বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মিজানুর রহমান তোতা : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদ মার্কেটগুলোতে এবার আগেভাগেই কেনাকাটা শুরু হয়েছে। দিনরাত সমানতালে উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে। যার যা সাধ্য আছে সে অনুযায়ী খুশীর ঈদ উপলক্ষে পরিবারের চাহিদা পুরণ করছেন। একইভাবে চলছে চোরাচালানী, টানাবাজ, পকেটমার, ছিনতাইকারী ও অপরাধীদের দৌঢ়ঝাপ ও আনাগোনা। সেজন্য দফায় দফায় বৈঠক করে ঈদ মার্কেটের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
পুলিশের খুলনা রেঞ্জ অফিস সুত্র জানায়, খুলনার নিউ মার্কেট, ডাকবাংলো মোড় ও যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কুস্টিয়া ও ঝিনাইদহের বড় বাজারসহ বিভিন্ন ঈদ মার্কেটে যাতে কোনরূপ বিশৃঙ্খলা না ঘটে তার জন্য মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ অঞ্চলের ১০ জেলার ৬৩টি থানার সবখানে সমানতালে ডিউটি দেয়া হচ্ছে। সীমান্ত সুত্র জানায়, ঈদ মার্কেটের দখল নিতে চোরাচালানীরাও অতিমাত্রায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রমজানের আগে থেকেই। প্রতিদিনই কমবেশী ভারতীয় পণ্য আটকের পরও ওপার থেকে পণ্য ঢুকছে ঈদ মার্কেটে। বিজিবি ও পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, আগের চেয়ে পণ্য ঢোকা কমে গেছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ভারতীয় চোরাচালান পণ্যে বাজারের সুস্থ্য প্রতিযোগিতার বিঘœ ঘটাচ্ছে। এক্ষেত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চোরাচালানের চেয়ে লাগেজ পার্টির ভারতীয় পণ্য ঢুকছে ঈদ মার্কেটে বেশী।
যশোরের পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) যিনি মাদক চোরাচালান, জঙ্গী ও সন্ত্রাস দমনে বহুলাংশে সফল হয়েছেন তিনি গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমার এলাকায় বড় বড় মার্কেটে কোনরূপ বিশৃঙ্খলা যাতে না ঘটে তার জন্য পালাক্রমে ডিউটির ব্যবস্থা করেছি। পোশাকী পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ ছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং মাধ্যমে সবখানে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। ইফতারী ও সেহেরীর আগে পরে বিশেষ টহলের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ স্কোয়াড দিয়ে ব্যবসায়ীদের টাকা ব্যাংকে পৌছানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে, কোথাও কেউ কোন ধরণের সমস্যা মনে করলে পুলিশকে জানানোর সাথে সাথে সেখানে গিয়ে হাজির হবে আমাদের লোক। হ্যালো যশোর পুলিশ এ্যাপসএর সাহায্য নিতে পারেন নাগরিকরা। তিনি জানান, যশোরের বড় বাজার, কাপুড়িয়া পট্টি, কালেক্টরেট মার্কেট, মুজিব সড়কসহ সবখানে টহল জোরদার করা হয়েছে। দড়াটানায় বসানো হয়েছে সার্বক্ষণিক পাহারা। বাজারের সড়কগুলোতে যাতে যানজট না হয় তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক শহরে ইজিবাইক চলাচল বন্ধসহ ট্রাফিক পুলিশের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে কোথাও যানজট না থাকে। নাগরিক নিরাপত্তা জোরদারসহ ঈদ মার্কেটে মানুষ নির্বিঘেœ মার্কেটে মার্কেটে ঘুরতে পারে এবং সুষ্ঠুভাবে কেনাকাটা করতে পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। সুত্র জানায়, গোটা অঞ্চলেই রমজানের শুরু থেকেই সবখানেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মার্কেটে একইভাবে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিজিবি সুত্র জানায়, সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, কুস্টিয়া, চুয়াডাঙ্গার সব পয়েন্টে টহল জোরদার করা হয়েছে। চোরাচালানীরা যাতে ঈদের মার্কেটে ভারতীয় চোরাচালান পণ্য না ঢোকাতে পারে। বিজিবি, র্যাব, পুলিশ সমন্বয় করে ঈদ মার্কেটের দিকে দৃষ্টি রাখছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।