পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহসিন রাজু , বগুড়া থেকে : সদ্য ঘোষিত ৪ লক্ষাধিক কোটি টাকার বাজেটে দেশের শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরাঞ্চলের মানুষ হতাশ হয়েছে বলেই বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে প্রতীয়মান হয়েছে । গত শুক্রবার বগুড়াসহ সমগ্র উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ইনকিলাবকে জানান, শস্যভান্ডার খ্যাত উত্তরাঞ্চলের কৃষি উন্নয়নে অনেক প্রয়োজনীয় বিষয়কে পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে । প্রকৃতি , পরিবেশ , নদী ভাঙন রোধে বা রেল যোগাযোগ উন্নয়নে কোন দিক নির্দেশনাই নেই এই বাজেটে । শিক্ষা বা চিকিৎসার উন্নয়নেও কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি ।
সুশাসনের জন্য প্রশাসন ( সুপ্র ) বগুড়া ’ এর প্রধান কেজি ফারুক বলেছেন, তাদের আশাছিল কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ব বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা নওগাঁ অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সংরক্ষনের জন্য মিল, চাতাল বা স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে বিশেষ প্রনোদনা বা দিক নির্দেশনা এই বাজেটে নেই। তিনি বলেন, বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত রেল সংযোগ এবং বগুড়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুস্পষ্ট কোন দিক নির্দেশনা এই বাজেটে নেই। এছাড়া বগুড়া শহর দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদীর উৎসমুখে ৮০’র দশকে নির্মিত পরিবেশ বিনাশী বাঁধটি অপসারণের কোন না থাকাটা দুঃখজনক ।
গ্রামীন ইতিহাস ও অর্থনীতি গবেষক আব্দুর রহীম বগরা বলেন , যেভাবে দেশ চলছে সেখানে বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানানো অর্থহীন। বাজেটে যা ’ আছে তা’ কি পরবর্তী একবছর ঠিক থাকবে ? তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা তা বলেনা। প্রতি বছরই দেখছি, বাজেট ঘোষণার পরও দফায় দফায় বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুরই দাম বাড়ানো হয় দফায় দফায় । বাজেট নিয়ে গ্রাম জনপদের মানুষের বক্তব্য হল বাজেট নিয়ে চিন্তা ভাবনা অর্থহীন। গ্রামের মানুষের অনুভুতি এক্ষেত্রে ভোঁতা হয়ে গেছে। তাই ঘোষিত বাজেট নিয়ে কোন উত্তরের মানুষক নির্বাক দর্শক মাত্র। তবে তিনি বলেন, ভাসাভাসা বিশ্লেষনে বলা যায়, ঘোষিত বাজেটে এবার উত্তরের মানুষের সামগ্রিক স্বার্থকে উপেক্ষা করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ করদাতা বিশিষ্ট ঠিকাদার আলহাজ্ব লিয়াকত আলী জানান, নদী ভাঙন উত্তরাঞ্চলের বিশেষ করে যমুনা , তিস্তা, ধরলা পাড়ের মানুষের কাছে মূর্তিমান বিভিষিকার মত। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে প্রতিবছরই হাজার হাজার মানুষের বাড়ীঘর সহায় সম্বল হারায়। অথচ নদীর ভাঙ্গণ এবং নদী ভাঙ্গন রোধে ইতোপুর্বে নির্মিত বাঁধ, স্পার, গ্রোয়েনের মেরামতি বাবদ কি বরাদ্দ রাখা হয়েছে তাও স্পষ্ট নেই ।
নর্থবেঙ্গল মানি চেন্জার এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহেদুর রহমান জাদু বলেছেন , ঘোষিত বাজেটের বিপুল অংক ছাড়া আপাতত তেমন কোন বৈশিষ্ট্য চোখে পড়েনা । আর বরাবরের মতোই এবারও উত্তরাঞ্চলবাসীর জন্য এই বাজেট হতাশায় উপহার দিয়েছে, দেখাতে পারেনি আলোর দিশা। বগুড়া পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুখলেছুর রহমান মুক্তার বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, বেকারত্ম দূর, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আমিষ ও পুষ্টির যোগান নিশ্চিত করণে পোল্ট্রি সেক্টরের যে অবদান বাজেটে তার কোন স্বীকৃতি নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।