Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষার্থীরা তীব্র অস্বস্তি ও ভোগান্তিতে ঢাবির হলে ঘন ঘন লোডশেডিং

| প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : রমজানে ঘন ঘন লোডশেডিং এর শিকার হচ্ছেন ঢাবির কয়েকটি হলের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। প্রতিদিন প্রায় তিন থেকে চারবার ঘটে লোডশেডিং এর ঘটনা। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে তা আসে এক ঘন্টা থেকে দেড় ঘন্টা পর। 

এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালিন ছুটি শুরু হওয়াতে অনেক বিভাগই বন্ধের মধ্যে তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নিয়ে নিচ্ছে যাতে ঈদের পর পরই নতুন সেমিস্টার শুরু করা যায়। ফলে এভাবে ঘন ঘন লোডশেডিং এর দরুণ ব্যহত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্রীক প্রতিদিনের পড়াশোনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল, জিয়া হল, বিজয় একাত্তর হল, কবি জসিমউদ্দিন হল ও স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে গেল কয়েকদিন যাবৎ ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এর ফলে এসব হলে অবস্থানরত প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার ছাত্র তাদের পড়াশোনা ও এ্যাসাইনমেন্ট তৈরী করতে পোহাচ্ছে ব্যাপক ঝামেলা। বিদ্যুৎ না থাকার দরুন হলের ফটোকপি ও কম্পিউটার প্রিন্টিং এর দোকানও থাকে বেশিরভাগ সময় বন্ধ। জরুরী মুহুর্তের কোন প্রিন্ট অথবা ফটোকপির জন্য ছাত্রদের ছুটে যেতে হচ্ছে নীলক্ষেত অথবা দূরের কোন হলে। ফলে একদিকে তাদের যেমন সময় অপচয় হচ্ছে অন্যদিকে রোজা রেখে এইসব করাতে তাদের ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ও বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বলেন, এভাবে লোডশেডিং হতে থাকলে পড়াশোনা করা সম্ভব কিভাবে। আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। এরইমধ্যে প্রেজেন্টেশন ও এ্যাসাইনমেন্ট তৈরী করতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় কম্পিউটার এর সামনে বসতেই পরছিনা যখন আসে তখন আতঙ্ক কাজ করে কখন আবার চলে যায়।
ইসলামের ইতিহাসের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুর রাকিব বলেন পরীক্ষার সময় অনেক ফটোকপি করতে হয়। বই ও শিট নিয়ে আমাদের অন্য হলগুলোতে যেতে হয় না হয় সেই নীলক্ষেত যেতে হয়। ফলে আমাদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে।
এবিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম আফজালুল হক কে ফোন দেয়া হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ জোন-১ এর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. লৎফুর রহমানকে ফোন দেয়া হলে তিনি এক ক্ষুদেবার্তায় পরে যোগাযোগ করার কথা বলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ