Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামের বাজারে কেমিক্যাল মিশ্রিত আম

| প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আইয়ুব আলী : মিঠা খাইলে আইয়্যুন (মিষ্টি আম খেলে আসুন)। এ রকম হাঁক ডাক করে কেমিক্যাল মিশ্রিত আম বিক্রি করা হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীতে। হলদে রঙের আধা পাকা জ্যৈষ্ঠের রসালো বিষাক্ত ফল আম ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন বাসায়। মাহে রমযানকে ঘিরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসব ক্ষতিকর আম ভ্যান গাড়ি, ঠেলাগাড়ি করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জংশন নিউমার্কেট, চট্টগ্রাম রেল স্টেশন সংলগ্ন সড়ক, রেয়াজুদ্দিন বাজার, চকবাজার, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, বহদ্দার হাট, অক্সিজেন মোড়সহ কেমিক্যাল মিশ্রিত এসব আম অলিগলিতে দেদারছে বিক্রি করছে। রাজশাহী, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আধাপাকা, শিলাবৃষ্টিতে ঝরেপড়া আম বস্তাবন্দি করে নগরীর বিভিন্ন আড়তে রাখা হয়। আম এখনো পুরোপুরি পাকা শুরু না হলেও চট্টগ্রামের বাজারে পাকা আমে সয়লাব হয়ে গেছে। ৩০ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে এসব আম নগরীর রাস্তাঘাটে পাওয়া যাচ্ছে।
বাজারে আমের চাহিদা থাকায় আম গাছ থেকে নামিয়ে কেমিক্যাল স্প্রে করা হচ্ছে আমে। এরপর তা খাচি সাজিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে চট্টগ্রামের বাজারে। বেশী মুনাফার লোভে কাঁচা আমই কার্বাইড দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এদিকে বাজার মনিটরিং বা প্রশাসনের কোন নজরদারি না থাকায় মাহে রমযানে নগরীতে এসব আম দেদারছে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এসব বিষাক্ত আম খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে রোজাদার মানুষরা। ক্যালসিয়াম কার্বাইড দামে খুব সস্তা হওয়ায় ফল ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে সহজলভ্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে ফল পাকিয়ে থাকে।
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, কেমিক্যাল মিশ্রিত ফল খেলে কিডনি লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও পরিপক্ক আম আর কেমিক্যাল মিশ্রিত আমাদের স্বাদ এক নয়। কেমিক্যাল মিশ্রিত আম দৃশ্যত পাকলেও তাতে পরিপক্ক আমের উপাদান থাকে না। ফল পাকার পরও ভেতরে এই কেমিক্যাল থেকে যায়। এভাবে কার্বাইড দিয়ে পাকানো ফল খেলে শরীরের ভেতর বিষক্রিয়া চলতে থাকে। তাৎক্ষণিক হয়তো কোনো প্রতিক্রিয়া নাও দেখা দিতে পারে অথবা অনেক সময় ত্বকে এলার্জি দেখা দিতে পারে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে কিডনি অথবা লিভারের সমস্যা ছাড়াও সেগুলো বিকল হয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে ভয়াবহ হলো ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে যেভাবে বাধাহীনভাবে বিষ মেশানোর কাজটি জনসমুক্ষে চলছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিশেষ করে শিশুরা যেভাবে ফলের সঙ্গে বিষ খাচ্ছে, তাতে কয়েক দশক পরে প্রায় প্রতি পরিবারে না হলেও তাদের আত্মীয়স্বজনের মাঝে কিডনি বা লিভারেরর সমস্যা দেখা দিতে পারে।



 

Show all comments
  • abulhossain bhuyian ৭ জুন, ২০১৭, ৯:২৭ পিএম says : 0
    এখানে কমিকেল বলতে কি বুঝানো হয়েছে ? কেমিকেল ছাড়া কোন ফল প্রবাসে দেখিনা কিছু কেমিকেল ছারা ফল সংরক্ষ করা য়ায় না .........দীঘ পথ পারিদিয়ে আরব দেশ গুলিতে ফল আসে তারা কি কেমিকেল ব্যবহার করে না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ