাঙা অংশ (প্রায় চার কিলোমিটার) হেঁটে পার হয়ে ঘাগড়া এলাকা থেকে আবার লোকজন চট্টগ্রামের গাড়ি ধরছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ