Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধনেপাতা চাষ করে স্বাবলম্বী

| প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রেবা রহমান, যশোর থেকে : গ্রীষ্মকালীন ধনেপাতা চাষে ব্যাপক লাভ। এই সবজি সম্পুর্ণ বিষমুক্ত ও রাসায়নিক সার বিহীনভাবে উৎপাদন করায় একদিকে যেমন এর চাহিদা বেশী, অপরদিকে অসময় এসব সবজি বাজারে মেলায় বিক্রি হচ্ছে অপ্রত্যাশিত চড়া দামে। বেড পদ্ধতিতে চাষকৃত এসব সবজির ফলনও হয়েছে বাম্পার। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বোধখানা গ্রামের আলী হোসেন ধনেপাতা আবাদ ও উৎপাদনে সাবলম্বী হয়েছেন।
তিনি ২০১৬ সালে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে জাতীয় পর্যায় ২য় স্থান অধিকার করায় কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ক্রেস ও নগদ অর্থ পান। এবারের রমজান মাস উপলক্ষে তিনি পরিকল্পনা মাফিক গ্রীষ্মকালীন ধনেপাতা, শসা ও কচুরমুখী চাষ করেন। রমজান মাস শুরুর আগের দিন থেকে তার সবজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আলী হোসেন এক বিঘা জমিতে বেড পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন ধনেপাতার সাথে সাথী ফসল হিসেবে কাঁচা মরিচ ও বেঁগুন চাষ করেন। বর্তমান প্রতি কেজি ধনেপাতা পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১শ’ ৮০ থেকে ২শ’ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে এক বিঘা জমির ধনেপাতা বিক্রি হবে ২ লাখ টাকা। এতে তার খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। দুই বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন মুখিকচুর সাথে সাথী ফসল আছে পেঁপে। বাজারে প্রতি কেজি মুখিকচু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকা। দুই বিঘা জমির এই কচু বিক্রি হবে দেড় লাখ টাকা। আইরেট জাতের এই কচু চাষে আলী হোসেনের খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। তিনি তিন বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছেন। এর সাথী ফসল হিসেবে লাগিয়েছেন কলা। পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। সে হিসেবে তিন বিঘা জমির শসা বিক্রি হবে লাখ টাকার উপরে। শসা চাষে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া তার ২ বিঘা পটল ও ৪ বিঘা কলার চাষ রয়েছে। তিনি অধিকাংশ চাষে কেঁচো কম্পোস্টের জৈব সার, সেক্স ফেরেমন ফাঁদ, বদৌ মিকচার, জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করেন। তিনি রাসায়নিক সার ও কীটনাশক কম ব্যবহার করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ