Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফুলবাড়ি-কুলাঘাট সড়ক চলাচল অযোগ্য

| প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) থেকে মহসীন আলী মঞ্জু : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের ব্র্যাক মোড় থেকে ফুলবাড়ী ডিগ্রী মহিলা কলেজ হয়ে কুলাঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩ কি. মি. সড়কের উপরের কার্পেটিং ওঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সড়কের দুপাশ দেবে গিয়ে অনেক জায়গায় সড়কের মাঝ খানে তৈরী হয়েছে উচুঁ আইল। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তারপরও নিরুপায় হয়ে ঝুকি নিয়েই প্রতিদিন অসংখ্য পণ্যবাহী পিকআপ, মাইক্রোবাস, ট্রলি, অটোরিকশা, ভ্যানসহ অনেক যানবাহন নদী পার হয়ে লালমনিরহাট জেলা সদরসহ বিভাগীয় শহর রংপুরে যাতায়ত করছে। নির্মানাধীন ২য় ধরলা সেতুর নির্মান সামগ্রী পরিবহনের ভারী যানবাহনগুলোও চলাচল করছে এই সড়ক দিয়েই। ফলে অহরহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন ওই পথে চলাচলকারী যানবাহন ও জনসাধারণ।
ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে কুড়িগ্রাম জেলা সদরের দুরত্ব বেশি হওয়ায় আবহমানকাল থেকেই এ উপজেলার মানুষ ব্যবসা-বানিজ্যসহ নিত্য নৈমেত্তিক প্রয়োজনে নিকটবর্তী লালমনিরহাট জেলা শহরে যাতায়ত করে আসছে। সম্মূখে নদী থাকলেও দুরত্ব কম হওয়ার কারণে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক মানুষ এই সড়কটি ব্যবহার করেই ছুটে চলছে দুর-দুরান্তে। কিন্তু উপজেলা থেকে বের হওয়ার একমাত্র এ ব্যস্ততম সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ দীর্ঘদিনেও গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ। বড় গর্ত গুলোতে ইটের টুকরা ফেলে সংক্ষারের চেষ্টা করা হলেও ইটের মাথা বেরিয়ে থাকায় সেগুলো আরও বিপজ্জনক হয়েছে।
উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী এমদাদুল হক সরকার, মুকুল মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল জলিল জানান, ফুলবাড়ীর ব্যবসায়ীরা লালমনিরহাট থেকে এ পথ দিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেয়া করে। কিন্তু সড়কটি খানাখন্দে চলাচলের অযোগ্য হলেও কর্তৃপক্ষ সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন ব্যয় বেশি হচ্ছে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে এ সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খুরশিদুল আলম সড়কটির বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে জানান, একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কুলাঘাট ধরলা সেতু থেকে নাগেশ্বরী পর্যন্ত সড়কটি অচিরেই সংস্কার করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ