Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্নীতিবান্ধব বাজেট -টিআইবি

| প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাট রিপোর্টার : ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে দুর্নীতিবান্ধব বাজেট বলে আখ্যায়িত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। করদাতাদের ওপর বৈষম্যমূলক করারোপ, কালো টাকার বৈধতা দিতে অসাংবিধানিক সুযোগ, মেগা প্রকল্পে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ হ্রাসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা না থাকায়, এবারের প্রস্তাবিত বাজেট দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করবে বলে দাবি টিআইবির।
মঙ্গলবার টিআইবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাজেট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রস্তাবিত বাজেটের এসব অবস্থান পুনর্বিবেচনার আহŸান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যাংকিং খাতে চলমান দুর্নীতি ও অর্থ পাচার বন্ধে বাজেটে কোনও প্রস্তাব নেই উল্লেখ করে বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, একদিকে ব্যাংকিং খাতে চলমান দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার বন্ধে প্রস্তাবিত বাজেটে কোনও পদক্ষেপের প্রস্তাব তো করাই হয়নি, উল্টো দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকিং খাতে মূলধন বাবদ কর আদায়ের মাধ্যমে দুই হাজার কোটি টাকা অর্থায়নের প্রস্তাব করে জনগণের অর্থ আত্মসাত ও দুর্নীতিকেই প্রতিপালন ও উৎসাহিত করা হলো।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকিং খাতে অর্থায়নকে অশুভ উদ্যোগ বলে অভিহিত করেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষের সঞ্চয়ের ওপর অতিরিক্ত করারোপ করে তাদের জন্য বৈধ পথে সামান্যতম বাড়তি আয়ের পথও রুদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিত্তশালী ও ধনীদের তুলনায় মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য অতিরিক্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা চাপানো হয়েছে। যা একদিকে যেমন বৈষম্যমূলক,অন্যদিকে যেকোনও মাপকাঠিতেই রাজস্ব বাড়ানোর টেকসই উপায় হতে পারে না।
প্রস্তাবিত বাজেটে মূসকের বোঝা সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলবে উল্লেখ করে বলা হয়, মূসকের চূড়ান্ত বোঝা মধ্যবিত্ত, নিম্ন আয়ের বা সাধারণ জনগণের ওপর আরোপিত হতে বাধ্য। এর সঙ্গে মূল্যস্ফীতি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি যুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠায় অস্থিতিশীলতা ও ক্ষোভ বাড়বে।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকির মুখোমুখি জনগণের জন্য গঠিত বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ)-এর জন্য ২০১৭-১৮ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মাত্র ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে টিআইবি। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ)-এর জন্য ২০১৭-১৮ বছরের বাজেটে মাত্র ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা কমপক্ষে ৪০০ কোটি টাকা হওয়া উচিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ