পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিংহভাগ যাত্রী নৌপথে : আষাঢ়ে অমাবশ্যার ভরা কোটাল নিরাপত্তার বড় অন্তরায়
নাছিম উল আলম : ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সারা দেশ থেকে অন্তত দশ লাখ মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরমধ্যে নৌপথেই অন্তত নব্বইভাগ যাত্রী যাতায়াত করবে বলে আশা করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টজনেরা। নৌ পরিবহনমন্ত্রী মোঃ শাহজাহান খান ইতোমধ্যে বরিশাল নদী বন্দর এবং বরিশালÑভোলা ও ভোলাÑল²ীপুর ফেরি সেক্টরসহ দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌ বন্দরগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি আসনন্ ঈদেও আগে-পরে নিরাপদ নৌ পরিবহন ব্যবস্থা বহাল রাখাতে সংশ্লিদের তাগিদ দিয়েছেন। তবে গতকাল থেকে দক্ষিণ উপকূলের আবহাওয়া পরিস্থিতি কিছুটা বিরূপ আকার ধারন করায় এবারের আষাঢ়ী বর্ষনের মধ্যে ঈদ যাত্রা কতটুকু নির্বিঘœ ও নির্ভার থাকবে সে বিষয়ে দুশ্চিন্তাও রয়েছে নৌযান চালকসহ মালিক কতপক্ষের মধ্যেও। ঈদের সময়টিতে অমাবশ্যার ভড়া কোটালে ভর করে আবহাওয়া পরিস্থিতি কতটা অনুকুল থাকবে, সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই নৌযান পরিচালনার তাগিদ রয়েছে দায়িত্বশীল মহল থেকে। তবে সরকারী-বেসরকারী সব পরিবহনগুলোতে টিকেটের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। বেসরকারী নৌযান মালিকগন আজ (সোমবার) থেকে ঈদের বিশেষ সার্ভিসের কেবিন টিকেট বিক্রি শুরু করছে।
বিআইডবিøউটিসি’র নিয়মিত রকেট স্টিমারসহ বিশেষ সার্ভিসের টিকেট কবে বিক্রি শুরু হবে তা বলতে পারেননি দায়িত্বশীল মহল। সড়ক পথেও বাসগুলোতে আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হচ্ছে আজকালের মধ্যে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক ও আকাশ পথেও বিপুল যাত্রী চলাচলের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারী নৌ ও সড়ক পরিবহন সংস্থাগুলো ২২ জুন থেকে ঈদ স্পেশাল সার্ভিস শুরু করতে যাচ্ছে। বেসরকারী নৌযান মালিকগন ২১ জুন থেকে রোটেশন প্রথা রহিতসহ ২৩ জুন থেকে প্রতিদিন ডবল ট্রিপে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে।
রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন সংস্থা-বিআরটিসি’র বরিশাল ডিপো’র ৪৬টি বিভিন্ন ধরনের যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে অন্তত ৪০টি ঈদের আগেই যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করবে। তবে দেশের অন্যতম লাভজনক এ বাস ডিপোটির বেশীরভাগ গাড়ীগুলোই দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ায় তাতে যাত্রী সুবিধা নিশ্চিত হচ্ছে না। আসন্ন ঈদের আগে-পরেও লক্কর মার্কা বাসগুলোই সরকারী এ সড়ক পরিবহন সংস্থাটির যাত্রীদের ভরসা হয়ে থাকছে। বেসরকারী বিভিন্ন পরিবহন মালিকগন বেশকিছু বিশেষ বাস পরিচালনা করছে।
অপরদিকে রাষ্ট্রীয় নৌ-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান-বিআইডবিøউটিসি তার ৪টি প্যাডেল জাহাজ ও দুটি স্ক্র-হুইল নৌযান আসন্ন ঈদ উল ফিতরের আগে নিয়মিত ও স্পেশাল সার্ভিসে নিয়োজিত করছে। সংস্থাটি ২২জুন ঢাকা থেকে নিয়মিত ট্রিপের বাইরেও স্পেশাল স্টিমার চালাতে যাচ্ছে। তবে যাত্রী চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে সময়সূচী নির্ধারন না করায় সরকারী এ প্রতিষ্ঠানটির নৌযানে যাত্রীদের ভ্রমনে আগ্রহ থাকেনা। অতীতে বেসরকারী নৌযানগুলো যেখানে ধারন ক্ষমতার তিনগুন পর্যন্ত যাত্রী বহন করেছে, সেখানে বিআইডবিøউটিসি’র নৌযানে ক্ষমতার অর্ধেকের বেশী যাত্রী ভ্রমন করেনি কখনো। এর মূল কারণ হিসেবে সংস্থাটির নৌযানসমুহ অনেক আগে গন্তব্যে যাত্রা করায় তাতে ভ্রমনে যাত্রীদের অনাগ্রহ লক্ষ করা গেছে। এবারো সংস্থাটির কথিত যাত্রী সেবা ইউনিট সে ধারা থেকে বের হতে পারছে না বলে জানা গেছে। উপরন্তু বিআইডিবিøউটিসি ঈদের আগে অপ্রয়োজনীয় সময়ে আমলা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন আইনÑশৃংখলা বাহিনীর জন্য শুধুমাত্র প্রথম শ্রেণী বোঝাই করে শূণ্য ডেক নিয়ে যাতায়াত করে থাকে। অথচ ঈদ পরবর্তি প্রচন্ড ভীড়ের সময়টিতে হাত গুটিয়ে বসে থাকে সংস্থার যাত্রীসেবা ইউনিট। গতকাল পর্যন্ত সংস্থাটি কোন ঈদ স্পেশালের তফসিল ঘোষণা না করলেও ২২জুন থেকেই ঈদ স্পেশাল চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থার দায়িত্বীল মহল।
ফলে কতিপয় সরকারী আমলার একগুঁয়েমী ও হঠকারিতায় আসন্ন ঈদুল ফিতরের পরে দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের জন্য চরম বিড়ম্বনা অপেক্ষা করছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবাহাল মহল।
তবে সরকারী নৌ বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানটির এসব সেচ্ছা অন্ধত্বের মধ্যেই বেসরকারী নৌযান মালিকগন আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে-পরে রাজধানী ঢাকা থেকে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রূটে যাত্রী ভীড় সামাল দিতে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ২৩ জুন থেকে ঈদের আগের রাত এবং ঈদের পরদিন থেকে জুলাই-এর প্রথম সপ্তাহ জুড়েই দক্ষিণাঞ্চলে থেকে রাজধানীমুখী বিশেষ নৌযান পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে। জুলাই-এর প্রথম সপ্তাহ যুড়ে কোন রোটেশন পদ্ধতি থাকছে না বেসরকারী নৌযান মালিকদের।
ঈদকে সামন রেখে ঢাকাÑবরিশাল আকাশ পথে বেসরকারী ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ৩টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। তবে জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স-এর তরফ থেকে এখনো সে ধরনের কোন খবর মেলেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।