পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ঈদকে সামনে প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেছে। সদ্যসমাপ্ত মে মাসে প্রবাসীরা ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের মাসের চেয়ে সাড়ে ১৫ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে চলতি (২০১৬-১৭) অর্থবছরের একক মাস হিসেবে মে মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১৭ কোটি মার্কিন ডলার। ঈদকে সামনে রেখে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছেÑ এমন তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, ঈদের আগে মানুষের খরচ বেড়ে যায়। এ সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে বেশি অর্থ পাঠান বিদেশিরা। এতে রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত চার বছরের মধ্যে দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। এ সময় রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছর শেষ হতে আরও এক মাস বাকি থাকলেও ১১ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ১৫৫ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার।
চলতি বছরের গেলো ১১ মাসের মধ্যে গত জুলাই মাসে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার, পরের মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৮ কোটি ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার। তবে এর পরের মাস অর্থাৎ গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে টানা তিন মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ কমতে থাকে। পরবর্তীতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার, ফেব্রæয়ারিতে আবারও তা কমে দাঁড়ায় ৯৪ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার, মার্চে পুনরায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৭ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। তারপর থেকে গত দুমাসেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, শুধু ঈদের কারণে নয়, গত এপ্রিল মাস থেকে ডলার সহ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়মূল্য বেশি পাওয়াতে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ বাড়িয়েছেন। এ কারণে মূলত দুই মাস ধরে রেমিট্যান্স বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।