Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নীলফামারীতে বিমাতা শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীতে বিমাতা শাশুড়ি মেহেরুন বানুকে (৫০) শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধু নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর পুত্রবধু পালিয়ে গেছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের শালহাটি গ্রামের এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পুলিশ মেহেরবানুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গতকাল শুক্রবার জেলার মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত মেহেরবানু ওই এলাকার আফতার আলী টসার দ্বিতীয় স্ত্রী ও একই জলঢাকা উপজেলার তালুক গোলনা গ্রামের মৃত আকালু মামুদের মেয়ে। জানা যায়, আফতার আলী টসার প্রথম স্ত্রী ১০ বছর আগে দুই ছেলে সন্তান রেখে মারা যায়। এরপর আফতার আলী টসা মেহেরবানুকে বিয়ে করে। বাড়িতে পুর্বের স্ত্রীর বড় ছেলে শহিদুল ইসলাম স্ত্রী সন্তান নিয়ে সিলেটে থাকলেও দ্বিতীয় ছেলে শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে নিয়ে বাবা ও বিমাতা মায়ের সঙ্গেই থাকতো। এলাকাবাসীর অভিযোগ বিমাতার সঙ্গে প্রায় পুত্রবধু নার্গিস আক্তারের ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। ঘটনার দিন  গত বুধবার দুপুরে পুনরায় ঝগড়া লাগে। এ নিয়ে হাতাহাতির এক পর্যায় পুত্রবধু নার্গিস আক্তার বিমাতা শাশুড়ির গলা চিপে ধরলে তিনি মারা যাান। এ অবস্থান মরদেহ সারারাত ঘরে লুকিয়ে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে গলায় দড়ি দিয়ে বিমাতা শাশুড়ি মেহেরুন বানু আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায়। আফতার আলী টসা সাংবাদিকদের জানান, তার দ্বিতীয় স্ত্রী মেহেরনবানু তাকে বলেছিল সে বুধবার দুপুরে বাবার বাড়ি যাবে। তিনি বিকালে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে পাননি। তার ধারনা ছিল স্ত্রী বাবার বাড়ি গেছে। কিন্তু সকালে জানতে পারি বাড়িতে তার লাশ। তাই পুলিশকে খবর দিলে ছেলের বউ নার্গিস আক্তার পালিয়ে যায়। এদিকে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সন্ধ্যায় থানায় নেয়। এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন বিষযটি নিশ্চিত করেন।





 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ