রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই মামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী আলীরাজসহ ২জন গ্রেপ্তার হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার আল্লারদর্গা বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ১লা জুন বেলা ১১ টার দিকে আল্লারদর্গা বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে বাসের ভেতরে গ্রামীণ ফোন এজেন্টের এক কর্মচারীকে ছুরিকাঘাত করে ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় আলীরাজের নেতৃত্বে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় মামলা হলে সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দেয়। মামলার প্রধান আসামী আলীরাজ আল্লারদর্গা বাজরে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে দৌলতপুর থানার এসআই শাহাদত হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জালাল উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জালাল উদ্দিনের ছেলে সন্ত্রাসী আলীরাজ বাড়ির ছাদে লুকানোর চেষ্টা করলে পুলিশ আলীরাজ (৩০) ও তার সহযোগী চামনাই গ্রামের মৃত আব্দুলের ছেলে ইদ্রিস (৩৭) কে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া অঞ্চলের গ্রামীণ ফোনের ফেলিক্সিলোড এজেন্ট সুরেকা এন্টারপ্রাইজের ৩ জন কর্মী ১লা জুন সকালে টাকা আদায় করে ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য কুষ্টিয়া গামী বাসে যাচ্ছিলেন। পথে বাসটি আল্লারদর্গা বাসষ্ট্যান্ডে দাঁড়ায়। এসময় এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাসে উঠে গ্রামীণ ফোন এজেন্টের এক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার শিকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, ব্যাগে ১০ লাখ টাকা ছিল। বাসটি আল্লাদর্গা বাজারে এসে দাঁড়ানোর পর পর কুখ্যাত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী আলীরাজ ও মাসুম বাসে উঠে। এ সময় জামাত, ফয়সাল ও মানিকের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সশস্ত্র ছিনতাইকারী বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেয়। পরে টাকা ছিনতাইয়ের পর তারা পালিয়ে যায়। আলীরাজ ও ইদ্রিস গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করে দৌলতপুর থানার এসআই শাহাদত হোসেন জানান, টাকা ছিনতাই মামলার আসামী আলীরাজ ও তার সহযোগী ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, টাকা ছিনতাই মামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী আলীরাহসহ ২জন গ্রেপ্তার হলে তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাঁকী আসামীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।