রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : নীলফামারীর সৈয়দপুর দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানার সব প্রবেশ পথে সিসি ক্যামেরা সংযোজন করা হয়েছে। রেল কারখানার সার্বিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক-কর্মচারিদের প্রবেশ ও বর্গিমনে শৃঙ্খলা আনতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এজন্য কারখানার প্রধান ফটকসহ সবকটি প্রবেশ ও বহির্গমন পথে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ফলে এখন থেকে ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক কারখানার কার্যক্রম প্রত্যক্ষ ও ছবি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
১৮৭০ সালে ইংরেজ শাসকরা রেলওয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় রেলওয়ে কোচ, বগি, ইঞ্জিন সংস্কার পূণঃনির্মাণে ১১০ একর জমির ওপর গড়ে তোলেন দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানাটি। কারখানার বিভিন্ন শপে দিনেরাতে কাজ হয়। পাশাপাশি দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানার অভ্যন্তরে ও বাইরে লোহা চুরির মাধ্যমে গড়ে উঠেছে লোহা ক্রয়-বিক্রয়ের বিশাল বাজার। এছাড়া শ্রমিকদের কাজে ফাঁকি দেয়া ও বিলম্বে পৌছার কারণে কারখানার উৎপাদনে ব্যহত হতে থাকে। এছাড়া কারখানায় দেরিতে পৌছা নিয়ে অতি সম্প্রতি শ্রমিক-কর্মচারিদের সাথে কর্মকর্তাদের অপ্রীতিকর ঘটনায় গাড়ি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
সূত্র জানায়, এসব সিসি ক্যামেরার মনিটর বসানো হয়েছে কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক (ডিএস) কার্যালয় ছাড়াও নিরাপত্তা বাহিনীর অ্যাসিমট্যান্ট কমান্ডডেন্ট ও গেট সার্জেন্টের কার্যালয়ে। মনিটরের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক উল্লিখিত দপ্তরগুলো থেকে নজরদারি করা হবে প্রবেশ ও বহির্গমন পথ। কর্তপক্ষের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রেলওয়ে ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দসহ কারখানার সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারিরা। এর মাধ্যমে রেলওয়ে কারখানায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় সিসি ক্যামেরা সংযোজন প্রসঙ্গে বিভাগীয় তত্বাবধায়ক (ডিএস) কুদরত-ই-খুদা বলেন, বর্তমান যুগ হলো তথ্য প্রযুক্তির। কারখানা প্রবেশ পথগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে আমরা সে যুগে প্রবেশ করেছি। এর মাধ্যমে কারখানার নিরাপত্তা ও শ্রমিক- কর্মচারিদের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা অনেকাংশে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পর্যায়ক্রমে কারখানার সকল শপ (উপ-কারখানা) এর আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।