পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে সোনালী এমডি’র মতবিনিময়
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : গতবছরের আগস্টে যখন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও’র দায়িত্ব নেন মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ তখন ব্যাংকটির লোকসান ছিল ৫শ কোটি টাকা। আর জানুয়ারিতে এসে রাষ্ট্রায়ত্ব সর্ববৃহৎ ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ৪২৩ কোটি টাকা যা দিন দিন বাড়ছে। তবে এই পথটা ছিল কঠিন সংগ্রামের। গতকাল সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে ইফতার মাহফিলে ব্যাংকের হাল-হকিকত তুলে ধরেন মাসুদ।
‘২০১০ থেকে ২০১২ সালে ব্যাংক, শেয়ার মার্কেট, আবাসন খাতÑ সব জায়গায়ই সমস্ত খারাপ জিনিসগুলো ঘটে গেছে। আমি একটা ক্রান্তিলগ্নে এসে এখানে যোগদান করেছি। যখন জয়েন করেছি তখন এই ব্যাংকে লস ছিল ৫শ কোটি টাকা। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের ব্যাংক জানুয়ারিতে ৪২৩ কোটি টাকা প্রফিটে আসতে সক্ষম হয়েছে। এই মানুফার পরিমাণ প্রতি মাসেই বাড়ছে।’
ব্যাংককে গভীর খাদ থেকে টেনে তুলতে কঠিন একটা সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে এই শীর্ষ ব্যাংকারকে। তাঁর ভাষায়, “খুব একটা সহজ সংগ্রাম তা না। কঠিন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে। এটা হচ্ছে একটা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। আমাদের ব্যবসাটা কি? টাকার ব্যবসা। আমরা টাকা কিনি। টাকা বেচি। ডিপোজিট নেই মানে, আমরা টাকা কিনছি। আর লোন দিচ্ছি মানে টাকা বিক্রি করছি। কিন্তু এই ব্যাংকে আমরা বিশ্লেষণ করে দেখলাম, টাকা কেনা আর বেচার যে অঙ্ক, এই অঙ্কটাই ‘বোগাস’। আমার সংগ্রামটা সহজ না।
১ লাখ কোটি টাকা কিনছি আমি (ডিপোজিট ১ লাখ কোটি টাকা)। কিন্তু বিক্রি করছি মাত্র ৩৮ হাজার কোটি টাকা। সেটার মধ্যে দেখেন, খেলাপি ঋণ আছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। আবার যদি অবলোপন যোগ দেন, ৭ হাজার কোটি, তাহলে সেটা কতো হচ্ছে? ১৭ হাজার কোটি টাকা। এবং পুনঃতফসিল এটাও কিন্তু এক ধরনের বøাঙ্কেট। এই বøাঙ্কেটের ভিতরেও আছে আরও দুই হাজার কোটি টাকা। তাহলে এই ৩৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আমার ১৯ হাজার কোটি টাকা নেই।” “আমরা বলি ২৩ শতাংশ ২৪ শতাংশ খেলাপি। যদি অবলোপন ধরি, পুনঃতফসিল ধরি, তাহলে বাস্তবে খেলাপি ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। তাহলে আমি ব্যবসা করছি মাত্র ১৯ হাজার কোটি টাকার। ১ লাখ কোটি টাকা কিনেছি আমি। এখানে যদি ৩৮ হাজার কোটি টাকা বিক্রি করতাম তাও একটা লাভ থাকতো।”
কিভাবে এই সংগ্রামে জয়ী হয়েছেন, বলেছেন নিজেই। “এখানে আল্লাহর কিছু রহমত আছে। যেহেতু এটা দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংক। আমাদের ট্রেজারি ফাংশন আছে। আমরা ট্রেজারি ফাংশন ডিল করি। আরেকটা কাজ করি, স্যোসাল সেফটি নেটওয়ার্কের আওতায় রাষ্ট্রকে প্রায় ৫০টা সেবা দেই। এর মধ্যে অধিকাংশই দেই বিনা পয়সায়। বাকি টাকাতো আর বসিয়ে রাখিনা। বাকি টাকাটা আমরা ট্রেজারিতে দেই। সেখান থেকে মোটামুটি আমরা প্রফিটের মধ্যে আছি।”
নিজ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি তুলে ধরে মাসুদ বলেন, “আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, ১২ শ ১০টা শাখার মধ্যে ৬শ শাখায় খেলাপির পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে। তাহলে এই শাখাগুলো পঁচে যায়নি। সোনালী ব্যাংকের বিশাল যে নেটওয়ার্ক আছে সেখানে ৬শ ‘গুড ব্রাঞ্চ’ আছে। মাত্র ২০টা শাখায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮৪ শতাংশ। এবং এই ৮৪ শতাংশের মধ্যে ৫টা শাখায় খেলাপি ঋণ ৫৪ শতাংশ। তার মানে আমাদের দুষ্ট ঋণগ্রহিতারা কিছু নির্দিষ্ট শাখার কিছু লোকের মাধ্যমে টাকাগুলো বের করে নিয়েছেন। এগুলো বাদ দিলে সারাদেশে ‘ওভারঅল’ আমাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি না।”
এই বড় ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধেও সংগ্রাম করতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ঋণ আদায়ের জন্য কী করতে পারি? সুদ মওকুফ একটা পদ্ধতি আছে। পুনঃতফসিল একটা পদ্ধতি আছে। আরেকটা আছে, মামলা। আমরা যখন ক্ষুদ্র লোকদের বিরুদ্ধে মামলা করি, তখন আমরা খুবই সফল হই। এক্ষেত্রে আদায়ের হারও খুব ভালো। কিন্তু যখন বড় ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাই, তখন আমরা খুব অসহায় হয়ে পড়ি। তারা রিটের আশ্রয় নেয়। অনেক কষ্ট করে যখন এই রিটে জয়ী হই, তখন তারা আবার রিট করেন। আমাদের আইনে কিন্তু রিট আবারও করা যায়।”
“খেলাপি ঋণ থেকে বের হতে রাষ্ট্রীয় ভাবেই আসলে এখন কথাবার্তা হচ্ছে। আইনগত সহায়তা করা যায় কি না। আলাদা বেঞ্চ করা যায় কি না। আপনারা জানেন, আমাদের ৩৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকা এই মামলায় আটকে আছে।”
খেলাপি ঋণ কমানোর একটা উপায় বাতলে দেন এই সিনিয়র ব্যাংকার। তিনি বলেন, “আমি বলবো খেলাপি ঋণ শুধু ব্যাংকিং খাতের সমস্যা নয়। এটা পুরো জাতির সমস্যা। এই খেলাপি ঋণ থেকে বের হতে হলে খেলাপি ঋণকে হ্যান্ডেল করার জন্য স্বতন্ত্র আদালত দরকার। এবং আলাদা আইনগত ফ্রেমওয়ার্ক দরকার। এটা যদি হয়, তাহলে খেলাপি ঋণ আসলে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।”
গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলেন তাঁদের প্রসংশার মধ্য দিয়েই। বলেন, “হলমার্ক সাংবাদিকরাই বের করেছে। সংবাদমাদ্যমে এখন অনেক বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্ট হয়। এখনকার রিপোর্ট অনেক বিশ্লেষণধর্মী হয়। ইনকিলাবে একটা রিপোর্ট দেখলাম। খেলাপি ঋণ কিভাবে হয়Ñ তিন পৃষ্ঠার বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্ট। যেগুলো আমি বলার চেষ্টা করেছি সেগুলো দেখছি এখন আপনারাই বলেন।”
আপনার কঠিন সংগ্রামে সাফল্যগুলো কিÑ জানতে চাইলে বলেন, “এতবড় ব্যাংকে রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। এটা ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। কারণ আপনি যদি বলেন, ১ লাখ কোটি টাকা ডিপোজিট নিয়ে আপনি বসে আছেন কেন? আপনি আশি হাজার কোটি টাকা ঋণ দিতে পারেন। দিয়ে দেন। ঋণ আদায় করা যেমন কঠিন, দেয়াটাও কিন্তু সহজ না। আর যদি ঢালাও ঋণ দিতে যাই, আবার দুর্ঘটনা ঘটবে। আবার এটাক বেসিক ব্যাংক হবে। সেখানে রাতারাতি সমাধান সম্ভব না। আমাদের ধীরে ধীরে এগুতে হবে।”
“আমার সাফল্য একটাই বলতে পারি, ‘বৃক্ষ তোমার নাম কী, ফলে পরিচয়’। আমাদের ফলটা দেখতে হবে। বড় জাহাজ ভিরতে যেমন সময় লাগে, বড় জাহাজ ছাড়তেও তেমন সময় লাগে। এই যে জাহাজটা টাইটানিকের মতো, নিমজ্জমান, নিমজ্জিত বলা যায়। নিমজ্জমান শিপটিকে ধীরে ধীরে ঘুড়াতে হবে, টার্ন নিতে প্রচুর সময় লাগবে। আপনারাও যেটা দেখবেন, এ দেশের জনগণ হিসেবে, টার্নিংটা হচ্ছে কি না।”
তাঁর দায়িত্ব পালনের সময় এক্ষেত্রে ভালো সাফল্য এসেছে উল্লেখ করেন বলেন, “আমি মনে করি ৮-৯ মাসে ভালো টার্নিং হয়েছে। আমাদের গত মার্চ মাসে ভালো মুনাফা হয়েছে। আমরা প্রত্যেক মাসে বোর্ডে একটা স্টেটমেন্ট দেই। সেখানে আগের বছরের ওই মাসের সঙ্গে তুলনা করি। জানুয়ারি গতবছর লোকসান ছিল। এ বছরের জানুয়ারিতে লাভ করেছি। ফেব্রæয়ারি গতবছর লোকসান ছিল, এবছরের ফেব্রæয়ারিতে লাভ হয়েছে। গত মার্চে লস ছিল, এই মার্চে লাভ হয়েছে। মানুফার হার প্রগ্রেসিভ হারে বাড়ছে। ফলে আমি কিছুটা আশাবাদী।”
সংগ্রামে কোন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হয়েছেন কি নাÑ জানতে চাইলে বলেন, “আপনারা জানেন ২০১০ সালে, ২০১১ সালে পরিচালনা পর্ষদে সমস্যা ছিল। এখন আমাদের বোর্ডটা এক্সিলেন্ট। সেখান থেকে প্রচুর সহায়তা পাচ্ছি। বরং আমিও যদি মাঝে মধ্যে কোন প্রস্তাব সহজভাবে নিয়ে যেতে চাই, তাঁরা আমাকে ধরেন।”
হলমার্কের এখন সর্বশেষ অবস্থাটা কীÑ এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “মামলা একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। এই একটা মাত্র কেস, হয়তো সরকার এবং আদালত এটাকে অন্যভাবে দেখেছে বিধায় দ্রæত কার্যক্রম আগাচ্ছে। আপনি দেখেন আমাদের ১৬ টি মামলাই ডিক্রি হয়ে গেছে ব্যাংকের ফেভারে। এটা কিন্তু আইনের ইতিহাসে, মামলার ইতিহাসে বিরল ঘটনা। ১৬টি মামলাই আমরা ‘জারি মামলা’ করে ফেলেছি। এটা একটা সাফল্য। এখন সমস্যা হচ্ছে, এর যে মূল স্পন্সর (এমডি তানভির) এবং তার মিসেস (চেয়ারম্যান জেসমিন), দুইজনই জেলখানায় আছেন। এবং এদের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে। ব্যাংকের লোকরাও জেলখানায় আছে। অনেক আসামি পলাতক আছে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”
“ইন্ডাস্ট্রি যদি চালু থাকতো গত পাঁচ বছর, এই সময়ে কিছু না কিছু হলেও টাকাটা আসতো। এটার সমাধান দুই রকম আছে। একটা হলো, দুদক এবং কোর্ট থেকে এই দুজনকে জামিনে মুক্তি দিয়ে তাদেরকে প্রোজেক্টটা চালাতে দেওয়া যেতে পারে। তাদের পাসপোর্ট জব্দ করে বিদেশে যাওয়া রোহিত করে এই কাজটা করা যেতে পারে। দ্বিতীয় বিকল্প হলো, প্রশাসক নিয়োগ করা। আর তৃতীয় বিকল্প হলো, কিছু না করে এখন যেভাবে আছে সেভাবে ফেলে রাখা। তৃতীয় বিকল্পটা খুব খারাপ বিকল্প। কারণ প্রতিটি প্রকল্পে মেশিন, বিল্ডিং, অবকাঠামোর মেয়াদ আছে। মেশিন ব্যবহারের পর পড়ে থাকা, আর অব্যবহৃত পড়ে থাকার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। মেশিনগুলো ব্যবহারের পর পড়ে আছে। এতে এগুলোর ক্ষয়টা বেশি হচ্ছে।”
প্রশাসক নিয়োগ হলো না কেন তাহলে? আপনারা সেটা করতে পারলেন না কেন? এক সাংবাদিক এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিলে তিনি বলেন, “এখানে অনেকগুলো কর্তৃপক্ষ জড়িত আছে। একটা বিষয় হলো, এটা কোর্টের আওতাধীন আছে। দুদক জড়িত আছে। আবার সংসদীয় কমিটি মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে। এখন কাজটা করতে হলে আমাদের সামগ্রিকভাবে সবাইকে মিলে বসতে হবে। যদি রজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয় যে প্রতিষ্ঠানটা চালানো হবে, তাহলে আমাদের দুদকের সাহায্য নিয়ে সেটা করে দিতে হবে।”
এ ধরনের কোন বিশ্লেষণ আছে যে সরকার আপনাদের পক্ষে কাজ করে কারখানা চালু করে দিলে আপনারা টাকা আদায় করতে পারবেনÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে মাসুদ বলেন, “একটা হলো ম্যানেজমেন্ট, আরেকটা হলো আপৎকালীন ম্যানেজমেন্ট। হলমার্কের যে পরিমাণ ঋণ, আমরা সবাই জানি, এটা ওপেন সিক্রেট, সেই পরিমাণ সম্পদ ওদের নেই। এবং এটাতো ঋণ হয়নি। এটা এক ধরনের লুণ্ঠন হয়েছে। যে সম্পদ থাকে তার বিপরীতে সামঞ্চস্য করে ঋণ দেওয়া হয়। এখানে কোন সামঞ্জস্য নেই। এই কারখানা থেকে কিন্তু ওইভাবে ক্যাশ ফ্লো আসবে না। আমি বলতে চাচ্ছি, আপৎকালীন ম্যানেজমেন্ট। একেবারে ফেলে রাখলে তো একদম জিরো ইনকাম।”
বেশকিছু বড় ঋণ পুনঃতফসিল করলেন, সেগুলোর কী অবস্থাÑ জানতে চাইলে বলেন, “আমরা বেশি করিনি। আমরা মাত্র দুটি বড় ঋণ রিশিডিউল করেছি। আপনাদেরকে আমি নিশ্চিত করছি, এগুলোর আদায় নিয়মিত হচ্ছে।”
এবারের বাজেটে আবগারি শুল্ক বাড়নো প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য জানতে চাইলে বলেন, “আবগারি শুল্ক ১৯৪৭ সাল থেকে ছিল। গতবছর পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছিল। অর্থমন্ত্রী এটাকে ছাড় দিয়ে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। ১ লাখ টাকা পর্যন্ত শুল্ক মাফ করে দিয়েছেন উনি।”
শেষ প্রান্তিকে ক্লাসিফাইড ঋণের পরিমাণ বেড়েছে কি নাÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “খেলাপি ঋণ ২০১২ সালে যা ছিল এখনও তা ই আছে। এখন যে বড়ছে, এটা কিন্তু বাড়া না। আগে অবলোপন করে কমিয়ে রাখা হয়েছিল। এখন পুনঃতফসিলগুলো খেলাপি হচ্ছে। তারপর রিট ছিল, সেগুলো খেলাপি হচ্ছে। এভাবেই খেলাপি বাড়ছে। এখন যে খেলাপি বাড়ছে সবগুলো পুরনো। শিগগিরই আরও ৩শ কোটি টাকা খেলাপি বাড়বে।”
হলমার্ক যে বছর ঋণ নিল সেবছরও সোনালী ব্যাংক এশিয়ার সেরা ব্যাংকের পুরস্কার কিভাবে পেলÑ এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “সোনালী ব্যাংক এশিয়ার সেরা ব্যাংকের পুরস্কার ২০০৯ সাল থেকেই পেয়ে আসছে। আপনাদের কেউ কেউ এখনও আসেন আমাকে পুরস্কার দেয়ার জন্য। আমি সবাইকে বলে দেই, আমি এখনও কিছু করিনি। আগে কাজ করে নিই। পরে দেশই দেখবে। আকাশে চাঁদ উঠলে সবাই দেখবে।”#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।