পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাস্কর্য হিসেবে বসানো স্থাপনার বেশির ভাগই কুরুচিপূর্ণ। এমনটিই মনে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগ প্রাক্তনি সংঘ। ভাস্কর্যবিশেষজ্ঞরা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে কথিত ‘ভাস্কর্য’ স্থাপন, অপসারণ ও প্রতিস্থাপনের যে ঘটনা ঘটেছে তা প্রতিক্রিয়ায় জনমনে বিবিধ বিভ্রান্তি ও আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ভাস্কর্যের বিশেষ একটি ধারা অর্থাৎ গণপ্রাঙ্গণ বা উন্মুক্ত স্থানের ভাস্কর্য স্থাপনকে কেন্দ্র করে বারবার নানা সংকট তৈরি হচ্ছে। এই অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মূলত একটি শুভ উদ্যোগের ক্ষেত্রে ভুল প্রক্রিয়া অনুসরণের কারণে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে ভাস্কর্য বিভাগ প্রাক্তনি সংঘ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংঘের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান এ এম কাউসার হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন চারুকলা বিভাগের সাবেক ছাত্র ও প্রাক্তনি সংঘের আহŸায়ক মজিবর রহমান, যুগ্ম আহŸায়ক ও ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম, ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান এ এ এম কাওসার হাসান, রাজু ভাস্কর্যের ভাস্কর শ্যামল চৌধুরী, প্রাক্তনি সংঘের সদস্যসচিব ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসিমুল খবির। এ সময় তারা ঢাকা শহর সব দেশের উন্মুক্তস্থানে ভাস্কর্য নির্মাণে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সামনে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। এ এ এম কাওসার হাসান বলেন, বিগত বেশ কয়েক বছর যাবৎ সৌন্দর্যবর্ধনের নামে ঢাকাসহ বিভিন্ন মহানগর ও জনপদে ভাস্কর্য হিসেবে কিছু স্থাপনা বসানো হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই কদর্য, কুরুচিপূর্ণ। দৃষ্টিনন্দন না হয়ে বরং দৃষ্টি দূষণের সৃষ্টি করছে। এই অ-নান্দনিক নির্মাণসমূহ এ দেশের শত শত ভাস্করদের ভাবমূর্তি যেমন বিনষ্ট করছে; তেমনি জাতীয় মর্যাদার জন্য হুমকিতে পরিণত হয়েছে। এই সব ভাস্কর্যের বেশির ভাগ নির্মিত ও স্থাপিত হয়েছে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। নির্মাণের আগে, নির্মাণের সময় অথবা পরে এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের কোনো অভিমতই গ্রহণ করা হয়নি। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিগত ২০০৮ সালে স্বচ্ছ ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রকৃত শিল্পীদের মাধ্যমে ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য নীতিমালা প্রস্তাব করে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়। কিন্তু অজানা কারণে বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়। এরপর একই ধরনের সংকটের পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে। ফলস্বরূপ দেশ ও জাতির জন্য শুধু অবাঞ্ছিত সংকটই তৈরি হচ্ছে না বরং ভাস্কর্যের সমকালীন অনুশীলনকেও তা বাধাগ্রস্থ করছে। কদর্য, কুরুচিপূর্ণ ভাস্কর্যের জন্যই এ শিল্প সম্পর্কে আলেম সমাজের মধ্যে অহেতুক বিভ্রান্তির জন্ম হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উন্মুক্তস্থানে ভাস্কর্য নির্মাণের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগ প্রাক্তনি সংঘ ১০ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন। বক্তরা বলেন, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যেই ভাষ্কর্যের নামে এসব স্থাপনা বসানো হচ্ছে। যা মানুষের দৃষ্টিনন্দন না হয়ে বরং নাগরিকদের দৃষ্টিদূষণের সৃষ্টি করছে। ভাস্কর্য স্থাপনের আগে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। যেখানে বিশেষজ্ঞ বিচারকমন্ডলী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া মডেল, নকশা ইত্যাদির তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রকৃত ভাস্করের যথাযথ ভাস্কর্যটি যথাযথ স্থানে স্থাপনের জন্য নির্বাচন করবেন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।