Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

জোয়ারে সচল, ভাটায় অচল

| প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মংলায় নাব্যতা সংকটে বিড়ম্বনায় ফেরি সার্ভিস
মংলা সংবাদদাতা : জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে চলছে মংলা নদীর একমাত্র ফেরি সার্ভিস। প্রতিদিন মাত্র ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা ফেরি সচল থাকে। বাকি সময় বন্ধ থাকে মংলার সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ফেরি সার্ভিসটি। এছাড়া সময়-অসময়ে লেগেই থাকছে ফেরির যান্ত্রিক ত্রæটির বিড়ম্বনা। ফলে নদীর দুই পাড়ে দীর্ঘ লাইনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়তই। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এখানকার ব্যবসায়ী, যানবাহন চালক, রোগীসহ বিভিন্ন ¤্রিেণ-পেশার লোকজনকে। নদীর দুই পাড়ে পর্যাপ্ত নাব্য না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের দ্বিতীয় এ সামুদ্রিক বন্দরকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে পশুর চ্যানেলের শাখা মংলা নালা নদী। ১৯৫৩ সালে চালনা থেকে বন্দরটি মংলায় স্থানান্তরিত হওয়ার কয়েক যুগ পর ২০০২ সালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এ নদীতে বহু কাক্সিক্ষত ফেরি চলাচল চালু করে। তখন থেকে প্রথম ২-৩ বছর নিয়মিত ফেরি চলাচল করে। এরপর নাব্য কমার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বছর ভাটার সময় ১-২ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকত। এখন সারাদিনে চলছে ৪ থেকে সাড়ে ৬ ঘণ্টা। এ স্বল্প সময়ের মধ্যে পার হতে পারছে না নদীর দুই পাড়ের যানবাহনগুলো। বাধ্য হয়ে চালকদের অপেক্ষা করতে হয় পরবর্তী জোয়ারের জন্য। নদী পার হওয়ার জন্য মংলা থেকে চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশাল, উত্তরবঙ্গ, সিলেট ও বিভিন্ন স্থান েেথকে মংলায় আসা যানবাহনগুলোকে পুরো একদিন, কখনও দুই থেকে তিন দিনও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে মরা কটালের সময় জোয়ারে পানি কম হওয়াতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় যানবাহন ফেরিঘাটে আটকে থাকায় বাগদা, গলদা চিংড়ি, সুন্দরবন, সামুদ্রিক মাছসহ কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এছাড়া সার্বক্ষণিক ফেরি চলাচল না করায় রোগীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
ফেরির মাস্টার আবুল খান বলেন, েেজায়ারের সময় ফেরি চলে, আর ভাটায় শুকিয়ে যাওয়ার কারণে চলাচল করতে পারে না। এ সময় নদীর দুই পাড়ে গাড়িগুলো আটকে থাকে পরবর্তী জোয়ারের জন্য। ফেরির ইজারাদারি প্রতিষ্ঠান েেমসার্স রানী এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার হারুনুর রশিদ জানান, ভরা কটালের সময় দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৬ ঘণ্টা আর মরা কটালের সময় ৪ ঘণ্টা করে ফেরি চলাচল করতে পারে। এতে তাদের আর্থিক ক্ষতিসহ অনেক লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, নদীর নাব্য রক্ষার দায়িত্ব বিআইডবিøউটিএ ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যে নদীর নাব্য রক্ষায় ড্রেজিং করার জন্য কয়েক দফায় সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট মহলে কথা বলেছি। মংলা-ঘসিয়াখালী চ্যানেলের মংলা নদীর অংশে ড্রেজিংয়ের কাজ চললেও বিআইডবিøউটিএর ডিজাইন এরিয়ার মধ্যে নদীর দুই পাড়ে ঘাট না থাকায় তারা খনন করে দিতে পারছে না। খননের বিষয়ে বিআইডবিøউটিএর প্রকৌশলীদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ