Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঈদ কেনাকাটা করতে হাজারো মানুষ প্রতিদিন পাড়ি জমাচ্ছে কলকাতায়

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : ঈদের কেনা কাটা করতে এবার বেনাপোল দিয়ে হাজারো মানুষ প্রতিদিন পাড়ি জমাচ্ছে কলকাতায়। ঈদকে সামনে রেখে চলতি জুনের শুরু থেকে কলকাতাগামী বাংলাদেশী যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুন। এদের বড় অংশই ফিরে আসছেন লাগেজভর্তি পণ্য নিয়ে। যশোরাঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষ কলকাতায় ঈদের কেনাকাটা করায় স্থানীয় বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আšতর্জাতিক বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দ্রæত অল্প খরচে কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে যাওয়া আসা সহজ।
ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে প্রতিদিন। ঈদকে সামনে রেখে এখন প্রতিদিন যাতায়াত করছেন ৭ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার মানুষ। চলতি মাসের ১৫ দিনে ভারতে যাতায়াত করেছেন ১ লাখ পাঁচ হাজার ৭০০ যাত্রী। এর মাধ্যমে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। যাদের সিংহভাগ ঈদের কেনাকাটা করে ফিরছেন। এখন ঈদের কেনাকাটায় যাতায়াত বাড়লেও ক’দিন পর থেকে ঈদ’র ছুটিতে কোলকাতাগামী যাত্রীর সংখ্যা আরো বাড়বে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন। ঈদের ছুটির সময় এ সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে বলেও কেউ কেউ ধারণা করছেন।
গত বছর ঈদের ছুটিকে ঘিরে দশ দিনে ৫০ হাজার ৬১৬ যাত্রী বেনাপোল-হরিদাসপুর চেকপোস্ট দিয়ে বৈধ পথে যাতায়াত করেছিলেন। সে হিসেবে দিনে গড়ে সাড়ে পাঁচ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছিলেন। এবার আরো বাড়বে যাত্রীর সংখ্যা। চাপের সময় যাত্রীদের যাতে দুর্ভোগে না পড়তে হয় সেজন্য বেনাপোল চেকপোস্টে পাসপোর্টের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার প্র¯তুতিও নিয়েছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। তবে দুর্ভোগে পড়তে হয় ভারতীয় চেকপোস্টে গিয়ে। সেখানে দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সেখানে ইমিগ্রেশনে ধীরগতির কাজের কারণে ১ কি:মি: লম্বা লাইনে যাত্রী দূর্ভোগ চরমে পৌছে যায়।সকালের যাত্রীরা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বিকেলে গেছেন ভারতে। বেনাপোল বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, সব শ্রেণির মানুষদের জন্য ভিসা সহজী হওয়ার কারণে সচ্ছল মানুষরা ঈদ-পুজোর কেনাকাটার জন্য ভারতের কলকাতায় চলে যাচ্ছে। সেখান থেকে তারা প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে ফিরছেন। এতে করে এদেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা হারাচ্ছেন। আগে ঈদে খুব বেচাকেনা হতো। এখন এলাকার মানুষরা ঈদের কেনাকাটার জন্য কলকাতায় যাচ্ছেন। সেখান থেকে তারা জামা কাপড়, জুতা-স্যান্ডেল কিনে আনছেন। এতে করে ছিটকাপড়, গার্মেন্ট এবং জুতা ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন বলে তিনি জানান।
বেনাপোলের ব্যবসায়ী জাহাংগীর হোসেন জানান, গত ৩/৪ বছর ধরে আমি কলকাতা থেকে ঈদের কেনাকাটা করছি। আমাদের জেলা থেকে ঢাকা চেয়ে কলকাতার দূরত্ব কম মাত্র আড়াই ঘন্টায় কোলাকাতায় গিয়ে মার্কেট করে আবার বাড়ি ফিরে আসা যায় । যাতায়াত খরচও কম। তাছাড়া বেনাপোল ও যশোরের বাজারে গলাকাটা দাম রাখা হয়। জিন্সের প্যান্ট এখানে তিন হাজার টাকা হলেও কলকাতায় ৭০০ টাকায় পাওয়া যায়। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর শরিফ জানান, অন্যান্য মাসের তুলনায় চলতি মাসে ভারতে যাতায়াত বেড়েছে যাত্রীদের। যাত্রীদের বেশিরভাগই ঈদের শপিং করে ফিরছেন। রমজানের শুরু থেকে এখন পর্যšত গড়ে সাত হাজার যাত্রী প্রতিদিন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করছেন। ঈদের সময় এ সংখ্যা নয় হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। কারণ সাধারণত ঈদের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভারতে ভ্রমণে যাওয়ার আগ্রহ থাকে। এ জন্য ওই সময় চেকপোস্টে বাড়তি চাপ থাকে। তবে যাত্রীরা যাতে দ্রুত ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করার প্রস্তুতি নেয়া হযেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ