Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রায়পুরায় ২ লাখ টাকা জরিমানা ও জুতা পেটা স্কুলছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা ঘটনা মিমাংসিত

| প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : ২ লাখ টাকা জরিমানা ও প্রকাশ্য শালিস দরবারে জুতা পেটা রায়’র মধ্য দিয়ে মিমাংসিত হয়েছে রায়পুরার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা গ্রামের স্কুলছাত্রী সেই পঞ্চদশী ধর্ষণ প্রচেষ্টার ঘটনা। গতকাল শনিবার আমিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান নলবাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এলাকার মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে ধর্ষণ প্রচেষ্টার এই শালিসী রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ের পর ধর্ষণ প্রচেষ্টাকারী আলম ভূইয়াকে তার বড় ভাই রাজু ভূইয়া প্রকাশ্য জুতা পেটা করে রায় কার্যকর করেছে। দরবারের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন জানান, আইনগতভাবে এই শালিশ দরবারের কোন ভিত্তি না থাকলেও নির্যাতিতা পঞ্চদশী, তার পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী এই রায় মেনে নিয়েছে এবং শালিস দরবারের বিচারকদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জানা গেছে, রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা গ্রামের বিদেশ প্রবাসীর পঞ্চদশী কন্যা স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ী ফেরার পথে হঠাৎ বৃষ্টি নেমে গেলে মেয়েটি নলবাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। এসময় একই গ্রামের মৃত শাহজাহানের পুত্র আলম মেয়েটিকে একা পেয়ে তাকে মুখ চেপে ধরে। নির্যাতিতা মেয়েটি সাংবাদিকদের জানান যে, আলম তাকে তাকে ধর্ষণ নয়, তাকে নাক-মুখ বেধে হত্যা করারও চেষ্টা করেছিল। এসময় এলাকার লোকজন জানান, টিজার আলমের বড় ভাই কাইয়ুম উদ্দিন ১৪ বছর পূর্বে সোলেমা নামে এক মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। এই ঘটনায় কাইয়ুম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এই ঘটনা দৈনিক ইনকিলাবসহ জাতীয় ও স্থানীয় পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হবার পর এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। গতকাল শনিবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন এব্যাপারে শালিশ দরবারে বসে ঘটনা শুনেন এবং উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনানী শেষে ১১ সদস্যের জুরি বোর্ডের মাধ্যমে টিজার আলমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও প্রকাশ্য দরবারে জুতা পেটার রায় ঘোষণা করেন। এব্যাপারে চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মেয়েটির বাবা বর্তমান বিদেশে রয়েছেন। বাড়ীর কেউ মামলা করার সাহস পাচ্ছে না বলে আমরা এলাকার ইউপি মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে শালিস দরবারের মাধ্যমে ঘটনার মিমাংসা দিয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ