Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তানোরে খাদ্যশস্য সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হতে চলেছে

| প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে চলতি মৌসুমে এখানো সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে খাদ্যশস্য ‘গম’ সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়নি। জানা গেছে, চলতি বছরেরর ১৪ই মে থেকে ৩০ জুনের মধ্যে গম সংগ্রহ অভিযান সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। তানোরে এ বছর ২৪৮ মেট্রিকটন গম সংগ্রহের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তানোরে ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্ব›দ্ব ও মতবিরোধের কারণে এখানো গম সংগ্রহ অভিযান শুরু করা যায়নি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ই এপ্রিল খাদ্যমন্ত্রণালয়ের সভায় প্রতি কেজি গমের মূল্য ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয় এবং ১৪ই মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সরাসরি চাষীদের কাছ থেকে গম কেনার কঠোর নির্দেশনা দেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তানোরে চলতি বছরের ৩রা জুন পর্যন্ত গম সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনই করা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে চাল সংগ্রহ নিয়েও একই অবস্থা বিরাজ করছে, তানোরে ৩১টি চালকল ‘চাতাল’ থাকলেও মাত্র ৫টি চালকল মালিক চুক্তি বদ্ধের জন্য কাগজপত্র নিয়ে আবেদন করেছেন। তবে গত ৩১ই মে দুপুর পর্যন্ত কেউ আসেননি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে নানা কৌশলে কালক্ষেপণ করছে। চলতি বছরের ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে। তানোরে এ বছর প্রতি কেজি ৩২ টাকা দরে ৪৯০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ৩রা জুন পর্যন্ত এক ছটাক চালও সংগ্রহ হয়নি। আবার ধানের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে ৩রা জুন পর্যন্ত এক ছটাক ধান সংগ্রহ হয়নি। তানোরে চলতি মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান পুরোপুরি ব্যর্থ হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অথচ খাদ্য মন্ত্রীর কঠোর হুশিয়ারী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেসব চালকল মালিক চুক্তিবদ্ধ ও চুক্তিবদ্ধ হবার পরেও চাল সরবরাহ করবেন না তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তানোরে চলতি মৌসুমে খোলা বাজারে ধান-চাল ও গমের মূল্য বেশি থাকায় এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে কৃষকরা সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে আসছে না। এব্যাপারে তানোর সরকারি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ওসিএলএসডি তারেক-উজ্জামান বলেন, আমরা হুকুমের গোলাম, রাজনৈতিক নেতাদের দ্ব›েদ্বর জন্যে এখানো গম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি, এমনকি ধান-চাল সংগ্রহের কোন আসা নেই। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ শওকাত আলী বলেন, বিষয়টি তার তেমন জানা ছিল না। তবে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ