বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চট্টগ্রামে বলেছেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ বসতির ক্ষেত্রে কোনও ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব সহ্য করা হবে না। এসব ক্ষেত্রে যে কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধির প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে বসবাসকারী মানুষদের সরিয়ে নেওয়া। আপনারা এটাকে বলেন উচ্ছেদ, কিন্তু আমি বলবো উদ্ধার। উদ্ধারের জন্য প্রয়োজন হলে বলপ্রয়োগ করেও তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাসে বাটালিহিল পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। পাহাড় ধসের ঘটনা পরিদর্শনে এসে বুধবার মন্ত্রী রাঙামাটি ও বান্দরবান গেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি চট্টগ্রামে পাহাড়ে উচ্ছেদ কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের তৎপরতা সহ্য করা হবে না।
মন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড় ধসে যারা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকবে কিন্তু দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে আমরা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে রি-অ্যাকটিভ (প্রতিক্রিয়ামূলক) ভূমিকা পালন করছি। বাট আওয়ার রুল শুড বি প্রো-অ্যাকটিভ।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের দুর্যোগ যে আগামী বছর হবে না তা আমরা হলফ করে বলতে পারি না। এ দুর্যোগের জন্য আমি দায়ী করবো অপরিকল্পিত বসতি ও আমাদের মানসিকতা। গরিব মানুষ জানমালের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বসতি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চায় না। আমাদের উচিত যেতে না চাইলেও তাদেরকে জোর করে হলেও নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া যারা উদ্ধার হয়েছে তাদেরকে বিকল্প পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
রাঙামাটিতে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণ হিসেবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাঙামাটিতে প্রতিরোধমূলক দেয়াল বা রিটেইনিং ওয়াল ছিল না।
তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো শুধুমাত্র শহরে নয় গ্রামেও রয়েছে। এখনও যেসব পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস রয়েছে সেগুলো অবিলম্বের সরাতে হবে।’
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসিরউদ্দিন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য আফসারুল আমিন ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবীর আহমেদ মানিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।