Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তানোরের গোল্লাপাড়া হাটের বেহালদশা

| প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মমিনুল ইসলাম মুন, তানোর (রাজশাহী) থেকে : রাজশাহীর তানোর পৌর সদরের অন্যতম গোল্লাপাড়া হাটের বেহাল দশা একটু বৃষ্টিতে হাটু পানি ও কাদামাটিতে দুর্ভোগ চরমে। জানা গেছে, প্রতি বছর হাট ইজারা থেকে আয় প্রায় ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু ইজারার একটি টাকাও হাটের উন্নয়নে ব্যয় করা হয় না। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী হাট ইজারার ৪০ ভাগ টাকা হাটের উন্নয়নে ব্যয় করার কথা রয়েছে। এদিকে হাট ইজারার বিপুল অঙ্কের টাকায় ইজারাদার ও মেয়রের পকেট ভারী হলেও পৌরবাসিদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌরবাসির অভিযোগ তাহলে হাট ইজারার এই বিপুল টাকা ব্যয় হয় কোন খাতে, হাটের যদি উন্নয়নই না হয় তাহলে হাট ইজারার প্রয়োজন কি ?
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখাযায়, মাছ পট্টির দুটি টিনসেড একেবারেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। টিনসেডের টিন উড়ে যাওয়ায় কাদামাটিতে একাকার ঝড়-বৃষ্টি ও প্রখর রোদ মাথানায় নিযৈ এর মধ্যেই মাছ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বিক্রেতারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আড়ৎদার মোস্তফা বলেন, তানোর পৌরসভার প্রধান হাট গোল্লাপাড়া এখানে ব্যাপক মাছ আমদানী এবং বিপুল ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটে। তিনি বলেন, বর্তমান মেয়র দায়িত্ব নেবার পর আমরা জোর দাবি জানিয়েছিলাম যাতে করে টিনসেডের টিন লাগানো হয়, কিন্তু তিনি আশ্বাস দিয়েও কোনো কাজ করছেন না। কুঠিপাড়া গ্রামের প্রসিদ্ধ মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভোটের আগে তিনি আমাদের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন তিনি বিজয়ী হলে প্রথমে মাছ বাজারের উন্নয়ন করবেন। কিন্তু তিনি বিজয়ী হওয়ার প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন তো দুরের কথা এখন তিনি আমাদের চেনেনও না।
জানা গেছে, সপ্তাহে দুই দিন শুক্রবার ও মঙ্গলবার হাট বসে এছাড়াও প্রতিদিন এখানে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ কোনো নিয়ম ছাড়াই দুই কেজি মাছ বিক্রি করলে খাজনা দিতে হচ্ছে ১৫ টাকা করে। আবার কাচা বাজারের একই অবস্থা একমণ কচু বিক্রি করলে খাজনা দিতে ৩০ টাকা। হাটের পানি নিস্কাশনের কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই হাটু পানি ও কাদামাটিতে একাকার হয়ে যায়। এব্যাপারে তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দেয়া হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। এ জন্য তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ শওকাত আলী বলেন, আমিও শুনেছি মাছ হাটে কিছু টিন দেবার কথা মেয়রের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ