রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোর থেকে রেবা রহমান : যশোরে খোলা আকাশের নীচে অযতœ অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার মূল্যবান সম্পদ। বছরের পর বছর ধরে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের একটিবারের জন্য নজর নেই সেদিকে। শুধু যশোর স্টেশনেই নয়, মুন্সী মেহেরুল্লাহ নগর, ঝিকরগাছা ও সিঙ্গিয়া স্টেশনসহ বিভিন্ন স্টেশনের জানালা দরজা পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। বহুবারই বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু কোনরুপ পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। উপরন্তু রেলওয়ের জমি বেদখল এবং সম্পদ চুরি ও নষ্টের ঘটনা বেড়েছে। তারপরেও কর্মকর্তাদের টনক নড়ছে না।
যশোর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় লোহারপাত, কাঠ, ওয়াগন ও বগি পড়ে থাকার দৃশ্য দেখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, ‘কি করবো টিন শেড দেয়ার টাকা বরাদ্দ নেই। দেখছি নষ্ট ও চুরি হচ্ছে সরকারী সম্পদ কিন্তু কিছুই করার নেই। রেলওয়ের জমিজমার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। যে যার মতো ভোগ দখল করছে। আমাদের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া উপায় নেই’। রেলওয়ের সম্পত্তিতে কিভাবে বাড়ীঘর, দোকানপাট নির্মাণ হয় তারও কোন জবাব নেই। রেলওয়ের বিভাগ আছে এসব দেখাশুনার। তারাও চেয়ে চেয়ে দেখে। সুত্র জানায়, রেলওয়ের সম্পদ রক্ষায় যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার, তা নেয়া হচ্ছে না। রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, যশোর, নওয়াপাড়া ও কালীগঞ্জসহ যশোর অঞ্চলের ছোট বড় স্টেশন ও জংসনে সরকারের মূল্যবান সম্পদ অব্যবহৃত, অযতœ ও অহেলায় পড়ে আছে বহুকাল ধরে। ওয়াগন, বগী, লোহার পাত, ইস্পাত, স্লিপার ও লোহালক্কড় খোলা আকাশের নীচে রোদ বৃষ্টিতে রছরের পর বছর পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। চুরির ঘটনাও ঘটছে মাঝেমধ্যে। প্রায় প্রতিটি স্টেশনেই কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হলেও এ ব্যাপারে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ দৃষ্টি দেয় না বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। রেলওয়ের পরিত্যক্ত স্টেশন এবং গুদামে একজন পাহারাদার থাকে নামকাওাস্তে।
শুধু যশোরে নয়, এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় রেলপথে যাতায়াত করলে স্পষ্ট দেখা যাবে ট্রেন লাইনের প্রায় গা ঘেষে অনেক জমি দখল হয়ে গেছে। বাড়ীঘর নির্মাণ, চাষাবাদ ও গাছ-গাছালি লাগিয়েছে আশেপাশের লোকজন। যশোর রেলওয়ে স্টেশনের গা ঘেষে গড়ে উঠেছে বস্তি ও দোকানপাট। ট্রেন লাইনের দু’ধারে নির্দ্দিষ্ট এলাকার ফাঁকা জায়গা থাকে। যা অনেকটা বেহাত হয়ে যাচ্ছে। যশোরের শিল্পশহর নওয়াপাড়ার কমার্শিয়াল এলাকার কিছু জমি ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে দখল করে নেয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা হয় কয়েক বছর আগে। স্টেট অফিসার দখলকারীদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে অনুপস্থিত থাকায় একতরফা রায় হয় দখলকারীদের পক্ষে। সরেজেিমন ঘুরে দেখা গেছে, যশোর-বেনাপোলের ঝিকরগাছা, নাভারণ, অমৃতবাজার, যশোর-খূলনা রেলপথের সিঙ্গিয়া, চেঙ্গুটিয়া, যশোর-চুয়াডাঙ্গা রেলপথের মেহেরুল্লাহ নগরসহ অনেক রেলওয়ে স্টেশন পরিত্যক্ত হয়ে গেছে বহু আগে। ওইসব স্টেশনের আসবাবপত্র, সিগন্যাল যন্ত্রপাতি ও জিনিসপত্র লোপাট হয়েছে। পড়ে থাকা অনেক স্টেশনের ঘরের ছাদ ভেঙ্গে লোহার এঙ্গেল লোপাটের ঘটনাও ঘটছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।