Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোজামিলের বাজেটে দারিদ্র মুক্তি সম্ভব নয়-মুফতি ইজহারুল ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া লালখান বাজার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ইসলামী অর্থনীতি সেবার মানবিক এজেন্ডার উপর প্রতিষ্ঠিত এবং রাষ্ট্রকে এ সেবা নিশ্চিতকরণে কঠিনভাবে নিয়োজিত করেছে। অন্যদিকে প্রচলিত বাজেট শুভঙ্করের ফাঁকি। এ বাজেট গোজামিল ও বিভ্রান্তিকর হিসেব-নিকেশে ভরা। এর মধ্যমে দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি গতকাল (সোমবার) লালখান বাজার মাদরাসার উদ্যোগে মাদরাসা মসজিদ প্রাঙ্গণে রমজানের আধ্যত্মিক ও আর্থসামাজিক তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন হেফাজত ইসলাম কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী, বিশিষ্ট রাজনীতিক আবদুর রহমান চৌধুরী, বিশিষ্ট আইনজীবি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, অ্যাডভোকেট শাহাদাত।
সভায় প্রধান অতিথি সাংবাদিক উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, নবী করীম (সা.) রমযানে ব্যাপক ভিত্তিক সেবা ও দানের যে বিশেষ আদর্শ রেখে গেছেন তা মুসলামনদের সমকালীন রমযানের চর্চায় বিস্মৃত হয়ে আছে। হাদিসে রমযানকে সহমর্মিতার মাস বলা হয়েছে। যারা রমযানে সেবা কার্যক্রম ও জনকল্যাণমূলক কাজ এড়িয়ে কেবল ব্যক্তিগত নামাজ তেলাওয়াত আর জিকিরের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখে দানশীলতা থেকে হাত গুটিয়ে রাখেন তারা রমাদানের এ অপরিহার্য উপাদানকে অস্বীকার করলেন। এটা রাসুলাল্লাহর আদর্শের পরিপন্থী হওয়ায় আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
রমাদানের তাক্বওয়ার যে ধারণা কোরআনে হাকিমে দেয়া হয়েছে তা সংযমকে সক্রিয় করে কুপ্রবৃত্তির চর্চাগুলোকে দমিয়ে এমন এক মানবতাবাদী সমাজের পথকে বিকশিত করবে যেখানে বিশেষ শ্রেণীর নিরঙ্কুশভাবে ভোগবাদী হয়ে উঠার সুযোগ বিদ্যমান থাকতে পারে না। ক্ষুধার জ্বালা তাড়িত সিয়াম সাধনা অন্নহীন মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনের একটা মনস্তাত্তি¡ক প্রেক্ষাপট রচনা করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাদী প্রথার এ বাজেট ইসলাম সমর্থন করে না। এটা পশ্চিমা অর্থনৈতিক ফর্মুলার কপি পেস্ট ছাড়া আর কিছু নয়। এ বাজেটের মূল প্রাণ হলো ‘কর’। ইসলাম এটাকে রাষ্ট্রনৈতিক জুলুম মনে করে। প্রচলিত পুঁজিবাদী বাজেট প্রথার দ্বিতীয় স্তম্ভটি সুদ, যা ইসলামি আইনে শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ হিসেবে ধিকৃত। ব্যয়ের খাত গুলো ইসলাম নির্দিষ্ট করে দিয়ে দুর্নীতি অবকাশ রূদ্ধ করে দিয়েছে এবং রাষ্ট্রের বদলে ব্যাক্তিকে স্বাবলম্বী করার মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে বাস্তববাদী ও কার্যকর ফর্মুলা দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ