Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোবিন্দগঞ্জে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক ফুটপাতে গাড়ি, সড়কে যানজট

| প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

১ কি.মি. পথ অতিক্রমে সময় লাগে ৩০/৪০ মিনিট!
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের গোলাপবাগ এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত যানজট লেগে থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ায় যানজট এখন তীব্র আকার ধারন করায় জীবন যাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে শহরবাসীর। সেই সাথে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে আন্তঃজেলা ও দুরপাল্লার যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ। যানজটের কারণ হিসেবে ভুক্তভোগীরা জানান, যত্রতত্র সিএনজি, অটোরিক্সার ষ্ট্যান্ড, যানবাহন দাঁড়ানো এবং যখন তখন ঘণ্টার পর পর ঘণ্টা মহাসড়কের পাশে গাড়ী দাড় করিয়ে মালপত্র লোড-আনলোড করাই এই যানজটের মূল কারণ। শহরের একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের থানাচার মাথায় ইসলামী ব্যাকের সামনে ঢাকামুখী যাত্রীবাহী বাস ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে যাত্রী বুকিং করায় এবং পুরাতন মায়ামনি মোড়, ভাগ্য কুঠির জুয়েলার্স মোড় ও চতুরঙ্গ মোড় এলোপাথারী করে সিএনজি, অটোরিক্সা ও রিক্সাভ্যান ষ্টান্ড হিসেবে ব্যবহার হওয়ার পাশাপাশি চতুরঙ্গ মোড় হতে হাইস্কুল পর্যন্ত মহাসড়কের প্রস্ত কম হওয়ায় স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে। এতে করে যেমন দূরপাল্লার বিলাশবহুল যানবাহনের জ্বালানী খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনী সাধারন কোচের যাত্রীরা এ প্রচন্ড গরমে চরম দুভোগের শিকার হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন একই ভাবে যানজট থাকায় শহরের ব্যবসায়ীদের তুলনামূলক ব্যবসা কমে গেছে। শুধু তাই নয় যানজটের কারণে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের হাসাপাতালে নেয়াও বেশ কষ্ট সাধ্য হয়ে পরেছে। খুচরা ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে বড় যানবাহনের চাপে ছোট যানবাহন চলাছল কষ্টকর হওয়ায় অনেক গ্রাহক আর গোবিন্দগঞ্জ শহরমুখি হচ্ছে না। এতে করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বেচা-বিক্রি কমে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পরেছে। গাইবান্ধা-বগুড়া রুটে একটি যাত্রীবাহী গেট লক বাসের চালক আব্দুল কাফি জানান, গোবিন্দগঞ্জ শহর পার হতে ৩০ থেবে ৪০ মিনিট সময় লাগে। এতে করে যাত্রী সাধারন যেমন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তেমনি গাড়ীরও অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হচ্ছে। মহাসড়কে যানজট নিরসনে নিয়োজিত হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ সহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’র তেমন কোন কার্যক্রম দেখা যায় না।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইন্চার্জ আবুল বাশার বলেন, মহাসড়কের দু’পার্শ্বে অপরিপল্পিত ভাবে খনন করে রাখায় বর্ষায় সে জায়গাগুলিতে পানি জমে থাকায় কোন যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। এ ছাড়া থানা মোড়ের ঢাকাগামী যানবাহনের বুকিং কাউন্টার থাকায় সেখানে যাত্রী নেয়ার জন্য কোচ দাঁড়িয়ে থাকায় অহরহ যানজটের সৃষ্টি হয়। কাউন্টার সরানোর ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে কাউন্টার গুলি স্থানন্তর করলেই যানজট কমে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ