Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিএমডিএ-পল্লী বিদ্যুৎ দ্বন্দ্বের কৃষকের সর্বনাশ

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে পল্লী বিদ্যুৎ ও বিএমডিএ’র দ্ব›েদ্ব সাধারণ কৃষকগণ পড়েছেন চরম বিপাকে। কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই অফিস জরিমানা আদায়ের নামে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ২৪টি গভীর নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ। ফলে ২৪টি গভীর নলকূপ এলাকার কৃষকের আউশ ধান, সবজি খেত ও আমনের বীজতলা পানির অভাবে মরতে বসেছে। অথচ গত ১০ দিন ধরে এই পরিস্থিতি বিরাজ করলেও বিষয়টি এখানো সুরাহা হয়নি। গত ৮ জুন তানোর বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী রাজশাহী পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজারকে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তাতেও কোন উদ্যোগ নেন নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে এসব এলাকার হাজারো কৃষক তাদের ফসল নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভূগছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোর বিএমডিএর ৫৩৬টি গভীর নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬৮টি গভীর নলকূপে পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া আছে। এর মধ্যে উপজেলার চন্দনকৌঠা, অমৃতপুর ও বহড়াসহ ২৪টি গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়। বাকি গুলোরও বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হবে বলে পল্লী বিদ্যুৎ প্রতিনিয়ত ‘বিএমডিএ’ কে হুমকি দিচ্ছেন।
তানোর বিএমডিএ অফিস বলছে, প্রতিটি গভীর নলকূপের এনার্জি মিটার রিডিং অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়েছে। কোন সেচযন্ত্রের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া নেই। কিন্তু ১১৯টি সেচযন্ত্রে পাওয়ার ফ্যাক্টর জরিমানা আদায়ে সেচযন্ত্রের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করেছে।
উপজেলার অমৃতপুর গভীর নলকূপের অপারেটর শফিকুল ইসলাম জানান, নোটিশের মাধ্যমে অবহিত ছাড়াই চলতি মাসের ৪ জুন তার গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে। এতে করে নলকূপ এলাকার অনেকের কচু ও আউশ ধানের খেতসহ আমনের বীজতলা পানির অভাবে মরার উপক্রম হয়েছে। শুধু তার নলকূপ এলাকায় নয় ২৪টি নলকূপ এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করছে।
তানোর বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, কৃষি বান্ধব সরকার ফসল উৎপাদনে কোটি কোটি টাকা ভুর্তকী দিচ্ছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ’র সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সেচ যন্ত্রের সংযোগ বিছিন্ন করেছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এমন খামখেয়ালীপনায় কৃষকের হাজার বিঘার ফসল নষ্ট হচ্ছে এর দায় নিবে কে। তিনি আরও বলেন, বিছিন্ন সেচযন্ত্রে সংযোগ প্রদানে ইতোমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠির আলোকে সংযোগ প্রদানে গড়িমশি করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ। এব্যাপারে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম সামসুদ্দোহা বলেছেন, বিএমডিএর সেচযন্ত্রের পাওয়ার ফ্যাক্টর মাসুল অনাদায় রয়েছে। এ কারণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ