Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈয়দপুরে চাল সংগ্রহ অভিযানে অনিশ্চয়তা

| প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : সৈয়দপুর উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ অভিযানে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বর্ধিত সময়েও চাল কল মালিকরা চাল সরবরাহের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি না করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চালের বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে সরকারি ক্রয়মূল্য কম হওয়ায় চাল কল মালিকরা চুক্তিতে আগ্রহ দেখাননি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে সৈয়দপুর উপজেলায় ২ হাজার ২ শ’ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ২ হাজার ১৫৫ মে. টন এবং আতপ চাল ৪৫ মেট্রিন টন। গত ২০ মে ছিল চাল সরবরাহের জন্য সরকারের সঙ্গে চাল কল মালিকদের চুক্তি করার শেষ সময়। পরবর্তীতে এ সময়সীমা ৩১ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাত্র ৪ জন চাল কল মালিক সরকারের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি করেন। এদের মধ্যে ২জন হাসকিং মিল মালিক ও ২ জন অটোমিল মালিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সৈয়দপুর উপজেলায় সরকারের তালিকাভূক্ত ৩৩টি চাল কল রয়েছে। তন্মধ্যে হাসকিং মিল ২৮টি এবং অটোমিল ৫টি। বর্তমানে চালের বাজারমূল্য সরকারিভাবে নির্ধরিত মূল্যের চেয়ে কম হওয়ার মিল মালিকরা সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহ দেখায়নি। কারণ সরকার চলতি বোরো মৌসুমে ধান ২৪ টাকা এবং চাল ৩৪ টাকা ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেছেন। যদিও বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ৪০/৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এ হিসেবে সরকারকে চাল দিতে গেলে মিল মালিককে প্রতি কেজিতে ৭ থেকে ৯ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনতে হবে।
সৈয়দপুর উপজেলা চাল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম রেজু জানান, আমরা তো সরকারকে চাল দিতেই চাই। কিন্তু বর্তমানে সরকারিভাবে চাল ক্রয়ের যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে আমাদের পক্ষে কোনভাবে সরকারকে চাল সরবরাহ দেয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে বাজারেই যেখানে মোটা আকারের প্রতি কেজি চাল ৪০/৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে ৩৪ টাকা কেজিতে সরকারকে চাল দিব কিভাবে, কোথা থেকে? তিনি চালের সরকারি ক্রয়মূল্য সংশোধনের দাবি জানান।
সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রেজওয়ানুল হক জানান, এবারে বাজারে চালের মূল্যের যে অবস্থা তাতে উপজেলায় সরকারিভাবে চাল ক্রয় অভিযান নিয়ে আমরা চরম মধ্যে শঙ্কায় রয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ