Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আবাসিক প্লটে বাণিজ্য

| প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


রাজউকের উচিত সম্পদ ধ্বংস এড়িয়ে অনুমোদনহীনভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-ভবন নিয়মের আওতায় আনা
উমর ফারুক আলহাদী : রাজধানী ঢাকায় জনচাহিদার সুযোগে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা একাকার করে ফেলা হয়েছে। আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক ভবন, বানিজ্যিক এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠা; এমনকি আবাসিক এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে বাব্যসা-বাণিজ্য চলছে বছরের পর বছর ধরে। কয়েক দশক ধরে রাজউকের নিয়ম উপেক্ষা করে গড়ে ওঠা ওই সব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে প্রশাসন ছিল নীরব। চাহিদার যোগান দিতে আবাসিক এলাকায় অনুমোদনহীনভাবে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিপুল বিনিয়োগ করেছে ব্যবসায়ীরা। প্রতিষ্ঠানগুলোয় হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। রাজউকের গুলশান জোনের অথারাইজড অফিসার আদিলুজ্জামান জানান, গুলশান বনানী নিকেতন এলাকায় রাজউকের অনুমোদনহীন ১৪ শত ৬৮টি ভবন রয়েছে। জানতে চইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক স্থাপনা সরাতেই হবে। আগামী ৩ মাসের মধ্যেই গুলশান, বনানীসহ রাজধানীর সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে পূর্বের ন্যায় আবাসিক এলাকায় ফিরয়ে আনব। হঠাৎ করে রাজউকের এই কঠোর সিন্ধান্তে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। তারা আতঙ্ক উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় পড়ে গেছেন। রাজউকের এই কঠোরতায় বিনিয়োগকৃত শত শত কোটি টাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। পাশাপাশি ওই সব বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জানতে চাইলে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেন, রাজউকসহ প্রশাসনের চোখের সামনে আবাসিক এলাকায় অবৈধ ভাবে ওই সব বানিজ্যিক ভবন গড়ে উঠেছে। তখন তারা বাধা দেয়নি। অনিয়ম করে গড়ে উঠা ওই সব ভবনে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। হঠাৎ করে ওই সব ভবন যেমন ভেঙ্গে ফেলা উচিত নয়; তেমনি অনুমোদনহীন ভবন থাকাও উচিত নয়। বিশেষ করে শত শত কোটি টাকার বিনিয়োগ এবং হাজার হাজার কর্মজীবীর কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষের বাস্তবধর্মী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। বিশেষ করে রাজউকের উচিত সম্পদ ধ্বংস কিভাবে এড়ানো যায় এবং ওই সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবন নিয়মের আওতায় আনা যায় সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা।  
 রাজধানী ঢাকার আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত বনানী, গুলশান, বারিধারা, উত্তরা, ধানমন্ডি, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজউক এবং পূর্ত বিভাগের বরাদ্দ দেয়া আবাসিক প্লট এর মধ্যে বেশকিছু ভবনে চলছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। আবাসিক বাসা-বাড়ি করার জন্য প্লট বরাদ্ধ নিয়ে ভবন নির্মাণ করে বানিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে বনানীতে ৩৯৯, গুলশানে ৯০৪, উত্তরায় ১ হাজার ৪৯, মিরপুরে ১ হাজার ৮৩৬, মোহাম্মদপুরে ১ হাজার ৫৫২ ও ধানমন্ডিতে ১ হাজার ১৭০টি আবাসিক ভবনসহ মোট ৬ হাজার ৯১০টি ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। এছাড়া বারিধারার কয়েকটি ভবনেও বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। বেশির ভাগ বাণিজ্যিক ভবনের রাজউকের অনুমোদন নেই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তর সুত্র মতে, ঢাকা মহানগরীতে রাজউকের অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভবনের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৭টি। নিয়ম বহিভূত ভাবে এই বিপুল পরিমান স্থাপনা নির্মাণে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
রাজউকের তালিকায় অবৈধ স্থাপনার মধ্যে আবাসিক হোটেল, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, রেস্তোরাঁ, বেসরকারী অফিস, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মার্কেটসহ স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থাপনাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই রাজউক থেকে আবাসিক স্থাপনার অনুমতি নিয়ে বাণিজ্যিকসহ কমার্শিয়াল বা শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজউক। গুলশানে লেক শোর আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় গড়ে তোলা এসব ভবনে আবাসিক হোটেল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ক্লিনিকসহ অবৈধভাবে চলছে মাদক ব্যবসাও। রাজউক বলছে,ওই এলাকায় আবাসিক ভবনের অনুমোদন নিয়ে অন্তত ১৫টি বিলাসবহুল বার গড়ে তোলে বছরের পর বছর ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়েছে প্রভাবশালীরা। যেগুলো রাজউকের অনুমোদ ছাড়াই সকল নিয়ম নীতি লংঘন করে বাণিজ্যিক প্রষ্ঠিান হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে।
রাজউক বলছে খুব দ্রæত এসব ভবন ও মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য নতুন করে তালিকাও করা হয়েছে। শুধু গুলশান বনানী বারিধারা ও নিকেতন এলাকাতে রাজউকের তালিকা অনুয়ায়ী ১৪ শতাধিক অবৈধ ভবন রয়েছে। যেগুলো র্দীঘ দিন ধরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে।  
তবে সংশ্লিষ্ট ভবন মালিক ও ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলেছেন, এসব ভবন বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একদিনে বা রাতারাতি হঠাৎ গড়ে ওঠেনি। এখন এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলে মারাত্ক আর্থিক সংকটের মুখে পড়বে ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ৫০ হাজার লোক বেকার হয়ে পড়বেন। তাদের কর্মসংস্থানে জায়গা এটি, আছে ব্যাংক লোন। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা বলছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে এতে অনেক সময় লেগেছে। তখন কেন রাজউক কেঠোরভাবে প্রতিরোধ করেনি। এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে হবে। রহস্যজনক কারণে হঠাৎ করে হাতে গুনা কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই এ সমস্যা সমাধান হবে না। বরং সংকট ও সমস্যা আরো বাড়বে। ব্যবসায়ীদের দাবী এসব ভবনকে যেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাণিজ্যিক অনুমোদন দেয়া হয়।
 এ বিষয়ে জানতে চইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন,আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক স্থাপনা সরাতেই হবে। আমরা ইতোমধ্যেই রাজউকের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি করেছি। ৫টি জোনে এর সংখ্যা এক হাজার ৬শ’ ২৫টি। তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে যে কোন দিন উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করা হবে। আগামী ৩ মাসের মধ্যেই গুলশান, বনানীসহ রাজধানীর সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে পূর্বের ন্যায় আবাসিক এলাকায় ফিরয়ে আনব।
রাজউকের গুলশান জোনের অথারাইজড অফিসার আদিলুজ্জামান বলেন, গুলশান বনানী নিকেতন এলাকায় রাজউকের অনুমোদনহীন ১৪ শত ৬৮ টি ভবন রয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে অধিকাংশই  অবৈধভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা খুব দ্রæত সকল অবৈধ ভবন উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি যেসব আবাসিক ভবনে রাজউকের অনুমোদন ছাড়া বিলাসবহুল হোটেল রে¯েঁÍারাসহ বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, মামলার কারণে এবং আদালতের নিষেদ্ধাজ্ঞার কারণেও অনেক ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।
আদিলুজ্জামান বলেন, রাজউক ইচ্ছা করলেই সব কিছু করতে পারে না। অনেক সময় অনেক কিছুই করা সম্ভব হয় না। তবে এবার রাজউক কঠোর অবস্থানে আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, প্রাথমিকভাবে রাজউকের ৮টি জোনের মধ্যে রাজধানীর ভেতরের ৫টি জোনে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। রাজউকের চেয়ারম্যানের নির্দেশে সকল জোনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকার মধ্যে গুলশান বারিধারা জোনের অবৈধ স্থাপনা হচ্ছে ৫শ’ ৫২টি, উত্তরা জোনের ২শ’ ১৫টি, মিরপুর জোনের ৫শ’ ৮০টি, ধানমন্ডি লালবাগ জোনের ১৭৩টি, মতিঝিল খিলগাঁও জোনে ১০৫টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে।
রাজউকের কর্মকর্তারা বলছেন,সিটি কর্পোরেশন থেকে ব্যবসার জন্য নামমাত্র একটি ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের দেয়া এসব স্থাপনার ঠিকানা রাজউক নির্ধারিত কমার্শিয়াল এলাকায় দেয়া হলেও অনুমতি না নিয়েই সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে।
রাজউক আরো জানায়, প্রাথমিকভাবে ১৬শ’ ২৫টি স্থাপনার তালিকা করা হলেও এ তালিকা আরও বড় হবে। গোপনীয়তার সঙ্গে সতর্কভাবে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে উচ্ছেদ অভিযানের আগে কোনক্রমেই এসব তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করতে রাজি নয় রাজউক। রাজউকের অপর একটি সূত্রে জানা গেছে,বর্তমানে বনানী, গুলশান, বারিধারা, উত্তরা, ধানমন্ডি, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজউক এবং পূর্ত বিভাগের দেয়া আবাসিক প্লট এর মধ্যে আবাসিক এলাকার বেশকিছু ভবনে চলছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এর মধ্যে বনানীতে ৩৯৯, গুলশানে ৯০৪, উত্তরায় ১ হাজার ৪৯, মিরপুরে ১ হাজার ৮৩৬, মোহাম্মদপুরে ১ হাজার ৫৫২ ও ধানমন্ডিতে ১ হাজার ১৭০টি আবাসিক ভবনসহ মোট ৬ হাজার ৯১০টি ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। এছাড়া বারিধারার কয়েকটি ভবনেও বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে বলে । বেশির ভাগ বাণিজ্যিক ভবনের রাজউকের অনুমোদন নেই।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তর সুত্র মতে,ঢাকা মহানগরীতে রাজউকের অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভবনের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৭টি। এ তালিকায় প্রভাবশালী আবাসন প্রতিষ্ঠানেরও একাধিক ভবন রয়েছে। একাধিক আবাসিক ভবনে রয়েছে বাণিজ্যিক ভবন। রাজউকের অনুমোদন ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এসব আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক
অবৈধ ভবনের নামের তালিকায় বিভিন্ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে মীর কাশেম আলী কেয়ারী লিমিটেড (বায়তুল আমান হাউজিং এলাকায় দুটি ভবন), নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (ধানমন্ডি), সাংসদ এনামুল হকের এনা প্রোপার্টিজ (সেন্ট্রাল রোড), শেলটেক ডেভালপমেন্ট, (পরিবাগ), ট্রপিক্যাল হোমস (গার্ডেন রোড), ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টিজ (বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাতে বেশ কয়েকটি প্লট), নাভানা রিয়েল এস্টেট (বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাতে একাধিক প্লট), নাভানা রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশন (গুলশান), র‌্যাংগস প্রোপার্টিজ লিমিটেড (গুলশান ও বনানী), কনকর্ড কসসোরটিয়াম (গুলশান), সুবাস্ত ডেভালপমেন্ট লিমিটেড (বনানীতে একাধিক ভবন), নাভানা রিয়েল এস্টেট (বনানী), নগর হোমস (বনানী), আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন (নদ্দা), শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (গুলশান-২), আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন (উত্তরায় একাধিক ভবন), এনা প্রোপার্টিজ (উত্তরা), নাভানা রিয়েল এস্টেট (উত্তরায় একাধিক ভবন), ট্রপিক্যাল হোমস (উত্তরা), রূপনগর রিয়েল এস্টেট (উত্তরা), কনকর্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (রোকেয়া স্মরণী), আইডিডিএল (রোকেয়া স্মরণী), হাইপেরিয়ন ডেভালপমেন্ট লিমিটেড (মিরপুরে বেশ কয়েকটি ভবন), রূপায়ণ হাউজিং (বসুন্ধরা ও ধানমন্ডিতে), স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিডেট (মিরপুর), পিসি কালচার হাউজিং এর একাধিক ভবন (মোহাম্মদপুর), মিশন ডেভালপমেন্ট ফারইস্ট হাউজিং (মিরপুর), এনা প্রোপার্টিজ (পিসি কালচার হাউজিং), উদয়ন ডেভালপমেন্ট (মিরপুর), মজুমদার ডেভালপমেন্টের একাধিক ভবন (কাফরুল), বিডিডিএল (উত্তরা), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি (আফতাব নগর), ডম-ইনো ডেভালপমেন্ট (মগবাজার, সিদ্ধেশ্বরী, ইস্কাটন ও উত্তরাসহ অন্যান্য এলাকায় বেশ কিছু ভবন), এএনজেড প্রোপার্টিজ (উত্তরা ও বনানী), নগর বিল্ডার্স হোমস লিমিটেড (উত্তরা), শেলটেক প্রাইভেট লিমিটেড (গুলশান), গ্রিন ডেল্টা হাউজিং (মোহাম্মদপুর), মোহাম্মদী ডেভালপমেন্ট  (মোহাম্মদপুর), ইউনিয়ন ডেভেলপার (শুক্রাবাদ),ইস্টার্ন হাউজিং (নিকেতন, গুলশান), ক্রিসেন্ট হোল্ডিং লিমিটেড (নয়াটোলা, মগবাজার), বিটিআই (বনানী), ডিসেন্ট ডেভেলপার্স লিমিটেড (পান্থপথ), সাউদার্ন সিএনজি ওয়ার্কশপ (তেজগাঁও), যমুনা অয়েল (কারওয়ান বাজার), গ্রামীণফোন (বসুন্ধরা), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর (জনসংখ্যা ভবন, আজিমপুর), ঢাকা সিটি করপোরেশনের সিটি সেন্টার (মতিঝিল), রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (মতিঝিল), ঢাকা সিটি করপোরেশন অফিস (দিলকুশা), জাতীয় শুটিং ফেডারেশন (গুলশান), নিটল গ্রæপ (মগবাজার), আদ-দ্বীন হাসপাতাল (মগবাজার), স্টার কাবাব (ধানমন্ডি-২), ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স (গুলশান), পদ্মা ফেব্রিকস লিমিটেড  (তেজগাঁও) ইত্যাদি
রাজউকের তালিকায় বনানী আবাসিক এলাকায় রয়েছে,কাজী মেডিকেল সেন্টার, ঘঝউ স্কুল, আল-আমিন মেডিকেল সেন্টার ডিআইএইচ বিশ্ববিদ্যালয়,ডিআইএইচ বিশ্ববিদ্যালয়, বনানী ক্লাব, নাজ মেডিকেল,এলসি স্কুল, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডক্টর সাপোর্ট সেন্টার, প্লাটান রেস্টুরেন্ট, জামানস ক্লিনিক, লামিয়া মেডিকেল সেন্টার, মাইশোর ডোসা, ন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টার, গুলশান মেডিকেল সার্ভিসেস,অতিশদীপংকর বিশ্ববিদ্যালয়,সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়,  নাফা মেডিকেল, রানি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ-এর অফিস ইত্যাদি
গুলশান এলাকায় রয়েছে, ফুড প্যালেজ রেস্টুরেন্ট, মল্লিক স্নাকস রেস্টুরেন্ট, গুলশান সাউথ পার্ক ক্ল্যাব লিমিটেড, দাওয়াত হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, থাই ইমারাল্ড রেস্টুরেন্ট, হলিডে ভিলা হোটেল/রেস্টুরেন্ট (আবাসিক হোটেল), প্রিমিয়াম সুইটস ডেস্টিনেসন ফুডমল, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, ইসলামিক ইন্টাঃ ন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, দি মুঘল কিচেন, ভিশন গেøাবাল স্কুল (ইংলিশ মিডিয়াম), বেঙ্গল ইন (আবাসিক হোটেল), টেস্টি বাইট (রেস্টুরেন্ট), কেনারি পার্ক (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট), ইসলামিক ইন্টাঃ, ন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ,লাঞ্জ কোমিডা (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট), র‌্যাফফলি সাই (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট)গ্রান্ড অরিয়ান্টাল (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট), জাফরান ও কিবাহান (রেস্টুরেন্ট), হোটেল দি ক্রাইস্টাল ক্রাউন (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট), টাইম আউট (রেস্টুরেন্ট), রিংস ইন (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট,ইস্টান হাউজ (আবাসিক হোটেল) কস্তরী গার্ডেন (রেস্টুরেন্ট),তুকিস হোপ স্কুল,দ্যা রেইনবোও (আবাসিক হেটেল),পেডা টিং টিং (রেস্টুরেন্ট), আলিফ গার্ডেন (রেস্টুরেন্ট), চক্ষু হাসপাতাল, দ্যা মেন্ডারিন (রেস্টুরেন্ট) সামদাডো জাপানিশ কেসিনো  (রেস্টুরেন্ট), অল কমিউনিটি ক্লাব লিমিটেড এবং রেস্টুরেন্ট,ফোর পয়েন্ট বাই শেরাটন (আবাসিক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট), হোটেল গার্ডেন ডিয়ার লিঃ (আবাসিক হোটেল), ট্রোপিক্যাল ডেইজি (আবাসিক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট) বøুস এন ব্যারেলস  (রেস্টুরেন্ট)আমারি ঢাকা (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট),লেক শোর (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট) হোটেল লেক ব্রীজ (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট),সুরা কুরিয়ান রেস্টেুরেন্ট, বাংলাদেশ ইন্টাঃ ন্যাশনাল টিউটরিয়াল, হোটেল লেক ভিউ প্লাজা, ব্রিটিশ ক্লাব (বাঘা ক্লাব) ধান সিঁড়ি রেস্তোরাঁ, গুলশান প্লাজা রেস্তোারাঁ। মেররিওট গেস্ট হাউজ (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট),সি এফ সি (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট), খাজনা রেস্টুরেন্ট, স্পাকা (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট) ইত্যাদি। এছাড়া আমেরিকা ক্লাব, লেক কেসটেল-১ (আবাসিক হোটেল), লেক কেসটেল-২ (আবাসিক হোটেল), এরিস্টকেরেট ইন (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট), সিক্স সিজনস (আবাসিক হোটেল/রেস্টুরেন্ট), অস্ট্রেলিয়ান ইন্টাঃ স্কুল, চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, সিঙ্গাপুর স্কুল, ড্রিম এফাটমেন্ট (কোচিং সেন্টার), লংবিচ (আবাসিক হোটেল), মানারাত ইন্টাঃ স্কুল, জেড.এইচ সিকদার ডবিøউ এম সি হাসপাতাল, মানারাত ইন্টাঃ ইউনিভারসিটি, পি. এ. হাসপাতাল এন্ড ট্রেনিং ইন্টারঃ কেয়ার, সি. পি ফাইভ স্টার ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্টন রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে বানিজ্যিক প্রতিষ্টান হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বছরে পর বছর ধরে। কিন্ত রহস্যজনক কারণে রাজউক কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এখন হঠাৎ করে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে বেকারের সংখ্যা বাড়বে ,পাশাপাশি ব্যাংক লোনসহ হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগও হুমকির মুখে পড়বে বলে দাবী করছেন ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) আসমা-উল হোসেন গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, এসব ভবন অনেক আগ থেকেই অবৈধভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, উচ্ছেদ করা হবে। তবে এতদিন কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এবং মাঝে মধ্যে হাতে শুধু গুণা কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয় হয় জানতে চাইলে তিনি এব্যপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।




 

Show all comments
  • Tania ৬ জুন, ২০১৭, ৫:৩৩ এএম says : 0
    ar jonno prosason o kom dai nay
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজউক

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ