পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : রমজানে মাগরিব নামাযের আগে মসজিদে নববী (সঃ)-এ পরিলক্ষিত হয় এক অপরূপ দৃশ্য। মানুষের মাঝে পরিলক্ষিত হয় ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্য এবং ভাল কাজ করার প্রতি মানুষের প্রবল আগ্রহ। এ সময় সব মুসলিম এক কাতারে শামিল হয়ে যান। আল্লাহপ্রেমী মদীনার মুসলিমরা তাদের অতিথিদের জন্য উদার ভাবে মেহমানদারী করেন। বাইরের তুলনায় মসজিদে নববীর (সঃ) ইফতার টেবিল সাজে ভিন্ন মেনুতে। এখানে থাকে খেজুর, পানি, রুটি, কফি, চা, দই এবং বাদাম। পক্ষান্তরে মসজিদের বাইরের ইফতারগুলোয় অন্য জিনিসের সাথে থাকে জুস, রাইস, গরু বা মুরগীর গোশত। বহুসংখ্যক মানুষ ইফতারে শরিক হলেও খাদ্য বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি সকলের রয়েছে প্রবল দৃষ্টি। মসজিদে নববীর পাবলিক রিলেশন ডিরেক্টরেটের ডেপুটি জেনারেল সুপারভাইজার আবদুল ওয়াহিদ আল-হাত্তাব বলেন, মসজিদের নববী (সঃ)-এর একটি কমিটি মসজিদটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সকল শক্তি বিনিয়োগ করে থাকে। তিনি বলেন, এই কমিটি ২৪ ঘণ্টা যিয়ারতকারীদের গ্রহণ করে, নামাযের মুসল্লা এবং ঠান্ডা জমজম পানি বিতরণ করে। কমিটি সর্বদা যিয়ারতকারীদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখে এবং কীভাবে তাদের সেবা আরো বাড়ানো যায় সে বিষয়ে গবেষণা করে থাকে।
ইফতারের জন্য মসজিদে নববী (সঃ)-এ আসর সালাতের আধা ঘণ্টা পর থেকে ইফতার সামগ্রী গ্রহণ করা হয়। চারটি কর্ণার দিয়ে বৈধ ইফতার সামগ্রী প্রবেশ করানো হয়। আর একামাত হবার আগেই পরিচ্ছন্ন কর্মী, সুপারভাইজার ও যারা ইফতার সামগ্রী নিয়ে আসেন তারা মিলে সব উচ্ছিষ্ট সরিয়ে নেন। মসজিদের মূল চত্ত¡রের বাইরে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক স্থানে ইফতার আয়োজন করা হয়। পরে এশা ও তারাবীহ সালাতের আগেই সব উচ্ছিষ্ট মসজিদ চত্ত¡র থেকে অপসারণ করা হয়। সূত্র : আরব নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।