Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোটালীপাড়ায় ব্রিজে উঠতে বাঁশের সাঁকো

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কোটালীপাড়া উপজেলা সংবাদদাতা : ওঠা-নামার ব্যবস্থা না থাকায় কোন কাজে আসছে না পৌনে ১ কোটি টাকার ব্রিজ, দু-পাশের গোড়ায় মাটি না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে উঠতে হয় ব্রীজে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের কালীগঞ্জ-তেঁতুলবাড়ী রাস্তাায় রাশমোহন বাড়ৈর বাড়ীর দক্ষিণ পাশের খালে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। গত বছরের শেষের দিকে ব্রীজটি নির্মানের জন্য দরপত্র আহŸান করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয় অধিদপ্তর এল,জি,ই,ডি এবং নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় মাদারীপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জাহিদ কনষ্ট্রাকশন। ব্রীজটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫ লক্ষ টাকা। রং, নেইম প্লেট, দুই পাশের গোড়ায় মাটি ভরাট না করেই চলতি বছরের প্রথম দিকে কাজ সম্পন্ন করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারনের চলাচল করতে হয়। তাছাড়াও দেশের সর্ববৃহৎ আ¯্রম গণেশ পাগলের কদমবাড়ী প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রান ভক্ত শ্রোতাদের আগমন ঘটে এই রাস্তায়, এছাড়াও প¦ার্শবর্র্তী টেকের হাট , ভেন্নাবাড়ী , গাইন্দাশুর , গোপালগঞ্জ এলাকার লোকজনের প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয় এ রাস্তা দিয়ে । ব্রীজটির দুপাশে মাটি না দেওয়ায় ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, ফলে যাতায়াতের বিগ্ন ঘটছে চরম ভাবে। কোন ধরনের যানবাহন চলাফেরা করতে না পাড়ায় কৃষি পন্য পরিবহন করা যাচ্ছে না। বাশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে গুরু–তর আহত হয়েছেন পথচারী দুই বয়স্ক মহিলা, ব্রীজ নয় যেন মরণ ফাঁদ। তেঁতুলবাড়ী সার্বজনীন কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন বিশ্বাস, রনজিৎ বিশ্বাস, রসময় বিশ্বাস, রঞ্জন মূখার্জী বলেন বাশের সাঁকো দিয়ে যদি ব্রীজ পারাপার হতে হয় তাহলে সরকারের প্রায় কোটি টাকা খরচ করে কি লাভ হলো? এই ব্রীজ দিয়ে কোন পন্য ওঠা নামা করা যায় না, এর মধ্যে বাশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুই মহিলা মারাত্মক দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছেন। ব্রীজের দুপাশে অচিরেই মাটি ভরাট করা না হলে যে কোন সময় প্রাণ হানির মত বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে অতি দ্রæত মাটি ভরাট করে ব্রীজটিকে যোগাযোগের উপযোগী করে তোলার দাবি জানান। এব্যপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জাহিদ কনষ্ট্রাকশনের সত্ব্যাধিকারী জাহিদ হোসেন বলেন, কাজের সময় পাশে কোথাও মাটি পাওয়া গিয়েছিলো না। এখন খালে পানি হয়েছে ট্রলার দিয়ে ৪/৫ দিনের মধ্যে রং, নেইম প্লেট ও মাটি ভরাট করে যোগাযোগের উপযোগী করে তোলা হবে।
এল,জি,ই,ডির উপজেলা প্রকৌশলী দেবাশীস বাগচী বলেন ব্রীজের দুপাশে মাটি ভরাট রং, নেইম প্লেটের কাজ এখনো করা হয়নি বলে জানতে পেরেছি। এগুলো অতি দ্রæত বাস্তবায়ন করে জনসাধরনের চলাচলের উপযোগী করে দিতে হবে, তা না হলে আমি ঠিকাদারকে ফাইনাল বিল দিবো না, তার কাজ সম্পূর্ন বাতিল করে দিবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ