বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খলিলুর রহমান : টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেলে সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকায়। এতে তলিয়ে গেছে বাসা-বাড়ি, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাই দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে গতকাল বুধবার সিলেটের জিন্দাবাজার, তাঁতীপাড়া, হাওয়াপাড়া, দাড়িয়াপাড়া, জল্লারপাড়, মির্জা জাঙ্গাল, বাদামবাগিচা, পীরমহল্লা, চৌকিদেখি, হাউজিং এস্টেট, করের পাড়া, দরগা গেট, মদিনা মার্কেট, বাগবাড়ি, শাহজালাল উপশহর, সোনারপাড়া, ভাতালিয়া, তালতলা, জামতলা, লামাবাজার, রায়নগর, মিরাবাজার, আগপাড়া, ছড়ারপার, মাছিমপুর, সাপ্লাই, সুবিদবাজার, বনকলাপাড়া, জালালাবাদ আবাসিক এলাকা, কুয়ারপার, চারাদীঘিরপাড়, বিলপাড়, কাজির বাজার এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এছাড়া নগরীর সিটি সুপার মার্কেট, লালদীঘিরপাড় মার্কেটসহ আরো অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডুবে যায় তলিয়ে যায় পানির নিচে। দোকানে পানি উঠে নষ্ট হয়ে গেছে বিভিন্ন দোকানের মালামাল। সিলেট মহানগরীর মতো শহরতলির বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধায় ডুবে যায়। শহরতলির সোনাতলা, মইয়ারচর, নাজিরের গাঁও, হায়দরপুর, শেখপাড়া, আখালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকতে দেখা যায়। মইয়ার স্কুল জলাবদ্ধতায় ডুবে যায়। মাঠে শিশুদের সাঁতার কাটতেও দেখা যায়।
এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সিলেট নগরীর রাস্তাঘাটে যখন যানজট, তখন গতকাল দুপুরে জলাবদ্ধতায় নাকাল হয়ে উঠে জনজীবন। ভোরের দিকে শুরু হওয়া বৃষ্টি অব্যাহত ছিল সারা দিন। কখনো থেমে থেমে আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী এবং চালকরা। পানি লেগে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে হাটুর উপরে থাকা পানিতে নেমে ঠেলে ঠেলে যানবাহন নিতে দেখা যায়। রেকর্ড পরিমান বৃষ্টিপাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নগরীর হাওয়াপাড়া, বারুতখানা, শিবগঞ্জ, খরাদিপাড়া, কুমারপাড়া, চারাদিঘীরপাড় বাদামবাগিচা, পীরমহল্লাসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। অনেকের বাসায় পানি ডুকে আসবাবপত্র, খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পূর্ব জিন্দাবাজারের খালিকভবনে দেখা যায় বাসার সকল আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। পানিতে ফ্রিজ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসব এলাকার বিভিন্ন দোকানপাঠের মালামালও নষ্ট হয়েছে। হাওয়াপাড়া মসজিদ তলিয়ে গেছে পানির নিচে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।