Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মাদকে জিরোট্রলারেন্স সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যানজটমুক্ত খুলনা নগরী গড়ার প্রত্যয়

মতবিনিময়কালে নবাগত কেএমপি কমিশনার

| প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের নবাগত কমিশনার মো: হুমায়ুন কবির বলেছেন, মাদক এক নম্বর চ্যালেঞ্জ; মাদকের সাথে অন্য অপরাধ জড়িত। তাই মাদকের ব্যাপারে জিরোট্রলারেন্স। মাদকমুক্ত খুলনা নগরী গড়তে যা যা করার প্রয়োজন তাই করবো। খুলনা নগরীকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, যানজটমুক্ত করতে নিরন্তর কাজ করার অঙ্গীকার করলেন তিনি। একই সাথে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকেই খুলনা শহরে প্রেস (সাংবাদিক), অনটেস্টসহ বৈধ কাগজপত্রহীন মোটরসাইকেল জব্দ অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেন। গতকাল বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে কেএমপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। গত ৫ জুন নিবাস চন্দ্র মাঝি কেএমপি থেকে ময়মনশিং রেঞ্জে যোগদান করায় তিনি কেএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
শুরুতে পরিচয় পর্বের পর নবাগত কেএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বক্তব্যে খুলনার সমস্যাগুলো শোনেন। অন্তত ১৬জন সাংবাদিক তাদের বক্তৃতায় বলেছেন, খুলনা শহরের মূল সমস্যা মাদক। মাদকে সয়লাব খুলনা মহানগরী। যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। কেএমপি ট্রাফিক ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সদ্য সাবেক কমিশনার যাতয়াতের সময়টাই শুধুমাত্র তার রুটে যানজটমুক্ত থাকতো। সামনে জাতীয় ও কেসিসি নির্বাচন। এরমধ্যে ভাড়াটে খুনী-সন্ত্রাসী, চরমপন্থী, সর্বহারাদের উপদ্রব বেড়েছে। নগরীর প্রবেশদ্বারগুলোতে তল্লাশী জোরদারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। এছাড়া পুলিশ নিজের হাতে মাদক নিয়ে ফাঁসিয়ে নিরীহ মানুষদের হয়রানী, নিষ্ক্রীয় কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম,খানজাহান আলী থানার একটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে একজন সন্ত্রাসীর বাড়ীর নিচ তলায়। তিনি বড় দলের নেতাও বটে। চিহিৃত সন্ত্রাসীকে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ ফাঁড়িসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
পরে নবাগত কেএমপি কমিশনার সমাপনী বক্তৃতায় বলেন, এখানে এসেই আমার কার্যদিবসের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করলাম। যাতে খুলনা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারি। ঈদের আগেই যানজট সমস্যার সমাধান করা যাবে। আর মাদকের বিষয়ে জিরোটলারেন্স। তাই যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মাদক সারাদেশের সমস্যা। এর সাথে জঙ্গি সমস্যাও রয়েছে। খুলনায় এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গি ধরা না পড়লেও এখানে যে জঙ্গি নেই তা মনে করার কারণ নেই। এখানেও জঙ্গি থাকতে পারে। জঙ্গিরা সাধারনত যেখানে থাকে সেখানে অপরাধ সংঘঠিত করে না। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রেসের পরিচয়ে ভ‚য়া সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল জব্দের আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই অভিযান শুরু হবে। নগরীর প্রবেশদ্বারগুলোতে তল্লাশী জোরদার ও সার্বক্ষনিক নজরদারী থাকবে। খানজাহান আলী থানার ফাঁড়িটি সরানো হবে। সন্ত্রাসী আর পুলিশ ফাঁড়ি এক জায়গায় থাকতে পারে না। খোঁজ নিয়ে দেখবো, যেকোন একটি থাকবে।
পূর্বের কমিশনার রাস্তায় চলার সময় অন্য গাড়ি আটকে রাখার বিষয়ে সাংবাদিকদের বক্তব্য তুলে ধরে কমিশনার বলেন, আমি এমন কোন ব্যক্তি না যে আমার চলাচলের জন্য সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ থাকবে। এটা আপনারা সামনের দিনগুলিতে দেখতে পাবেন। আমি কখনোই চাইবো না, আমার জন্য অন্য রাস্তা বন্ধ থাক।
সবসময় জনগণের পাশাপাশি থাকার বিষয়টি ব্যক্ত করে নতুন কমিশনার বলেন, আমার অফিসটি তিন তলায়। এটা জনগণের কাছাকাছি থাকার একটা বড় অন্তরায়। ভবিষ্যতে অফিসটি নিচ তলায় করা যায় কিনা তার চেষ্টা করা হবে। যাতে জনগণ আমাদের কাছাকাছি থাকতে পারে।
মতবিনিময়কালে কেএমপি কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত কমিশনার মো: মাহবুব হাকিম, উপ-কমিশনার সদর এসএম ফজলুর রহমান, উপ-কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আব্দুল্লাহ আরেফ,কেএমপি’র মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মনিরা সুলতানা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন কেএমপি’র উপ-কমিশনার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ