পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, নোয়াখালী থেকে : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এম ওয়াহিদুজ্জামানের নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সাথে তিনি কোন কর্তৃত্ব বলে নোবিপ্রবি’র ভিসি পদে বহাল আছেন তাও জানতে চেয়েছে আদালত। এতদ্বসংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোকোর্টের বিচারপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আদেশ দেন। উল্লেখ্য, ডিগ্রী না থাকার পরেও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের ভিসি পদে থাকা চ্যালেঞ্জ করে উক্ত নোবিপ্রবি ফার্মেসী বিভাগের এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল বাসার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রীটের শুনানি শেষে আদালত রুলনিশি জারি করেন ।
অপরদিকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এম ওহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনিয়ম তদন্তে এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এতদ্বসংক্রান্ত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, দুর্নীতি দমন কমিশনের ১৩/৪/২০১৭ তারিখের দুদক/অভি: যাচাই-বাছাই/১৫৪-২০১৭/১২৫৯৭ নম্বর পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. অহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়ম, আর্থিক অনিয়ম, পদোন্নতি বানিজ্যসহ উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিলের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) খন্দকার হামিদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠি ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিভাগে প্রেরন করা হয়। গত ২মে নোবিপ্রবি রেজিষ্টারের কার্যালয়ে চিঠিটি এসে পৌছেছে। ইউজিসি তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য এম শাহ নওয়াজ আলি ও সদস্য সচিব কমিশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন। তদন্ত কমিটিকে জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত সম্পন্ন করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর নোবিপ্রবি শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে ভিসি ড. ওহিদুজ্জামানের বিরুদ্বে নিয়োগে অনিয়ম, প্ল্যানিং কমিটি গঠন এবং শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়ম, আর্থিক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরন করা হয়। পরে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে তিন সদস্যের ইউজিসি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. মোঃ আকতার হোসেন সদস্য ইউসিজি’র উপ-পরিচালক জিয়াউর রহমান ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আলী আশরাফ। তদন্ত কমিটি গত ২৬/৪/২০১৬ ইং রাতে নোয়াখালী সার্কিট হাউসে অবস্থান গ্রহন করার পর থেকে এর আশপাশে ভিসি’র ভাড়াটিয়া লোকজন অবস্থান নেয়। তদন্ত কমিটির সাথে কেউ যেন দেখা না করতে পারে সে জন্য সার্কিট হাউস সড়ক জুড়ে বহিরাগতরা মহড়া দেয়। ২৭ এপ্রিল ইউজিসি তদন্ত টিম নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পর্যন্ত ভিসির পক্ষের ভাড়াটিয়া লোকজন মহড়া দেয়। ফলে নিরাপত্তাহীনতার কারনে ইউজিসি তদন্ত টিম সার্কিট হাউস থেকে ঢাকা ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এবারের ইউজিসি তদন্ত টিম কতটুকু সফলতা পাবে তা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোবিপ্রবি’র কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানায়, ভিসি ওহিদুজ্জামান এখানে যোগদানের পর নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তার স্বৈরাচারী কর্মকান্ড, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারনে এখানকার পরিবেশ চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২১/৪/২০১৬ ইং দৈনিক ইনকিলাবে “নোবিপ্রবি ভিসির অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হলে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। এরপর ভিসি ড. ওহিদুজ্জামান অবোধ শিশুর ন্যায় এ প্রতিবেদকে হুমকি এবং ঘটনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আরেফীন সিদ্দিকী’কে দায়ী করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।