Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড্ডা থানার ওসিসহ পুলিশের বিরুদ্ধে তিন মামলা

| প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং ভাঙচুরের অভিযোগে আদাণতে মামলা হয়েছে। ওসি ছাড়া অন্যান্য আসামীরা হলেন একজন এসআই এবং দুই এএসআইসহ আট জন। গত বুধবার ঢাকার একটি আদালতে মামলাটি করেছেন উত্তর বাড্ডা পূর্বাচল সড়কের ২৪ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা নুরুন নাহার নাছিমা বেগম। এছাড়া ভাটেরা থানার ওসিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে এবং নারায়নগঞ্জে বিযি পুলিশের বিরুদ্ধে আরো পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে আদালতে। গতকাল চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি ও বাসা বাড়িতে ভাংচুরের অভিযোগে পৃথকভাবে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মাযহারুল ইসলাম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার দায়িত্ব দেন আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদাল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মো. ইস্পাহান মির্জা।
আসামিরা হলেন- বাড্ডা থানার ওসি এমএ জলিল, বাড্ডা থানার এসআই শহীদ, এএসআই দ্বীন ইসলাম, এএসআই মো. আব্দুর রহিম, অ্যাডভোকেট জাহানারা রশিদ রূপা, রোকেয়া রশিদ, আতাউর রহমান কায়সার ও মো. শুক্কুর আলী। মামলায় পাঁচজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মামলার বাদী নুরুন নাহার নাছিমার সঙ্গে মামলার পাঁচ নম্বর আসামি জাহানারা রশিদের (বাদীর সতীনের মেয়ে) জমিজমা নিয়ে মামলা চলে আসছিল। আসামি জাহানারা রশিদ বাদী ও তার আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মামলা করেছেন। আসামি জাহানারা রশিদের বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। ডেসকো তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে তিনি বাদীর থেকে সংযোগ নিতে চাইলে বাদী অপারগতা প্রকাশ করেন। আসামি জাহানারা রশিদ বাড্ডা থানার পুলিশের সহায়তায় বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণের জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন।
পরবর্তীতে গত ২৬ মে ওসি এম এ জলিলের আদেশে এএসআই আব্দুর রহিম বাদীর ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে বাসার চাবি নিয়ে যান। বাদী চাবি ফেরত চাইতে থানায় গেলে এএসআই আব্দুর রহিম ওসি এম এ জলিলের জন্য দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর ১০ জুন এম এ জলিলের আদেশে বাদীর বাড়িতে এসআই শহীদ, এএসআই দ্বীন ইসলামসহ আরো তিনজন কনস্টেবল এবং সিভিল পোশাকে ৫/৭ জন এবং ৫ থেকে ৮নং আসামিরা বাদীর অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে এসে তার ছেলে রবিন দেওয়ানকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বলেন। রবিন সংযোগ দিতে অপারগতা জানালে আসামি দ্বীন ইসলাম এবং শহীদ তাকে গালিগালাজ-মারপিট করেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে যান। বাদী নুরুন নাহার নাছিমা বাসায় এসে দেখেন ২,৩,৫,৬,৭ ও ৮নং আসামি এবং তিনজন পুলিশ কনস্টেবল তার সমস্ত আসবাবপত্র তছনছ করেছে। আসামি দ্বীন ইসলাম তার আলমারি ভেঙে ২০ হাজার টাকা এবং পাঁচ ভরি স্বর্ণ এবং আসামি জাহানারা রশিদ বাদীর জমিজমার কাগজপত্র নিয়ে যান। আসামি দ্বীন ইসলাম বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বাদী এবং তার প্রতিবেশী হারিছ মিয়াকে হত্যার হুমকি এবং রবিনকে বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬ মে আসামি এমএ জলিলের আদেশে অন্য আসামিরা বাদীর বাসার ভাড়াটিয়াকে বের করে ফ্লাটে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে নেয়। পরে চাবি ফেরত চাইলে বাড্ডা থানার এএসআই আব্দুর রহিম দুই লাখ টাকা দাবি করে সরাসরি থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। না দিলে বিপদে পড়ার হুমকি দেন তিনি।
ভাটার থানার ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা ঃ
ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল মোত্তাকিমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।
গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন মমতাজ উদ্দিন খান। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন ভাটারা থানার এসআই বাবুল হোসেন ও এএসআই মারুফ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাদীর বাসায় যান। বাসায় জোর করে ঢুকে আলমারির ভেতর থেকে ২৫ ভরি স্বর্ণ ও তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা।
নারায়ণগঞ্জের ডিবির এএসআইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা ঃ
চাঁদা দাবি করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ডিবির এএসআই মনিরের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ রাজধানীর কদমতলী থানার পরিদর্শককে (তদন্ত) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এর আগে জসিম উদ্দিন মৃধা নামে এক ব্যবসায়ী মনির বিরুদ্ধে একটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালের ২৪ মে ব্যবসায়ী জসিম কদমতলীর সাদ্দাম মার্কেটের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে মনির গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার গতিরোধ করে ও মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। জসিম মোটরসাইকেল ফেরত চাইলে তার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন মনির। টাকা না দিলে বিভিন্ন মামলায় আসামী করার হুমকি দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ