বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে বেপরোয়া ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক শফিকুল ইসলামের মটর সাইকেলের চাকায় পিষ্ট হয়ে ৭ বছরের প্রতিবন্ধী শিশু মূত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তানোরের চাপড়া মিরাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রভাবশালী আব্দুলের পুত্র শফিকুল ইসলাম। সম্পতি গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাচন্দর ইউপির বিনোদপুর গ্রামে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন শিশুকে উদ্ধার করে প্রথমে তানোর হাসপাতাল ও পরে রামেক হাসপাতালে নিলে কর্তবরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে। শিশু কন্যার মূত্যুর খবরে তার পরিবারে শোকের মাতম শুরু হয়, এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
এদিকে শিশু মূত্যুর পর প্রভাবশালী শফিকুল ইসলাম ঘটনা আড়াল করতে রাজশাহী শহরেই শিশুর দাফন সম্পন্ন করে।
স্থানীয়রা জানান, এই ঘটনায় নিহত শিশুর স্বজনরা তানোর থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে তাদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও এলাকাছাড়া করার হুমকি দিয়ে মামলা না করেই থানা থেকে ফেরত আসতে বাধ্য করেন প্রভাবশালী শফিকুল ইসলামের স্বজনরা। এমনকি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ-মিমাংসার জন্য তাদের ওপর চাপ দেয়া হয়। চলতি বছরের ৩০ই মে পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে এক সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে প্রতিবন্ধী বলে নিহত শিশুর জীবনের মূল্য মাত্র ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ ও জরিমানা আদায় করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, নিহত শিশুর পরিবার সালিশের রায় মানতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। কিন্তু বিচারকগণ প্রায় জোরপূর্বক সালিশের রায় মানতে তাদের বাধ্য করেন। এব্যাপারে পাচন্দর ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, রামেক হাসপাতালে মৃত্যুর পর পার্শ্বের থানা থেকে অনুমতি নিয়ে দাফন সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, চালক শফিকুলের জামাই এসেছিল আপোষ মিমাংসার জন্যে, কিন্তু যেহেতু হত্যার ঘটনা এ জন্যে তাকে বলা হয়েছে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আপোষ মিমাংসা করতে হবে। এ ব্যাপারে পাচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বিচারের কথা স্বীকার করে জানান, বিচারে সকলের সম্মতিতে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় কোন অভিযোগ আসেনি থানায়। নিহতের ঘটনায় আপোষ মিমাংসা করা যায় কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সড়ক দূর্ঘটনার বিষয় আপোষযোগ্য। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় শফিকুল ইসলামের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।