Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে দিশেহারা মানুষ

| প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রবিউল ইসলাম, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) থেকে : একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা পবিত্র রমজান মাসকে পুঁজি করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি পরবর্তি পণ্য সামগ্রী তথা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির অশুভ তৎপরতায় লিপ্ত। সবজি বার হতে শুরু করে মুদি ইফতারী, মাছ, মাংস সর্বত্র মূল্য বৃদ্ধিও আওয়াজ। গরুর গোশত সোনার হরিন এবং খাসির মাংসের উধ্বমুখিতা ভোক্তা সাধারনের মর্মাপিড়ায় পরিনত হয়েছে।
এক শ্রেনীর মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাংসের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে কালিগঞ্জ শহর এবং মফস্বল এলাকাগুলোতে মাংসের বাজারের অস্থিরতা চোখে পড়ার মত, এক এক এলাকায় একেক ধরনের মূল্য মাংস বিক্রি হচ্ছে। মাংস ব্যবসায়ীরা যেমনটি মনে করছেন মাংসের মূল্য তেমনই নির্ধারিত হচ্ছে শহরের কোথাও কোথাও চারশত ষাট হতে পাঁচশত টাকা আবার মফস্বলের এলাকা গুলোতে চারশত ত্রিশহতে চারশত আশি/নব্বই টাকা যার নিকট হতে যেমন পারছে তেমন বিক্রি করছে। খাসির মাংসের উর্ধমুখিতায় দিনে দিনে বিস্তৃত ঘটছে ছয়শত পঞ্চাশ হতে ছয়শত সত্তর আশি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে খাসি এখানেও প্রতারনার শেষ নেই এক শ্রেনীর মাংস ব্যবসায়ীরা বকরি, ধাড়ী এবং ভেড়ার মাংস অবলিলায় খাসি বলে বিক্রি করছে। দেশী মুরগীর ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও প্রতারনার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছো সোনালী, ফ্রার্মের ও পাকিস্তানী প্রজাতীর মুরগী দেশী মুরগী বলে বিক্রি করছে এক শ্রেনীর অসাধু মুরগী ব্যবসায়ীরা। জেলা শহরের পাশাপাশি মফস্বল বাজারগুলোতে একই চিত্র। পোল্ট্রি মুরগী সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে থাকলেও একশত দশ বিশ টাকার পোল্ট্রি বর্তমানে কেজি প্রতি একশত চল্লিশ/ পয়তাল্লিশ টাকায়। পোল্ট্রি মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি দুইশত দশ টাকায়। পেয়াজের এবং খেরাইয়ের মূল্য সহনশীল থাকলেও সবজির বাজার বড্ড চড়া, টমেটো, কাগজী লেবূ, দুষ্পাপ্য এবং সেই সাথে মূল্য বৃদ্ধির অসম প্রতিযোগিতা।
সাতক্ষীরা বিভিন্ন এলাকার বাজার পরিদর্শন এবং আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের উপর এবং মুদি, সবজি, মাংস ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টদের ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে বাজারের বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর মূল্য তবে জেলার একেক বাজাওে এবং মোকামে একই পণ্যের ভিন্ন ভিন্ন মূল্য ও আমাদের নজরে এসেছে। আবার একই বাজারে একই পণ্যের ভিন্ন ভিন্ন মূল্য দৃশ্যমান, বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন এবং মনিটরিং এর মাধ্যমেই কেবল সম্ভব মূল্যবৃদ্ধি রোধ, ভিন্ন ভিন্ন মূল্য নির্ধারন এবং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অশুভ অপতৎপরতা, জেলার বিভিন্ন এলাকার বাজারের মূল্য গরু গোশত চারশত ষাট হতে পাঁচশত টাকা, খাসি ছয়শত পঞ্চাশ হতে ছয়শত আশি নব্বই টাকা। দেশী মুরগী দুইশত আশি হতে তিনশত টাকা, পোল্ট্রি একশত চল্লিশ হতে পয়তাল্লিশ টাকা। উচ্চে কেজি প্রতি পয়ত্রিশ টাকা, খিরাই পনের হতে বিশ টাকা বেগুন পঁচিশ হতে আঠাশ, ত্রিশ টাকা ঝিঙে পনের হতে আঠার পেচেঙ্গা পনের হতে বিশটাকা ঢেড়শ পনের হতে আঠার পাতাকপি, ত্রিশ হতে পয়ত্রিশ টাকা ডাটা আশি হতে পঁচাশি টাকা মিষ্টি কুমড়া পনের হতে বিশটাকা কচুর মুখি ত্রিশ হতে পয়ত্রিশ টাকা পেপে ত্রিশ হতে পয়ত্রিশ টাকা কাঁচকলা ত্রিশ হতে পয়ত্রিশ টাকা ডয়রা কলা, পঁচিশ হতে ত্রিশ টাকা শাক কেজি চল্লিশ, তাড়ি পনের টাকা কচুর লতি বিশ হতে পচিশ টাকা টমেটো ষাট টাকা, পুইশাক আট হতে দশটাকা ঘেটকুল চল্লিশ টাকা, কাঁচাঝাল পয়ত্রিশ হতে চল্লিশ টাকা, লেবু প্রতিপিচ তিন হতে চারটাকা, পেয়াজ ষোল হতে আঠার, রসূন আশি হতে নব্বই টাকা, লবন বাজার পচিশ হতে সাতাশ এবং খাওয়ার লবন চল্লিশ টাকা। গুড়াঝাল কেজি প্রতি দুইশত হতে দুইশত দশ টাকা। হলুদ একশত আশিহতে পাঁচাশি টাকা, ছোলা আশি হতে পঁচাশি, চিনি বাহাত্তর হতে পঁচাত্তর, মিসরি নব্বই, আদা সত্তর হতে আশি, জিরে চারশত হতে ক্ষেত্র বিশেষ পাঁচশত মরিচ আট শত হতে ক্ষেত্র বিশেষ এক হাজার, এলাচ চৌদ্দ হতে পনের শত, লবঙ্গ এক হাজার হতে এগারশত টাকা, ডালচিনি তিনশত হতে চারশত ভোজ্য তেলের ওঠানামা এবং ছোয়াবিন, সুপার পাম্প, এবং পাম্প মিলেমিশে একাকার আর এক শ্রেনীর মুদি ব্যবসায়ীরা মসলার খুচরা বিক্রিতে প্রতারনার যেমন আশ্রয় নিয়ে থাকে অনুরুপভাবে ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে ছোয়াবিন, সুপার পাম্প, এবং পাম্প তেল এর সংমিশ্রনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।, ছোয়াবিন চুরাশি হতে আটাশি/নব্বই, সুপার পাম্প আশি হতে পঁচাশি, পাম্প চুয়াত্তর হতে সাতাত্তর, সরিষা একশত পঁচিশ হতে একশত চল্লিশ, ব্যসন খাসারী এবং বুট এক্ষেত্রেও এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদেও ঠকাচ্ছে।
খেসারী বলে বুটের ব্যাসন বিক্রির ঘটনা অহরহ এমন অভিযোগ ক্রেতাদের ব্যাসন কেজি প্রতি চুয়াল্লিশ হতে পঞ্চাশ টাকা। আটা গমের সাতাশ হতে ত্রিশ টাকা ময়দা আঠাশ হতে ত্রিশ টাকা। মাছের বাজারের আগুন যেন থামতে চাইছে না। সব ধরনের মাছের আকাশচুম্বী মূল্য জন সাধারণকে মাছ মুখি হতে বিরত রাখছে। ডিমের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকায় জনাধারনের একটি বড় অংশ মাছের পরিবর্তে ডিমের দিকে ঝুকছে। বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল করার পাশাপাশি অশুভ ব্যবসায়ীদের ঠকানো, প্রতারনা, রোধ করতে হবে সেই সাথে ওজনে কম দেওয়ার প্রবনতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ