বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা ব্যুরো : নগরীর নতুন বাজার স্ট্যান্ড রোড ব্যাংক গলির সেলিম গাজীর বাড়ীতে নওমুসলিম গৃহবধু ধর্ষণ মামলার মূল আসামী সেলিম গাজীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার এক মাস ৮দিন পর গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে নগরীর সবরুন্নেছা স্কুলের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে, গত ১৬ মে দুপুর ২টার দিকে রূপসা স্ট্যান্ড রোডের সিএসএস আভা সেন্টারের সামনে থেকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সে। গত ১ মে দাওয়াত দিয়ে বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষণের একদিন পর ২ মে খুলনা সদর থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মূল অভিযুক্ত নতুন বাজার স্ট্যান্ড রোড ব্যাংক গলির মোঃ সেলিম গাজী (২৫)। অন্য আসামীরা হলো, নতুন বাজার মসজিদ গলির মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে আবুল বাশার বাদশা ওরফে রাঙ্গা বাদশা (৫০), গগনবাবু রোডের মোঃ নুরুল্লাহ’র ছেলে মোঃ রানা (২৫), টুটপাড়া দিলখোলা রোডের মোঃ বাবু ওরফে কালা বাবু (৩১), নতুন বাজার লঞ্চঘাটের মোঃ সোহরাব মোল্লার ছেলে মোঃ দুলু (২৩)সহ অজ্ঞাত আরো ২/৩জন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার এস আই আশরাফ হোসেন বলেন, আসামীরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত দুর্ধর্ষ প্রকৃতির।” মামলাটি মিমাংশার জন্য নতুন বাজার এলাকার নুরু শেখ নামের এজন আওয়ামী লীগ নেতা উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের সূত্র জানান, মামলার মূল অভিযুক্ত সেলিম গাজী এলাকায় পিচ্চি সেলিম নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে মাদকের অন্তত ৬টি মামলা রয়েছে। ২০০১ সালে খুলনা সদর থানার এএসআই নাদিম তাকে মাদকসহ গ্রেফতার করলে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়েছিল সে। গেল বছর দু’দফায় মাদকসহ গ্রেফতার করেছি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনা। তৎকালীন উপ-পরিদর্শক বর্তমানে যশোরের কর্মরত নূর মোহাম্মদ বলেন, “২০১৬ সালে আমাদের টীম সেলিম গাজী ওরফে পিচ্চি সেলিমকে তার বাসা থেকে ইয়াবাসহ রূপসার রামনগরের সাগর মোল্যার স্ত্রী রুবি বেগমের সাথে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছিলাম। ওর জীবনেও মাদকসহ অসংখ্যবার গ্রেফতার হয়েছে।”
মামলার আসামী রাঙ্গা বাদশার বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি হত্যা মামলা। মনু, আলতাফ, ন্যাটা সেলিম ও ছোট আনু হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সে। এরমধ্যে ছোট আনু হত্যা মামলায় নি¤œ আদালতে ৫ বছরের জেল হয়েছিল তার; পরে অবশ্যই উচ্চ আদালতে আপীল করে সে জামিনে রয়েছে। ফলে এলাকার ত্রাসের অপর নাম রাঙ্গা বাদশা। আসামী দুলু মোল্লাসহ তার পরিবারের একাধিক সদস্য মাদক বিক্রির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের যুবসংগঠনের নেতা পরিচয়ে পুলিশের সাথে সখ্যতা রয়েছে তার। অপর আসামী রানার বিরুদ্ধে ছিনতাই ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। একইভাবে এ মামলাটির প্রত্যেক আসামী-ই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
মামলার বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে বলেন, “আমার শারিরিক অবস্থা খুব খারাপ। পেটে বাচ্চা ছিল আমার, ডাক্তার বলছেন সেটা নষ্ট হয়ে গেছে। আবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে; কিন্তু নিরাপত্তার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। অবিলম্বে সকল আসামীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।