পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পঞ্চায়েত হাবিব : পরিবেশ সুরক্ষায় অটো ইট উৎপাদনে এবার আসছে পরিবেশবাদ্ধব আধুনিক মেশিন। মেশিন গুলো হচ্ছে, হাইব্রিড হফম্যান কিলন, জিড়জ্যাগ কিলন, ভারটিক্যাল স্যাফট ব্রিফ কিলন এবং টানেল কিলন মেশিন। এসব মেশিনের গুন হচ্ছে, জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী করে, ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবেশদূষণ কমানো। কৃষিজমি, ভূ–উপরিভাগে মাটি ও পানির ব্যবহার কমানো, ইট প্রস্তুতকারীদের লাভ নিশ্চিত করা এবং কর্মরত শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের উন্নতি সাধন করা। এ ছাড়া এ মেশিন এক সঙ্গে প্রতিদিন ৫০ হাজার ইট উৎপাদন করা যাবে। এবার আন্তর্জাতিক পরিবেশ মেলায় এ নতুন মেশন গুলো সকলের নজর কেড়েছে।
বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন,ইট তৈরিতে যে টপ সয়েল বা মাটির উপরিভাগ ব্যবহার করা হয় তা পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিকল্প কোনো পথে ইট তৈরি করা যায় সেটাই চিন্তার বিষয়। সরকার আধুনিক পদ্ধতি ‘হলো ব্রিকস’ উৎপাদনের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর পরই স্থায়ী চিমনিতে কাঠ কয়লা পুড়িয়ে তৈরি করা ইটের পরিবর্তে আধুনিক ইট পদ্ধতিতে তৈরির নির্দেশ দিয়েও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। আধুনিক পরিবেশ বান্ধব ইটের ভাটা শুল্কমুক্ত রাখা হলে ও মালিকরা আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করছে না।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য এবং নিয়ম লঙ্ঘন ও নীতিমালা উপেক্ষা করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রভাবশালীরা ক্ষমতা, অর্থ ও আধিপত্যের মাধ্যমে এসব ইটভাটা গড়ে তুলেছে। ইট ভাটাগুলোতে আবার বিভিন্ন প্রকার কাঠ ও সিসা পোড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে দূষিত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশ। কিন্তু অদৃশ্য কারনে এর বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। অবৈধ ইটভাটাগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়। আর কাঠ পোড়ানোর পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে। তবে একদম বন্ধ হয়নি। আইন অনুযায়ী আবাদী জমিতে বা ভাটার তিন কিলোমিটারের মধ্যে ৫০টি গাছ বা বাগান থাকলে ভাটা স্থাপনের কোনো নিয়ম নেই। লোকালয় থেকে তিন কিলোমিটার দূরে যেখানে জনবসতি নেই এমন জায়গায় ইটভাটা নির্মাণ করতে হবে। সারাদেশ উপজেলা গুলোতে কৃষি জমি দখল করেই প্রতি বছর গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন ইটভাটা। একই সাথে ইটভাটার জন্য সর্বোচ্চ ৩ একর জমি ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ইটভাটায় এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। নদীপাড় সংলগ্ন এলাকায় প্রভাবশালীরা সরকারি জমি জোর দখল করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব ভাটা গড়ে তুলছে।
এ সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য পরিবেশ সুরক্ষায় অটো ইট উৎপাদনের এস এস খান পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নিয়ে এসেছে নতুন আধুনিক মেশিন। সনাতন পদ্ধতিতে অবকাঠামো নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ইট তৈরির ফলে ভূমি, পরিবেশ ও বায়ুমন্ডলের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সনাতন পদ্ধতিতে ইট না করে আধুনিক পদ্ধদ্ধিতে ইটভাটা করার পরিপত্র জারি করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
মেলায় আসার এস এম খান পাওয়ার লিমিডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শহিদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, আশুলিয়া কিংবা সাভারে যাওয়া-আসার পথে তাকালে আপনার মনে হবে যে আকাশে মেঘ জমে কালো হয়ে এই বুঝি বৃষ্টি এল। কিন্তু আরেকটু মনোযোগ দিলে বুঝতে পারবেন, ব্যাপারটা তা নয়।
আসলে ইটভাটাগুলোতে ইট পোড়ানোর কালো ধোঁয়া আকাশ আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। পরিবেশদূষণ ছাড়াও ইটভাটাগুলো ফসলি জমি, ভূ–উপরিস্থ মাটি, ভূগর্ভস্থ পানি ও জ্বালানি অপচয় করে থাকে। তিনি বলেন, যত্রতত্র ভাটা স্থাপন ও ভূ–উপরিস্থ মাটি ব্যবহার করে ইট প্রস্তুতের ফলে প্রতিবছর প্রায় ৪২ হাজার হেক্টর আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
ইটভাটার আশপাশের জমিগুলোতে জৈব পদার্থের পরিমাণ মাত্র ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যেখানে ভাটা থেকে দূরবর্তী জমিতে এর পরিমাণ ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এমডি বলেন, টানেল ভাটা, ভার্টিক্যাল শ্যাফট ভাটা, হাইব্রিড হফম্যান ভাটা, জিগজ্যাগ ভাটা। টানেল ও হাইব্রিড হফম্যান ভাটায় আধুনিক মেশিনের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ইট প্রস্তত করা হয়। এই দুটি ভাটায় প্রতিটি ইট প্রস্তুতের জন্য তুলনামূলক কম কয়লা ব্যবহার প্রয়োজন হয় বিধায় পরিবেশদূষণ কম হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।