Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

বোরো ধান মাড়াইয়ে দম ফেলার ফুরসত নেই ভাঙ্গায় চাষিদের

| প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কৃষকরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে। ধানে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। ধান মাড়াই শেষে কৃষনীরা বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে কুলায় ধান পরিস্কার করার কাজে ব্যস্ত। দম ফেলার সময় নেই তাদের। ধান গোলায় তোলা পরিবহনে পুরো মাত্রায় ব্যস্ত গ্রামীন জনপথের কৃষকরা। এলাকার শস্য ভান্ডার খ্যাত ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কৃষকরা মুলত ধান চাষের উপর নির্ভরশীল। চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত সার, উন্নত মানের বীজ ও সেচ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে চলতি মৌসুমে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। এবছর ধান চাষের যে লক্ষ্য মাত্রা ছিলো তা ছাড়িয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই বেশির ভাগ কৃষকের মাঠ থেকে ধান কাটা শেষ হয়েছে। দীগন্ত জোড়া মাঠে থাকা পাকা ধান সোনালী রং ধারন করে বাতাসে দোল খাচ্ছে। আনন্দ নিয়ে কৃষকেরা মাঠে ধান কাটছে। সোনারাঙ্গা ধানে বাম্পার ফলনের পর তার সুুগন্ধে মাতোয়ারা কৃষকের মন। আর নব উদ্দিপনায় আন্দোলিত গ্রামীন জীবন। কৃষানীরাও তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে ধান গোলায় তুলতে সাহায্য করছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৬ মেট্রিকটন থেকে ৭ মেট্রিক টন পর্যন্ত ফলন হয়েছে বলে এলাকার কৃষকরা জানান। অবশিষ্ট ধান কৃষকরা ঘরে তোলার পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ,বাতাসে ওড়ানো ও ঝাড়া থেকে শুরু করে বস্তায় ভরার কাজ। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষি শ্রমিকদের কাজের সৃষ্টি ও ন্যায্য মজুরী পাওয়ায় তারাও খুশি। অন্যদিকে ধানের ন্যয্য মুল্য পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি। এ ব্যাপারে উপজেলার সাউতিকান্দা গ্রামের কৃষক নয়ন শেখ জানান, তিনি এবছর ৩ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এছাড়া রশিবপুরা গ্রামে কৃষক বাহার বলেন, তিনি ৫ বিঘা জমিতে ২৯ জাতের ধান আবাদ করেছেন। বাম্পার ফলন হওয়ায় তিনিও খুশি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ভাঙ্গা উপজেলায় এবার ৫ হাজার হেক্টর বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে । এবারে ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা যে ধান কর্তন করেছে সেখানে দেখা গেছে যে শুকনো অবস্থায় সাত মেট্রিক টন পযর্ন্ত ফলন হয়েছে যেখানে ২৯ জাতের ধান বেশি। ধানের বীজ বপন করার আগে শোধন করে বীজতলা তৈরি করা হয়েছিলো। যার ফলে কোন রোগ বালাই দেখা যায়নি এবং পরবর্তিতে কিছু জায়গায় ধানের বøাষ্টার রোগে আক্রান্ত হলেও কৃষকেদেরকে পড়ামর্শ দিয়েছি এবং ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। যার ফলে বøাষ্টার রোগের আক্রমণ দেখা যায়নি। তাছাড়া উপযুক্ত আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত সারের ব্যবস্থা থাকায় ধানে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ