বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ঘুষের টাকা না দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে হাফেজ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত না করার অভিযোগ উঠেছে ইউএনও’র বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের নগরকান্দি গ্রামের বাদশা শেখ।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, তার বাবা হাফেজ শেখ ১৯৭১ সালে ভারতের প্রশিক্ষণ নিয়ে যশোর হয়ে নগরকান্দি ক্যাম্পে যোগদেন এবং যুদ্ধে অংশ নেন। তবে কোন তালিকায় তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। ২০১৪ সালে সরকার পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তির করার সুযোগ দিলে আমরা আবেদন করি। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা তালিকা হালনাগাত করতে যাচাইবাছাই শুরু হলে চলতি বছরের ৯ ফেব্রæয়ারি মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে বোর্ডের সভা হয়। ওই সভায় সবার স্বাক্ষ্য অনুয়ায়ী আমার বাবা হাফেজ শেখকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অর্ন্তভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়।
এরপর ইউএনও শামিম হাসান ও ইউএনও অফিসের কয়েকজন কর্মচারী আমার কাছে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। আমি তাদের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় আমার বাবাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বাদশা শেখ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি গত ১৪ মে জেলা প্রশাসকের কাছে ওই ইউএনওর ঘুষ দাবির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানাই। পরে জানতে পারি ইউএনও’র বিরুদ্ধে করা ওই অভিযোগের তদন্ত ইউএনও’র কাছেই দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এতে আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হব বলে আশঙ্কা করছি।
আমার বাবা শেষ জীবনে যেন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত হন এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে যারা ঘুষ দুর্নীতি করছে তাদের রিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
এবিষেয় জানতে মোল্লাহাটের ইউএনও শামিম হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরী করা আমার একতিয়ার নয়। এখানে একটি কমিটি আছে, যাছাইবাছাই করা তাদের দায়িত্ব। আমি বাদশা নামের কোন ব্যাক্তিকে চিনি না। তার কাছে টাকা চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আমার বিরুদ্ধে অহেতুক কাল্পনিক অভিযোগ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।