Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সৈয়দপুরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : নীলফামারী জেলার একমাত্র বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে শহরে ব্যস্ত সময় পার করছে ক্ষুদ্র পোশাক প্রস্তুতকারী গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এরই মধ্যে তৈরি পোশাকের ব্যাপক মজুদ গড়ে তুলছে ব্যবসায়ীরা। তৈরি পোশাকের মধ্যে রয়েছে হাফ শার্ট, ফুল শার্ট, ফুল প্যান্ট, থ্রি কোয়ার্টার, টাউজার, মেয়েদের বোরকাসহ নানা ধরনের পোশাক। এখানে তৈরি পোশাক তুলনামূলকভাবে কম দাম হওয়ায় পাশের জেলার পাইকারি ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা বেশি। সরেজমিন দেখা যায়, বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পোশাক তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ সেলাই করছেন, কেউ পোশাক প্যাকেট করছেন। রমজানের শুরু থেকে অতিরিক্ত শ্রম (ওভার টাইম) দেন তারা। দর্জি শফিকুল ইসলাম বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় দুই ঈদ আর দুর্গা পূজার সময় বাড়তি কাজের চাপ থাকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। ওভার টাইম করে যে অতিরিক্ত মজুরি পাই, তা ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ার খরচসহ সংসারের কাজে লাগে। পোশাক প্রস্তুতকারি গার্মেন্টস মালিক আব্দুস সালাম বলেন, এবারের ঈদে আমরা স্থানীয় বাজারের দিকে তাকিয়ে আছি। কারণ এ বার সৈয়দপুরের তৈরি পোশাক নানা কারণে প্রতিবেশি দেশ ভারতে রফতানি হচ্ছে না। তবে জেলার ছয় উপজেলা ছাড়াও রংপুর, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় এখানকার তৈরি পোশাক নিয়ে যান পাইকাররা। একই বাজারের আরেক মালিক আজগার আলী বলেন, ঈদের বাজার এখনো তেমন জমে উঠেনি। আর কয়েকদিন পর পুরোদমে জমে উঠবে ঈদের বাজার। আশা করছি লাভ ভালোই হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি ও গার্মেন্টস মালিক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম বলেন, বিভিন্ন কারণে পোশাক রফতানি বন্ধ থাকায় আমরা স্থানীয় বাজারের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। আসছে ঈদে সৈয়দপুর থেকে সাড়ে চার কোটি টাকার পোশাক বিক্রি হওয়ার আশা করছেন পোশাক প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। গার্মেন্টস পণ্যের রফতানি কারক ও নীলফামারী চেম্বারের অব কমার্সের নির্বাহী সদস্য মতিয়ার রহমান দুলু বলেন, এসব পণ্য ভারত, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়। তবে নানা কারণে এবারের ঈদে এসব পোশাক বাহিরের দেশে যাচ্ছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ