Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বানের মতো সীমান্ত দিয়ে আসছে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অস্ত্র

| প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পাবনা জেলা সংবাদদাতা : ভারত ও মিয়ানমারের বিভিন্ন সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক দেশের প্রায় সবগুলো জেলা ছেয়ে ফেলেছে। অস্ত্র যাচ্ছে অপরাধকর্মের সাতে জড়িতদের কাছে। নেশাসক্তরা নিচ্ছেন মাদক। ইয়াবা যার ওপর নাম কোন জেলায় বাবা এবং চুইংগাম। সেই সাথে ভারত থেকে আসা নিষিদ্ধ ফেনসিডিল যার ওপর নাম ডাইলের অনুপ্রবেশ চলছে সমান তালে। এই ফেনসিডিল দেশের অভ্যন্তরে আসার পরে তা পরিনত হচ্ছে আরো ভয়াবহ নেশায়। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘ককটেল’। নিষিদ্ধ ফেনসিডিল আমাদের দেশে এক সময় নিষিদ্ধ ছিল না। কাশির সিরাপ হিশেবে পেসক্রিপশন করা হত। কাশির যে নামে যে সিরাপই থাক তার মধ্যে অনুপাতিক হারে ঘুমের ওষুধ দেয়া থাকে। এটি করা হয় চিকিৎসার স্বার্থেই। যিনি কাশি আক্রান্ত ঐ সিরাপে থাকা কাশি নিরাময়ের মূল উপদান কাজ করলেও রুগী জেগে থেকে কাশেন আর কষ্ট পায়। তার এই কষ্ট লাঘবের জন্য ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়। রোগী ঘুমের মধ্যে কষ্ট ততটা অনুভব করেন না। ধীরে ধীরে তার কফ নিরাময় হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা এটা জানার পর প্রথম দিকে ফেনসিডিল নেশাসক্ত যুবক বা ব্যক্তির কাছে বিক্রি হত। তারা ২ চামচের বদলে এক বোতল খেয়ে ঘুমে ঝিমিয়ে পড়তো। আরো মোডিফাই করে ফেনসিডিলকে ককটেল বানিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা এটাকে প্রাণ সংসারী করে তুলেছেন। ফেনসিডিল তরল নেশার বোতলে মেশানো হচ্ছে, মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ, স্টেরয়েড জাতীয় মোটা হওয়ার ট্যাবলেট, ভাং এর রস। ফেনসিডিল ওয়ে যাচ্ছে ককটেল। এই ককটেল খেয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। ইয়াবা খেয়ে অনেকে এখন পঙ্গু হওয়ার পথে। শুধু শারীরিক ও মানসিকভাবে নয়, তারা সব দিকে দিয়ে পঙ্গু হচ্ছেন। একই সাথে দেশে যৌন উত্তেজক ওষুধের ব্যবহার চলছে। যারা উত্তেজনা বাড়াতে এই ওষুধ সেবন করছেন, তারাও কার্ডিয়াক সিজের কবলে পড়তে পারেন। কিছুদিনে মধ্যে স্বাভাবিক যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন বলে চিকিৎসকরা বলছেন। যদি অবস্থা এই তাহলে তাদের কপালে ‘দাউস’ লেখা হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার সব ধরণের উদ্যেগ নিচ্ছে। পুলিশ ও র‌্যাব, বিডিআর মাদকের চালান ধরলেও এর বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না। মায়নমার সীমান্তে পাহারা বসানো হচ্ছে মাদকের‘ ইজি গেট ওয়ে’ বন্ধ করার জন্য। অভিজ্ঞরা বলছেন, এতে মাদকের বিস্তার কমলেও এই কাজটি আগে করলে অনেক সুফল পাওয়া যেতো। কারণ দেশেল অভ্যন্তরে ইয়াবা তৈরীর উপদান জেনে গেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মায়নমারের মাদক বন্ধ হলে তখন দেশে লুকিয়ে এই ইয়াবা তৈরী হবে যেমনটি হচ্ছে যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরী। সীমান্ত পেরিয়ে আসা অস্ত্র ছড়িয়ে পড়েছে অপরাধ জগতে। সব মিলিয়ে এক অস্থিশীল পরিস্থিতির ইঙ্গিত বহন করছে। দেশের আইন শৃংখলা বাহিনী জঙ্গি ধরা নিয়ে ব্যস্ত। এতে সুবিধা হয়েছে, মাদক ও অস্ত্র চোরাকারবারীদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ