বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুবি সংবাদদাতা : এক শিক্ষককে তুই ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন লাঞ্ছনার শিকার রসায়ন বিভাগের শিক্ষক আতিকুর রহমান।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার এক প্রপোজাল স্বাক্ষরের জন্য আতিকুর রহমান তার সহকর্মী আবদুল মাজেদ পাটোয়ারীকে নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশের পর কথা বলার এক পর্যায়ে আতিকুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী অশরাফ তুই ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলেন, ‘তুই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতি যদি আমি তোকে চাকরি না দিতাম... তোরে আমি নিয়োগ দিসি তুই আমার বিরুদ্ধে কথা বলস, তুই কি মনে করস তোর যোগ্যতায় তোর চাকরি হইছে...তোরা হারছস আমি জিতসি, আবার খেলা হবে তোদের সাথে...।’ এ সময় উপাচার্যকে বারবার অনুরোধ করা সত্বেও তিনি আতিকুর রহমানের সাথে এমন এভাবেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে থাকেন। উপাচার্যের এমন অসদাচারনে ভূক্তভোগী শিক্ষক অপমানিত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে নিজ কর্মস্থলে নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরনে জন্য রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ করেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল মাজেদ পাটোওয়ারী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যত কম ঘটবে ততই ভালো। আমাদের বড়-ছোট সকলের সহনশীল হওয়া উচিত। আমাদের অভিভাবকে যেমন সহনশীল হতে হবে তেমনি শিক্ষকদেরও।’ এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো: মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হলেও কিন্তু উপাচার্য মহোদয়ের মাধ্যমে আমাকে করতে হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরায় লিখিত অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানেন না দাবি করে ঘটনার বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।
এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের বলেন, ‘শিক্ষকদের সাথে এ ধরনের আচরণ শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করছে। উপাচার্য এর আগেও শিক্ষকদের সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করেছেন।’উল্লেখ্য এর আগে গত ১০ মার্চ শিক্ষকরা উপাচার্যের বাসভবন অবরুদ্ধ করলে তিনি শিক্ষকদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেন। এ নিয়ে শিক্ষকরা মনববন্ধনও করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।