Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অপরাধপ্রবণ শহর নরসিংদী

| প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নিয়ন্ত্রণে মোড়ে মোড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে ঃ নরসিংদী একটি মারাত্মক অপরাধ প্রবন শহর। খুন, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয় এই শহরে। এমন দিনের সংখ্যা কম যে দিন শহরে কোন অপরাধ সংঘটিত হয় না। ব্যাংক থেকে নিরাপদে টাকা উত্তোলন করে বাড়ী ফিরতে পারে না মানুষ। টাকা নিয়ে নিরাপদে মার্কেটিং করতে সাহস পায়না শহরবাসীরা। গত কয়েক বছরে এই শহরে কত সংখ্যক খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি সংঘটিত হয়েছে তার কোন পরিসংখ্যান নেই। মারাত্মক সব অপরাধের কারণে নরসিংদী জেলা শহরটি এর যুগযুগের ব্যবসায়ীক ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। রেল, সড়ক ও নৌ পথে শত শত যাত্রী প্রতি দিন নরসিংদী জেলা শহরে যাতায়াত করে। আর প্রায় প্রতিদিনই এসব মানুষ কোন না কোন অপরাধের শিকার হয়। শহর ও শহরের বাইরে থেকে আসা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় শহরের বড় বাজারটি দিন দিন ভেঙ্গে যাচ্ছে। দূরদুরান্ত থেকে ক্রেতারা এখন আর নরসিংদী শহরে খুব একটা আসছে না। শহরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের ভয়ে ব্যবসায়ীরা নরসিংদী শহর বিমুখ হয়ে পড়েছে। বিগত কিছুদিন পূর্বে ছিনতাইকারীদের কবলে পতিত হয়েছে নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শেখ তুলু। প্রকাশ্য দিন দুপুরে সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারী শাখা থেকে ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করে ব্যাংকের মূল ফটকের সামনে এসে ব্যাগটি হেন্ডেলে ঝুলিয়ে পিছনের চাকার তালা খুলতে যাবার সাথে সাথেই ৪/৫জন ছিনতাইকারী অভিনব কায়দায় তার টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনাটি ঘটে ব্যাংকে প্রহরারত পুলিশের সামনে। এই ঘটনার পর নরসিংদী শহরের ব্যাংকগুলোতে ব্যাংক আতংক দেখা দেয়। আতংক দেখা দেয় ব্যাংকের সাধারণ গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। আইন শৃংখলার এই দুরাবস্থা নিরসনে নরসিংদী শহরে ক্লোজ সার্কিট বা সিসি ক্যামেরা বসিয়েছেন নরসিংদী পৌর সভার মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল। তিনি নরসিংদী শহরের মোড়ে মোড়ে শহরের বিভিন্ন স্থাপনাগুলোতে চতুমুর্খী ক্যামেরা বসিয়েছেন। বাজির মোড়, হেমেন্দ্রসা’র মোড়, বটতলার মোড়, পায়রা চত্বরসহ ১৫/১৬টি মোড়ে চতুমুর্খী ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যার ফলে কোন অপরাধী অপরাধ করে শহর থেকে বেরিয়ে যাবার সময় তা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়বে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ যদি আন্তরিক হয় তবে শহরে এখন আর বড় ধরনের কোন অপরাধ সংঘটিত হবার সুযোগ থাকবে না। তবে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শুধু সিসি ক্যামেরা বসিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রন করা যাবে না। সিসি ক্যামেরার সাথে সাথে আইন শৃংখলা বাহিনীকে তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখতে হবে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ থাকলেই কেবল অপরাধ নিয়ন্ত্রন সম্ভব হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ