রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কালকিনি (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে আইন শৃঙখলা পরিস্থিতি অত্যান্ত নাজুক অবস্থায় পৌছেছে। প্রতিদিনই চুরি ডাকাতি সহ গ্রাম্য দলাদলীকে কেন্দ্র করে চলছে হামলা পাল্টা হামলা, মামলা পাল্টা মামলার ঘটনা। আর আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে খাসেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের দিনে রাতে কাজ করে গলদঘর্ম অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দূর্গম এলাকা হওয়ায় এবং চরাঞ্চলে রাস্তাঘাট না থাকায় পুলিশ ব্যাপক তৎপর হলেও অপরাধীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে।
গ্রামবাসী জানায়, গত ৬মাস ধরে বাঁশগাড়ী গ্রামে গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্রকরে ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান সুমন পন্থিদের সাথে প্রতিপক্ষ আকতার সিকদার, খবির মৃধা, মামুন সিকদার, জসিম সিকদার, কাশেম বেপারীর কয়েক দফা হামলা, সংঘর্ষ ও বাড়ি ঘর লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আর উক্ত এলাকার পাশ্ববর্তী মুলাদি উপজেলায় বসে বাঁশগাড়ী এলাকার কবির মৃধার চোখ উৎপাটন করে দূর্বৃত্তরা। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও এনিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান সুমন সহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। আর সেই থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সুমন ও তার সমর্থকরা এলাকায় অনুপস্থিত থাকলে প্রতিপক্ষরা ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি সহ তার লোকজনের বাড়িতে কয়েক দফা হামলা ও বাড়ি ঘরে লুটপাট চালায়। এনিয়ে পাল্টা পাল্টি ডজন খানেকেরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়। আর এলাকা ধীরে ধীরে পুরুষ শূণ্য হতে থাকে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে শুরু হয়েছে একের পর এক চুরি ডাকাতির ঘটনা। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে গ্রামের একটি প্রবাসী পরিবার ও মালের হাটে ২টি দোকানে দূর্ধর্ষ ডাকাতি সহ কয়েকটি বাড়িতে চুরির ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে গত ৬মাস ধরে খাসের হাট পুলিশ দিনে রাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গ্রামবাসী জানায়, উক্ত এলাকায় গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্রকরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে পুলিশ ব্যাপক তৎপর না হলে একাধিক হত্যার ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। সেখানে পুলিশ যথেষ্ট আন্তরিক ছিল।
এব্যাপারে খাসের হাট পুলিশ ফাঁড়ির চার্জে থাকা ইন্সপেক্টর শামিনুল হক বলেন ‘বাঁশগাড়ী এলাকাটি দূর্গম চরাঞ্চল এলাকা। যেখানে এখনো রাস্তাঘাটের তেমন উন্নয়ন ঘটেনি।
অপরদিকে সেখানে মাইলের পরে মাইল পাটক্ষেত। আর অপরাধীরা বিশেষ করে এমন সব বাড়ি বা গ্রামকে টার্গেট করে আক্রমন চালায় যেখানে পুলিশ পৌছানোর আগেই তারা পাটক্ষেত ব্যবহার করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কিন্তু তার পরেও আমরা দিনে রাতে সর্বদা তৎপর রয়েছি এবং খবর পাওয়ার সাথে সাথে জীবন বাজি রেখে ঘটনাস্থলে পৌছে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে চেষ্টা করি। তবে এখানে গ্রামবাসীদের আন্তরিক হতে হবে এবং হানাহানি থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আর আমাদের ফাঁড়িতে দক্ষ অফিসার সংকট ও পুলিশের ব্যবহারে কোন গাড়ি না থাকায় সমস্যা হচ্ছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।