Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তানোরে বিএমডিএ’র রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘বিএমডিএ’র রাস্তা রিপিয়ারিং ‘সংস্কার’ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তানোর-তালন্দ-বিল্লী রাস্তার দেউল থেকে কলমা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সংস্কার কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমাণের নির্মাণ সামগ্রী ও তরল বিটুমিন ব্যবহার করছে। এদিকে রাস্তার সংস্কার সম্পন্ন না হতেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে যাচ্ছে, ফলে সংস্কারের স্থায়িত্ব নিয়ে সাধারণের মনে চরম আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবার রাস্তার দু’পাশের ধার না বেধে ৭ মিলি করে পিচ দেয়ার কথা থাকলেও ৩ থেকে ৪ মিলি পিচ দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা বালু দিয়ে ঢেকে দেয়া হচ্ছে। সরেজমিন অনুসন্ধান করলেই এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে এলাকাবাসি দাবি করেছেন।
সরেজমিন, দরগাডাঙ্গা হাট সংলগ্ন দেখা গেছে, তরল বিটুমিন ‘পিচ’ দিয়ে দায়সারা রোলার করে সঙ্গে সঙ্গেই বালু দিয়ে ঢেকে দেয়া হচ্ছে, আর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন বিএমডিএ’র কার্যসহকারী মামুনুর রশিদ মামুন। এ সময় তার কাছে কাজের সিডিউল বা স্টিমেট দেখতে চাইলে তিনি বলেন, তার কাছে এসব কিছুই নাই তিনি শুধু দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। তবে তিনি জানান, ৭ মিলি করে পিচ দেবার পর রোলার করে রাস্তার প্রয়োজন বুঝে কোথাও ৩ মিলি আবার কোথাও কোথাও ৪-৫ মিলি বালু মারা হচ্ছে এটা নিয়মের মধ্যেই রয়েছে। এক পশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আড়াই কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে পাওয়া গেছে প্রায় কোটি টাকা ও ঠিাকাদার মিজানুর রহমান মিজান সাহেব এসব কাজ করছেন।
সূত্র জানায়, গত জুলাই মাসে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করে বলেন, সড়ক-রাস্তার পিচ ঢালাইয়ের কাজে কোনো ধরণের তরল বিটুমিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। অথচ এই সড়কের সংস্কার কাজে প্রকাশ্যে দিবলোকে নিষিদ্ধ তরল বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। তরল বিটুমিন ব্যবহারের ফলে সড়কে পিচ ঢালাইয়ের কিছু পরেই তা উঠে যাচ্ছে ও উঁচু-নিচু দেখাচ্ছে। এদিকে সড়ক সংস্কারে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ কম দামের ৮০-১০০ গ্রেডের তরল বিটুমিন ব্যবহার করা হলেও যেনো বিষয়টি দেখার কেউ নাই। সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ৮০-১০০ গ্রেডের তরল বিটুমিনের পরিবর্তে ৬০-৭০ গ্রেডের গাঢ় বিটুমিন ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় ঠিকাদার মিজানুর রহমান মিজানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে, বিএমডিএ’র রাস্তার কাজে বালু মারা যায়, তাছাড়া ঠিকাদার অনেক বড় মাপের ও প্রভাবশালী ব্যক্তি সেটা তো আপনারাও বোঝেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ