পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত আইনকে স্বাধীন বিচার বিভাগের সম্মুখ ভাগে আঘাত বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট। মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর বেশ কয়েকটি ধারা বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এই পর্যবেক্ষণ ওঠে এসেছে। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৬৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। গত ১১ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলার রায় দেন। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান মামলার আইনজীবীরা।
অবশ্য হাইকোর্টের এ রায় রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের কারণে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ওই দিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলকারী রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। ইতিমধ্যে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করা হয়েছে। বিষয়টি বিচারাধীন।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্য। সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ ও মাসদার হোসেন মামলার আলোকে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি সংশোধন করে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটকে আলাদা করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ সংক্রান্ত ২০০৯ সালের ৫৯ নম্বর আইন সংবিধানের লঙ্ঘন, যা বিচার বিভাগের পৃথকীকরণণের উপর সম্মুখভাগে আঘাত এবং ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতির পরিপন্থি। এতে আরও বলা হয়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল সদস্য নির্বাহী প্রশাসনের অংশ।
নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ স্বাধীন বিচারিক ক্ষমতা মাসদার হোসেন মামলার পরিপন্থি। তাই ২০০৯ সালের ৫৯ নং আইনের ৬(১), (২), (৪), ৭, ৮ (১), ৯, ১০, ১১, ১৩, ১৫ ধারা সংবিধানের পরিপন্থি। তাই এসব ধারাকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয় রায়ে। রায় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের এই রায়ের কপি দ্রæত সরবরাহেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব ধারা অবৈধ ঘোষণা করায় কার্যত মোবাইল কোর্ট আইনের প্রয়োগই এখন আর সম্ভব নয় রায়ের পর জানিয়েছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এস এম আজিম।
তিনি বলেন,মোবাইল কোর্ট আইনের বিধান সম্পর্কে হাইকোর্ট বিভাগ বলেছেন এটা অসাংবিধানিক। এসব ধারা অবৈধ ঘোষণার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ধারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা আর সম্ভব হবে না। কারণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনার যে আইন ছিল সেটার অপারেটিভ পার্ট বাতিল হয়ে গেছে। এখন আর মোবাইল কোর্টের ওই ধারাগুলো কাজ করবে না। সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন আইন করলে বিচারিক ম্যাজেস্ট্রেটদের দ্বারা তখন করতে পারবে বলেও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা করতে পারবেন। সেটা মোবাইল কোর্ট লাগবে না। নরমাল আইনেই সেটা বলা আছে। তবে ইতোমধ্যে যেসব মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে সেগুলোর মধ্যে যেগুলো চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে মামলা চলছে তা রায় অনুযায়ী কাজ করবে। আর বাকি রায় যেগুলো হয়ে গেছে আদালত তা মার্জনা করে দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।