Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদ বাজারকে সামনে রেখে ব্যস্ত বাটিক শিল্প শ্রমিকরা

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আবুল হাসান সোহেল মাদারীপুর থেকে
ঈদ-উল-ফিতর এর বাকি প্রায় ২ সপ্তাহ। ঈদকে সামনে রেখে মানুষের ঈদের সামগ্রী কেনাকাটায় ধুম পড়েছে বিপণী বিতান ও প্রসাধণসামগ্রীর দোকানগুলো। তেমনি ঈদের বাজারকে সামনে রেখে রাত দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন মাদারীপুরের বাটিক শিল্প কারখানার শ্রমিকরা। তবে নরংিদীতে কেমিকেল দিয়ে রং পাকানো হওয়ায় এখানকার বাটিক কারখানায় পোশাকে লবন সোডা দিয়ে পাকানো বাটিক সামগ্রী কিছুটা মার খাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ। তবে ক্রেতাদের পরীক্ষান্তে এ বাটিক কারখানার পোশাকের চাহিদা ঢাকার নামী দামী শো-রুমগুলোতে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বছরের অন্য সময়গুলোতে এক প্রকার বিরামই কাটাতে হয় এসব শ্রমিকদের। এদের মধ্যে ৯৫% নারী শ্রমিক। মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নাধীণ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ঘেঁষে মাদারীপুর গণ উন্নয়ন প্রচেষ্টা নামের একটি বেসরকারী সংস্থা(এনজিও) এর উদ্যোগে গড়ে ওঠে গ্রামীন জীবন যাত্রার চিত্র নিয়ে এ বাটিক শিল্প । দেশ ও বিদেশ খ্যাতনামা বাটিক শিল্পের কদরে সারা বছরে ভাটা থাকলে বিভিন্ন উৎসব পার্বনে এ চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুন । বছরের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে বাটিক শিল্প সামগ্রী চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার গতিশীলতা বাড়ায় । প্রতিবছরের মতো এবার বাটিক শিল্পীরা ব্যস্ততম সময় পার করছেন।
এ ব্যাপারে সেলিনা আকতার নামে এক নারী বাটিক শ্রমিক তিনি জানান, “স্বামীর সংসারে যখন আর্থিক অনটনের বাসা বাধে তখনই এ কারখানাই কাজে যোগ দিই। কারখানা কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে ছেলে মেয়েদের পরিধেয় বস্ত্র বাটিকের ফরমেট এ ছাপা করি। সাংসারিক কাজের পাশাপাশি এ কাজ করে কিছু বাড়তি আয় করতে পাড়ায় সাংসারিক অভাব অনটন কিছুটা লাঘব হচ্ছে।
তবে সরকারীভাবে এর যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা হলে এ শিল্পের কদর দেশ বিদেশে বাড়বে। পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় করতে পারবে। দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া বাটিক শিল্পের শ্রমিকরা দিন রাত পরিশ্রম করলেও তাদের মজুরী নিয়ে রয়েছে নিজেদের মধ্যে অসন্তোষ। তাই এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার শিল্পের মর্যাদার দিতে নজর রাখতে হব্ েসকলকে। যদিও  বেশীর ভাগ সময়গুলোতে অলসভাবেই আমাদেরদেরকে সময় পার করতে হয়। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব এর পাশাপাশি হিন্দু বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তাদের ধর্মীয় উৎসব ও  বিভিন্ন  উপলক্ষে বাটিক শিল্প সামগ্রীর চাহিদা বেড়ে যায়। তবে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ও বাংলা নববর্ষসহ জাতীয় দিবসগুলোতে ক্রেতাদের বাটিক সামগ্রী ব্যাপক নজর কাড়ে। তাই সারা বছরের লোকসানকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে পোষাতে  উল্লেখিত সময়গুলোতে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়।
বাটিক শিল্প কারখানা’র সমন্বয়কারী খায়রুল মুর্তজা মজুমদার বললেন, রাজৈরের অধিকাংশ বাটিক শিল্প কারখানার তৈরী পোষাকের রং কেমিকেল ছাড়াই পাকানো হয়। ফলে এতে তাদের খরচ একটু বেশি পড়লেও দিন দিন এই হস্তশিল্প পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। আড়ং, জাগরনী চক্র নাগরদোলা, সোর্সসহ দেশের বড় বড় শোরুম গুলোতে এখানকার তৈরী পোশাক সরবরাহ করা হয়। ঈদের বাজারে তাদের এখন কাজের প্রচুর চাপ রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ